‌দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে উড়ে গেল ৫ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা

ফেবারিটের তকমা নিয়ে চলতি বিশ্বকাপ খেলতে এসেছে অস্ট্রেলিয়া। অথচ কী হাল ৫ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের!‌ পরপর দুটি ম্যাচ খেলা হয়ে গেল। অথচ এখনও জয়ের দেখা নেই। যদিও দুটি কঠিন ম্যাচে মাঠে নামতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। ভারতের কাছে প্রথম ম্যাচে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও বিধ্বস্ত। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে অসিদের হার ১৩৪ রানে। ব্যাট হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন কুইন্টন ডিকক।
প্রোটিয়া ব্যাটাররা যে দারুণ ছন্দে রয়েছেন, দ্বিতীয় ম্যাচেও তার প্রমাণ। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৪২৮ রান তোলার পর এদিন শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তুলল ৩১১। দলকে দুর্দান্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন কুইন্টন ডিকক, এইডেন মার্করামরা। স্লগ ওভারে অসি বোলাররা ঘুরে না দাঁড়ালে ৪০০–র কাছাকাছি রান তুলে ফেলত দক্ষিণ আফ্রিকা।
টস জিতে এদিন দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। ওপেনিং জুটিতে ডিকক ও বাভুমা তোলেন ১০৮। ৩৫ রান করে আউট হন বাভুমা। ভ্যান ডার ডুসেন ২৬ রান করে আউট হন। এরপর আগের দিনের মতো ডিকক ও মার্করাম দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। চলতি বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করে আউট হন ডিকক। ১০৬ বলে তিনি করেন ১০৯। ৪৪ বলে ৫৬ রান করেন মার্করাম। তিনি আউট হতেই রানের গতি কমে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে তোলে ৩১১/‌৭।  ক্লাসেন করেন ২৯, মিলার ১৭, জানসেন ২৬। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২টি করে উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
জয়ের জন্য ৩১২ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে বিপর্যয়ে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। ৭০ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায়। ওপেনিংয়ে এদিনও দলকে ভরসা দিতে পারেননি মিচেল মার্শ (‌৭)‌। ডেভিড ওয়ার্নারও (‌১৩)‌ ব্যর্থ। স্মিথ করেন ১৯। মিডল অর্ডারকে ভরসা দিতে পারেননি জশ ইংলিস (‌৫)‌, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (‌৩)‌, মার্কাস স্টয়নিস (‌৫)‌। এরপর সাময়িক প্রতিরোধ গড়ে তোলেন মার্নাস লাবুশেন (‌৪৬)‌ ও মিচেল স্টার্ক (‌২৭)‌। প্যাট কামিন্স করেন ২২। শেষ পর্যন্ত ৪০.‌৫ ওবারে ১৭৭ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। ৩৩ রানে ৩ উইকেট নেন কাগিসো রাবাডা। ২টি করে উইকেট নেন মার্কো জানসেন, কেশব মাহরাজ ও তাবরেজ শামসি।