- দে । শ
- এপ্রিল ১৮, ২০২৪
ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে কাটোয়ার শ্রেয়া আর মন্তেশ্বরের আদিলের

এক ছাত্রী নখের উপর ৪৫টি দেশের জাতীয় পতাকা এঁকেছে। আর একজন সবে আড়াই বছর বয়সে বিভিন্ন ভাষায় কবিতা, বিভিন্ন জন্তুর নাম ঝরঝর করে বলে ফেলছে। তার স্বীকৃতি মিলল। ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলল কাটোয়া শহরের কলেজপাড়ার বাসিন্দা স্নাতকোত্তরের পড়ুয়া শ্রেয়া চক্রবর্তী আর মন্তেশ্বরের কুসুমগ্রামের আদিল রহমান। দুজনের বাড়িতে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের শংসাপত্র, মেডেল আর পুরস্কার আসতেই এলাকায় খুশির জোয়ার। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির ছাত্রী শ্রেয়া আর খুদে প্রতিভা আদিলকে একবার চোখের দেখা দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন এলাকার মানুষজন।
কেন এতবড় স্বীকৃতি? জানা গেল, ছোটো থেকেই গ্লাস পেন্টিং, ফেব্রিক পেন্টিংয়ে ঝোঁক শ্রেয়ার। সেটাই পরবর্তী সময়ে নেশা হয়ে দাঁড়ায় বলে জানালেন শ্রেয়ার বাবা প্রাথমিকের প্রধানশিক্ষক অমর চক্রবর্তী। শ্রেয়া বলেন, ‘নখের উপর ফেব্রিক দিয়ে পতাকাগুলি এঁকেছি।’ আর আদিলের বাবা হোসেনুর রহমান, মা শাহিনা খাতুনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, আদিলের শুরুটা হয়েছিল মাত্র ৯ মাস বয়সে। মায়ের পড়া শুনে শুনে দুধের শিশু আদিল আধো-আধো বুলিতে অনেক কিছু বলতে শিখে যায়। শুধু বাংলা ভাষাই নয়, আরবি ভাষাতেও ছোট ছোট পদ্য বলতে শিখে ফেলে। তারপর ধীরে ধীরে বিভিন্ন জীবজন্তু, মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, ইংরাজি ও বাংলা মাসের নাম, সপ্তাহের বার, ঋতু, জাতীয় প্রতীক, জাতীয় সঙ্গীত ঝরঝর করে বলতে শেখে। কবিতা আবৃত্তিও শিখে যায়।
খুদে আদিলের পড়াশোনার প্রতি গভীর আগ্রহ ও মনোযোগের পাশাপাশি তার এই চমকে দেওয়ার মত স্মৃতিশক্তি দেখে কয়েকজন প্রতিবেশীর পরামর্শে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে আদিলের নাম তোলার উদ্যোগ নেয় আদিলের পরিবার। আদিলের মা শাহিনা খাতুন জানান, ‘খেলার ছলে ছেলে যাতে বই পড়ে সেজন্য খুব ছোটতে ওর জন্য কিছু বই কিনি। সেইসব বই থেকে মাত্র ৯ মাস বয়সেই আদিল আমার কাছ থেকে শুনে শুনে সবকিছু শিখে ফেলে। বয়স যত বাড়তে থাকে, ওর স্মৃতিশক্তিও ততটাই প্রখর হতে থাকে।’
❤ Support Us