- এই মুহূর্তে দে । শ
- মে ২১, ২০২৪
নির্ভেজাল এমডিএইচ, এভারেস্ট। শংসাপত্র এফএসএসআই-য়ের

ভারতীয় মশলা ব্যবসার জগতে দুই ‘জায়ান্ট’ এমডিএইচ আর এভারেস্ট ,অবশেষে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এফএসএসআই)-র ছাড়পত্র পেল। সূত্র মারফত জানা গেছে, ওই দুই সংস্থার কারখানা থেকে ৩৫ টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল, যার মধ্যে ২৮ টিতে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কীটনাশক ইথাইলিন অক্সাইডের কোনো চিহ্ন মেলেনি। বিগত দিনে হংকং এবং সিঙ্গাপুরে এই দুই সংস্থার মশলাকে নিষিদ্ধ করা নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত হয়।
হংকং এর খাদ্য নিয়ামক সংস্থা এর আগে গ্রাহক এবং বিক্রেতা দুই পক্ষকেই এমডিএইচ ও এভারেস্ট কোম্পানির মশলা বিক্রি করতে এবং কিনতে নিষেধ করে। বিশেষ করে মাদ্রাস কারি পাউডার, এভারেস্ট মাছের ঝোল মশলা, সম্বর মশলা, কারি পাউডার এবং মিক্সড মশলা পাউডার কিনতে সাবধান করা হয় গ্রাহকদের।
সিঙ্গাপুরের খাদ্য নিয়ামক সংস্থাও একই পদক্ষেপ নেয়। ভারতের তরফে এই দেশের নিয়ামক সংস্থা এফএসএসআই এপ্রিল মাসের ২২ তারিখে দেশব্যাপী একটি পরিদর্শনের সুচনা করে। নির্দিষ্ট কয়েকটি মশলার নমুনা সংগ্রহ করার জন্য ফুড কমিশনারকে নির্দেশ দেওয়া হয় । সেই নির্দেশ মতো, এভারেস্ট সংস্থার ৯ টি ও এম ডিএইচের ১১ টি প্রস্তুতকারক ইউনিট থেকে কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং সেগুলি গবেষণার জন্য পাঠানো হয়। এই ৩৪ টি মশলার নমুনার পরীক্ষার পর জানা যায়, সেখানে ইথাইলিন অক্সাইডের কোনো অস্ত্বিত্ব নেই। সূত্র জানাচ্ছে, শুধুমাত্র এম ডি এইচ বা এভারেস্ট নয় কোনো ভারতীয় সংস্থার মশলাতেই ওই মারাত্মক কর্কট রোগ আবাহনকারী রাসায়নিকের অস্ত্বিত্ব নেই।
ভারতীয় মশলার স্বাদ ও গন্ধের জন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির কাছে এর চাহিদা বিপুল। মশলা ব্যবসার জগতে এই দুই বৃহৎ সংস্থার দিকে আঙুল উঠতে বহু সংস্থাই সিঁদুরে মেঘ দেখেছিল। এর প্রভাব পড়তে পারত কয়েক হাজার কোটি টাকার শিল্পেও। শেষমেশ , চওড়া হাসি দেখা দিয়েছে সংস্থার কর্ণধারদের তো বটেই, সাধারণ খাদ্যরসিক ভারতীয়ের ঠোঁটের কোনেও।
❤ Support Us