- দে । শ
- নভেম্বর ৪, ২০২৪
ভাইফোঁটা স্পেশ্যাল মিষ্টাতে রতন স্মরণ

ভাইফোঁটার মিষ্টান্নে সদ্যপ্রয়াত শিল্পপতি ‘রতন টাটার অবয়ব। ফুটিয়ে তুলেছেন কালনা শহরের ছোটদেউরি এলাকার একটি মিষ্টির দোকানের কারিগররা। এই ‘রতন টাটা সন্দেশ’ই এবারের ভাইফোঁটা স্পেশ্যাল। ছানা আর ক্ষীরের মিশেলে তৈরি এই সন্দেশের দাম ৫০০ টাকা পিস। তাতে অবশ্য পরোয়া নেই বোনেদের। ভাইয়ের পাতে এই স্পেশ্যাল মিষ্টি তুলে দিতে দোকান খুলতেই লাইন দিয়েছেন বোনেরা। বিক্রিও হচ্ছে একেবারে হটকেকের মত। ফি-ভাইফোঁটায় অভিনব মিষ্টি আমদানি করে নজর কাড়ে এই ‘মা ভবানী মিষ্টান্ন ভাণ্ডার’। দোকানের তরফে অনির্বাণ দাস জানালেন, ‘মিষ্টিতে অভিনবত্বও আনা হল, আবার পদ্মবিভূষণ প্রাপ্ত দেশবরেণ্য শিল্পপতিকে শ্রদ্ধাও জানানো হল।’ শুধু কালনা শহরই নয়, মিষ্টি কিনতে সুদূর কলকাতা, হাওড়া, হুগলী থেকেও ছুটে এসেছেন ক্রেতারা।
কালনার দোকানটিতে ছানা ও ক্ষীরের ফুচকা, পিৎজা, চাঁপ সন্দেশ, চকলেট বল থেকে শুরু করে নানা ধরনের একশরকমেরও বেশি মিষ্টির সম্ভার রয়েছে। দাম ৭ টাকা থেকে ৫০০ টাকা। ভাইফোঁটার স্পেশ্যাল মিষ্টি তৈরিতে ভেল্কি দেখাচ্ছে কাটোয়া শহরের ‘সন্দেশ’, ‘শ্রদ্ধাঞ্জলি’, ‘মিষ্টিমুখ’-সহ বিভিন্ন মিষ্টান্ন ভাণ্ডারও। সব ধরনের ক্রেতার পকেটের বিষয়টি মাথায় রেখে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। কালনার মাখা সন্দেশ থেকে শুরু করে ছানার কেক, লঙ্কা-রসগোল্লা বা কাটোয়ার পানতোয়ার চাহিদা রাজ্যজোড়া। উৎসবের মরশুমে ও ভাইফোঁটায় সেই চাহিদা আকাশ ছোঁয়। কালনার মাখা সন্দেশ বিক্রি হয় কেজি প্রতি ২৫০ টাকায়। ভাইফোঁটায় দর বেড়েছে। কাটোয়ার যে পানতোয়া ৭ টাকা পিস দরে বিকোত, তা একলাফে বেড়ে ১৫ টাকা হয়েছে।
কালনা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীদের ছানার জোগান দেয় কালনা শহরের তেঁতুলতলা ও চকবাজার এলাকার জোড়া আড়ত। রামকৃষ্ণ ঘোষ নামে এক আড়তদার বলছিলেন, ‘ছানার জোগান ঠিকঠাক না মেলায় চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছি।’ কিছুদিন আগে যে ছানার দর ছিল কেজি প্রতি ২০০ টাকা, এবার তা ৩০০ টাকা ছাড়িয়েছে। মেমারির বোহার থেকে রোজ কালনার আড়তে ৪০ কেজি করে ছানা আনেন তন্ময় ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘খোল, খড়, ভুষি-সহ গরুর খাবারের দর বেড়েছে। সেই তুলনায় ছানার দর মিলছে না। লাভ হচ্ছে না বলে ছানা কম তৈরি করছি।’ শুধু ছানা? ভিয়েনের জন্য জ্বালানি গ্যাস সিলিন্ডার, পাম তেল, চিনির দর বেড়েছে। কারিগরদের মজুরি বেড়েছে ১০ শতাংশ। কাটোয়ার স্টেশন রোডের খোকন গণাই, কালনার ছোটদেউরি এলাকার মিষ্টির দোকানি অরিন্দম দাসরা বলছিলেন, ‘মিষ্টান্ন তৈরির খরচের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মিষ্টির দর তেমন বাড়াতে পারছি না। ক্রেতাদের পকেটের বিষয়টা মাথায় রাখতে হচ্ছে।’
❤ Support Us