- মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- আগস্ট ২, ২০২৪
‘ভারত গৌরব’ সম্মান পেয়ে গর্বিত সৌরভ, পুরস্কার অর্থ তুলে দিলেন যুব ফুটবলের উন্নতিকল্পে

৩ দিনের ব্যবধানে কলকাতার দুই ক্লাবের কাছ থেকে স্বীকৃতি। ২৯ জুলাই সবুজ–মেরুন দিয়েছিল ‘মোহনবাগান রত্ন’। আর ১ আগস্ট ইস্টবেঙ্গলের কাছ থেকে পেলেন ‘ভারত গৌরব’। দুই প্রধানের কাছ থেকে সম্মান পেয়ে আপ্লুত সৌরভ গাঙ্গুলি। মোহনবাগানের দেওয়া পুরস্কার অর্থ যেমন ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। নিলেন না ইস্টবেঙ্গলের দেওয়া পুরস্কার অর্থও। সাম্মানিক ৫ লক্ষ টাকার পুরোটাই দান করলেন ক্লাবের যুব ফুটবলের উন্নতিকল্পে।
শুধু সৌরব গাঙ্গুলিকেই নয়, ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে সম্মান জানানো হল জোরে বোলার মহম্মদ সামিকেও। তাঁকে দেওয়া হয়েছে ‘বাংলার গৌরব’ স্বীকৃতি। এছাছা জীবনকৃতি সম্মান দেওয়া হল দুই প্রাক্তন ফুটবলার রঞ্জিত মুখার্জি ও প্রশান্ত ব্যানার্জিকে। সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় সাত্যকি দত্তকে। পুরস্কৃত করা হয় দুই ফুটবলার নন্দকুমার ও প্রভসুখন গিলকে। কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতকেও সম্মান জানানো হয়। সম্মানিত করা হল দুই প্রাক্তন রেফারি সুকৃতি কুমার দত্ত এবং জয়ন্ত ব্যানার্জি। দুই সাংবাদিক রাজদীপ সরদেশাই এবং সরোজ চক্রবর্তীকে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। দুই সমর্থক মুকুল গাঙ্গুলি এবং গণেশ দাসকেও সম্মানিত করা হয়।
পুরস্কার হাতে নিয়ে সৌরভ বলেন, ‘৩ বছর ধরে ইস্টবেঙ্গল আমাকে এই সম্মান দিতে চাইছিল। দেশের বাইরে থাকায় কোনও বারই নিতে পারিনি। এবছর সেই সুযোগ হয়েছে। ইস্টবেঙ্গলের এই সম্মান পেয়ে আমি গর্বিত। ইস্টবেঙ্গলের জার্সির রং ফুটবলারদের সবচেয়ে বেশি অনুপ্রাণিত করে। এই রঙেই বিশেষ শক্তি লুকিয়ে রয়েছে।’ মহম্মদ সামি বলেন, ‘বাংলার মতো সম্মান আমি কোথাও পাইনি। এই বাংলা আমাকে সবকিছু দিয়েছে। আমি নিজেকে বাঙালী মনে করি। বাংলার এই সম্মানের কখা আমি সারাজীবন মনে রাখব। এই সম্মান পেয়ে আমি গর্বিত। ভারতীয় দলে খেলার আগে বাংলার হয়ে ২–৩টি ম্যাচ খেলার চেষ্টা করব।’
ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, সুজিত বসু, কলকাতার মহানাগরিক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এছাড়াও ছিলেন সমরেশ চৌধুরি, শ্যাম থাপা, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, মেহতাব হোসেনের মতো ফুটবলাররা। সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গাঙ্গুলি, আইএফএ–র চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত, সচিব অনির্বাণ দত্ত, অভিনেতা প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি প্রমুখ। সিনিয়র দলের সব ফুটবলারকে নিয়ে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গাঙ্গুলি, আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত, চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত প্রমুখ।
❤ Support Us