- এই মুহূর্তে দে । শ
- জুন ২০, ২০২৩
বালেশ্বরের রেল দুর্ঘটনা তদন্তে নয়া মোড়, নিখোঁজ সিগন্যালিং শেকসনের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়র । ভাড়া বাড়ি সিল করে দিল সিবিআই

ওড়িশার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই।ইতিমধ্যেই এঘটনায় একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তারা। সম্প্রতি বাহানাগায় সিগন্যাল সেকেশনের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়র আমির খানের বাড়ি সিল করে দেন তারা। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, রেল বিপর্যয় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার তাঁর বাড়িতে উপস্থিত হন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সেখানে গিয়ে দেখেন সপরিবারে নিরুদ্দেশ হয়ে গেছেন তিনি।যদিও আমির আগেও গোয়েন্দাদের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন।তবে হঠাৎ করেই পরিবার সহ তার নিরুদ্দেশ হওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা।
রেল চালানোয় সংকেত প্রদান বা সিগন্যালিং-এর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।এ বিভাগে যারা ইঞ্জিনিয়র পদে কাজ করেন তাঁদের দায়িত্ব সিগন্যালিং সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি মেরামত, সিগন্যাল ও ট্রেনের ইন্টারলকিং ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি। এসমস্ত কাজ নির্ভুল ভাবে সম্পন্ন হলে রেলযাত্রা নিরাপদ করা সম্ভব হয়।সেদিন ওই কাজের দায়িত্বে থাকা আমিরকে প্রাথমিক তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। পরে তদন্তের আরো কিছুটা অগ্রগতি হলে সোরোতে তার ভাড়া বাড়িতে গিয়ে এ নিয়ে প্রশ্ন করবার সিদ্ধান্ত নেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। কিন্তু সেখানে তাঁকে না খুঁজে পাওয়ায় বাড়ি সিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারের আবাস স্থলে কেউ যাতায়াত করছেন কিনা, তার জন্য সেখানে নজরদারির ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা।
রেলের শীর্ষ আধিকারিকরা মনে করেন, ইলেক্ট্রনিক ইণ্টারলকিং সিস্টেমে পরিকল্পিতভাবে কোনো গোলমাল পাকানো হয়েছিল। তাই এমন বিপত্তি। বিষয়টি সিবিআই খতিয়ে দেখছে। তাদের এি তদন্তে সহায়তা করছে ফরেন্সিক টিম এবং রেলের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যে প্রাথমিক পর্বের তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে ট্রেনের সিগন্যালিং সেকশন ও ইলেক্ট্রনিক ইণ্টারলকিং সিস্টেমে খামতি ছিল তার উল্লেখ করা হয়েছে। বাহানাগা বাজার স্টেশনের মাস্টার সহ আরো চার রেল কর্মীও এক্ষেত্রে সন্দেহের তালিকায় রয়েছে। তাঁদের প্রত্যেককে এ নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান তাঁরা। তাতেই হয়তো প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে। জানা যাবে ভয়াবহ এ দুর্ঘটনার নেপথ্যে কারা?
❤ Support Us