- এই মুহূর্তে দে । শ
- ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩
কৃষ্ণ জন্মভূমি-শাহী ইদগাহ মামলায়, মথুরায় মসজিদ সমীক্ষার আইনি নির্দেশ । এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়কে ঘিরে রাজনৈতিক চাপান উতর শুরু
মথুরা কৃষ্ণ জন্মভূমি ও শাহী ইদগাহ মামলায় হিন্দু পক্ষের আবেদন গ্রহণ করল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। ফলে মসজিদ প্রাঙ্গনে জরিপের পথ প্রশস্ত হল। হাইকোর্ট ইদগাহ কমিটি এবং ওয়াকফ বোর্ডের জরিপের বিরোধিতার যুক্তি খারিজ করে দিয়েছে। ইদগাহ কমিটি এবং ওয়াকফ বোর্ডের দাবি ছিল মসজিদটি খালি জমিতে নির্মিত হয়েছিল।
এই মামলাটি মথুরার বিতর্কিত স্থানের সাথে সম্পর্কিত, যেখানে হিন্দু পক্ষ দাবি করে যে শাহী ইদগাহ মসজিদটি ভগবান কৃষ্ণকে উৎসর্গীকৃত একটি মন্দির ভেঙে তৈরি করা হয়েছিল, এই জায়গাতেই শ্রীকৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করেছিলেন বলে তাদের বিশ্বাস।
মন্দির নির্মাণের পক্ষে সাওয়ালকারীরা ২০২০ সালে মথুরা জেলা আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছিল,তাতে তারা দাবি করেন, মন্দির সংস্কার ও পুনরুদ্ধারের জন্য মসজিদটিকে অনত্র সরিয়ে দেওয়া হোক ।মামলাটি ২০১৯ সালের সুপ্রিম কোর্টের রায়ের উপর ভিত্তি করে করা হয়েছিল যা অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের অনুমতি দেয়, যেখানে কয়েক দশক ধরে একই রকম বিরোধ বিদ্যমান ছিল।
জেলা আদালত উপাসনার স্থান (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ উদ্ধৃত করে মামলাটি খারিজ করেছিল, যা ১৫ আগস্ট, ১৯৪৭-এ বিদ্যমান যে কোনও উপাসনালয়ের ধর্মীয় চরিত্রের কোনও পরিবর্তনের পরিপন্থী।
মন্দির সংস্কার ও নির্মাণের পক্ষ জেলা আদালতের সেই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে এলাহাবাদ হাইকোর্টে যায়। আদালত এই মামলার শুনানিতে মসজিদ কমপ্লেক্সের সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন। এই জরিপটি করবেন প্রত্নতাত্ত্বিক, ইতিহাসবিদ এবং প্রকৌশলীরা। তাঁরা অঞ্চলটির কাঠামোগত এবং ঐতিহাসিক দিকগুলি পরীক্ষা করবেন। এই সমীক্ষার প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দেওয়া হবে, যা ওপরে ভিত্তি করেই মসজিদ ও মন্দিরের ভাগ্য নির্ধারণ করবে।
এলাহাবাদ হাইকোর্টের এই রায়কে মন্দির নির্মাণ ও সংস্কারের দাবিদাররা স্বাগত জানিয়েছেন, তাদের বিশ্বাস সমীক্ষার ফলও তাদের অনুকূলেই যাবে ।অন্যদিকে ইদগাহ কমিটি এবং ওয়াকফ বোর্ড এই রায় শুনে হতাশা প্রকাশ করে বলেছে, তারা এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাবে।
মামলাটি একটি রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন বিজেপি মন্দির নির্মাণের পক্ষ, বিরোধী দলগুলি অভিযোগ করছে, বিজেপি নির্বাচনী লাভের জন্য ইস্যুটি ব্যবহার করছে।
❤ Support Us