Advertisement
  • দে । শ
  • নভেম্বর ৪, ২০২৩

৮ নভেম্বর প্যালেস্টাইনে ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে কলকাতায় বামেদের মিছিল। ইন্ডিয়া জোট নিয়ে আবারও দলের অবস্থান স্পষ্ট করলেন সীতারাম

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
৮ নভেম্বর প্যালেস্টাইনে ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে কলকাতায় বামেদের মিছিল। ইন্ডিয়া জোট নিয়ে আবারও দলের অবস্থান স্পষ্ট করলেন সীতারাম

দেশের কাছে বিপদ বিজেপি। তাই তাদের ক্ষমতাচ্যুত করতে যে সমস্ত দল একত্রিত হতে ইন্ডিয়া মঞ্চ তৈরি হয়েছে সেটা দেশের মানুষের দাবি নির্দেশ করে। এই ইন্ডিয়া মঞ্চে বিজেপি বিরোধী যে সমস্ত দল আছে তাদের কারও কারও মধ্যে কোনও কোনও রাজ্য অনুযায়ী রাজনৈতিক লড়াই আছে। তাই বিজেপিকে দেশের ক্ষমতা থেকে সরানো দেশের মানুষের দাবি। তাই বলে সব রাজ্যে সব ইন্ডিয়ার সরিক দল এক হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে যেমন লড়বে তেমন তাদের রাজ্যের প্রতিপক্ষ শক্তির বিরুদ্ধেও লড়বে। লক্ষ্য এক— বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে। তবে রাজ্য ভিত্তিক ইন্ডিয়া মঞ্চের অবস্থান জাতীয় ক্ষেত্রে দলের অবস্থানের সঙ্গে এক হবে না। বলা ভালো ইন্ডিয়া মঞ্চের শরিকরা তাদের নিজেদের রাজ্যে নির্বাচনী কৌশল রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে নেবে। যেমন কেরলে বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের লড়াই হবে। আবার বাংলায় বিজেপিকে হঠাতে বামেরা তৃণমূলের বিরোধীতা থেকে সরে আসবে না। হাওড়ার অনিল বিশ্বাস ভবন থেকে এভাবেই ইন্ডিয়া মঞ্চের জাতীয় ও রাজ্যভিত্তিক অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।
এদিন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, “আগামী ৮ নভেম্বর মহাজাতি সদন থেকে রামলীলা ময়দান পর্যন্ত প্যালেস্টাইনে ইসরায়েলি হামলা ও তাতে মার্কিন শক্তি ও তাদের পশ্চিমী সহযোগীদের সমর্থনের বিরুদ্ধে বামফ্রন্ট ও বামফ্রন্টের বাইরের দুই বাম দল মিলে প্রতিবাদ মিছিল হবে। মিছিলটি মহাজাতি সদন থেকে এপিসি রোড ধরে শিয়ালদা হয়ে মৌলালী পার হয়ে রামলীলা ময়দানে পৌঁছবে।”
সিপিএম রাজ্য কমিটির বর্ধিত অধিবেশন শুরু হয়েছে হাওড়া সিপিএম জেলা দফতর অনিল বিশ্বাস ভবনে। ৩ নভেম্বর থেকে ৫ নভেম্বর দুপুর পর্যন্ত এই অধিবেশন চলবে। এই অধিবেশন চলাকালীন শুক্রবারের মতো শনিবারও সাংবাদিক সম্মেলন করেন সীতারাম ইয়েচুরি ও মহম্মদ সেলিম।
সীতারাম এদিন আবারও বলেন, “আমরা চাই প্রকৃত দুর্নীতি যারা করেছে বা করছে তাদের বিরুদ্ধে ইডি,সিবিআই সঠিক ভাবে তদন্ত করে সঠিক সময়ে সাজা ঘোষণা করুক। কোনও ভাবেই ইডি,সিবিআই যেন রাজনৈতিক দরকষাকষি ডান্ডায় পরিণত না হয়। অর্থাৎ ইডি-সিবিআইর যেন কোনও রাজনৈতিক ইনস্ট্রুমেন্টে পরিণত না হয়।”
এই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ টেনে কিছু সাংবাদিক সীতারামকে প্রশ্ন করেন, মমতা, অভিষেকের নামে দুর্নীতির অভিযোগ করছে রাজ্যের শাসক বিরোধী দলগুলো, এই প্রসঙ্গে আপনার কী মত? উত্তরে সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, “আমার ব্যক্তিগত মতের কী মানে? আমি কী ইডি,সিবিআই? মানুষ যদি কাউকে দুর্নীতিগ্রস্থ বলে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে সঠিক ভাবে তদন্ত হোক এবং সঠিক সময় তদন্ত শেষ করে সাজা ঘোষণা হোক। সেটা তো হচ্ছে না। সারদা,নারদা মামলার তো এখনও পড়ে আছে।”
সীতারাম এদিন বলেন, “মেক ইন ইন্ডিয়া করে নরেন্দ্র মোদি যে উন্নয়নের হিসাব দিচ্ছেন তা অসত্য। প্রকৃত তথ্য তা বলে না। এই যে জি-২০ সম্মেলন হল দিল্লিতে, এই ২০ টি দেশের মধ্যে বেকারি ও ক্ষুধার তালিকায় সবচেয়ে নীচে রয়েছে ইন্ডিয়া অর্থাৎ ভারত। নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, বছরে ২ কোটি বেকারের চাকরি দেবেন, কোথায় গেল তাঁর সেই প্রতিশ্রুতি? দেশে স্নাতক,স্নাতকোত্তর স্তরে লেখাপড়া শিখে অসংখ্য ছেলেমেয়ে বেকার হয়ে রয়েছে। আগামী দিনে কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদির সরকার এলে বেকারি,নিযপণ্যের দাম সব আরও বাড়বে। দেশের কাছে আগামী দিনের বিপদ বিজেপি,নরেন্দ্র মোদির সরকার। তাই এদের রুখতেই হবে।”


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!