- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- নভেম্বর ২১, ২০২৩
গাজায় মানবিক সংকট চলছে, এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ আফ্রিকা মঙ্গলবার ভার্চুয়াল ব্রিকস সম্মেলন করার আহ্বান জানাল
গাজায় চলমান পরিস্থিতির মধ্যে, দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি সিরিল রামাফোসা সোমবার একটি ভার্চুয়াল ব্রিকস যৌথ সম্মেলনের আহ্বান জানিয়ে ব্রিকস গোষ্ঠিভূক্ত দেশগুলিকে বৈঠকে উপস্থিত হতে আবেদন জানিয়েছেন বলে আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি কার্যালয় সূত্রে জানান হয়েছে। এই বড় ও গুরুত্বপূর্ণ ভার্চুয়াল বৈঠকে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেসও অংশ নেবেন।
একটি প্রেস বিবৃতিতে রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে জানান হয়েছে বৈঠকের শুরুতে গাজায় উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে প্রথমে দষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি ভাষণ দেবেন তারপর বৈঠকে উপস্থিত দেশগুলির প্রতিনিধিরা গাজায় যে মানবিক সংকট চলছে তা নিয়ে তাঁদের বক্তব্য রাখবেন। বৈঠক শেষে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বিশেষ করে গাজা প্রসঙ্গে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হবে। মঙ্গলবার এই ভার্চুয়াল ব্রিকস যৌথ সম্মেলনটি হবে।
এই ভার্চুয়াল সম্মেলনে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন, সৌদি আরব, আর্জেন্টিনা, মিশর, ইথিওপিয়া, ইরান এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহির নেতারা যোগ দেবেন।
ইসরায়েলের তরফে বলা হশেছে, গত ৭ অক্টোবর, হামাস ইসরায়েলে রকেট হামলা চালালে তাতে ১২০০ ইসরায়েলি নাগরিকের মৃত্যু হয়, হামাসরা ২৪০ হন ইসরায়েলিকে বন্দি করে। তার পর থেকে ইসরূয়েল গাজা দখল করে, সেখানকার হাসপাতাল, স্কুল, আশ্রয় শিবিরে নির্বিচারে বিমান ও বোমার হামলা চালাচ্ছে। নিষিদ্ধ ফসফরাস বোমাও ব্যবহার করেছে ইসরায়েল হামাসকে ধ্বংস করতে।
দক্ষিণ আফ্রিকা দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনিদের ঘোষিত সমর্থক। ক্ষমতাসীন আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস বা এএনসি প্রায়শই এই লড়াইকে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে নিজস্ব সংগ্রাম বলে মনে করে আসছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার ঘোষণা করেছে, গাজার পরিস্থিতি নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন এবং এই কারণেই তারা ইসরায়েল থেকে তাদের সমস্ত কুটনীতিকদের প্রত্যাহার করে নেবে।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের এক মন্ত্রী খুম্বুদজো এনতশাভেনি সোমবার বলেছেন, তেল আভিবের সমস্ত কূটনৈতিক কর্মীদের আরও বিশদ বিবরণ না দিয়ে পরামর্শের জন্য প্রিটোরিয়ায় ফিরে যেতে বলা হবে।
প্রিটোরিয়া দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনিদের ঘোষিত সমর্থক, ক্ষমতাসীন আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টি প্রায়শই এই লড়াইকে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে আগের সংগ্রামের সাথে যুক্ত করে আসছে।
ঐতিহাসিক ভাবে চিন ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতিশীল এবং ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বের দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের সমর্থনকারী।
গত মাসের ৭ তারিখ যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বেইজিং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে আসছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ছড়ানোর জন্য পশ্চিমিদের অভিযুক্ত করছেন এবং এই যুদ্ধে ইসরায়েলের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করছেন।
তবে এটা এখনও স্পষ্ট নয় যে চিন ও অন্যান্য উদীয়মান শক্তির হস্তক্ষেপে শত্রুতা বন্ধের কোনও সম্ভাবনা আছে কি না, কারণ ইসরায়েল খুব জোরের সঙ্গে এখনও বলছে যে হামাস ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার শর্তে যুদ্ধবিরতি বাধ্যতামূলক।
এই ভার্চুয়াল ব্রিকস সম্মেলন এমন সময় হচ্ছে যখন গত সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকা আরও পাঁচটি উন্নয়নশীল দেশের সঙ্গে ইসরায়েলকে যুদ্ধাপরাধের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে উল্লেখ করার জন্য বৈঠক করেছে।
❤ Support Us