Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩

প্রাথমিকে ফের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার দিন ঘোষণা পর্ষদের, সবাই পরীক্ষা দিতে পারবেন না

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
প্রাথমিকে ফের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার দিন ঘোষণা পর্ষদের,  সবাই পরীক্ষা দিতে পারবেন না

চলতিববছরের ডিসেম্বর মাসে প্রাথমিকের টেট পরীক্ষা নেওয়া হবে। এটা ঘোষণা হবে জানাই ছিল, অবশেষে আজ, বুধবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল সাংবাদিক বৈঠক করে সে কথা ঘোষণা করেছেন। আগামী ১০ ডিসেম্বর টেট পরীক্ষার দিন ধার্য করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ওয়েবসাইটে আজ, বুধবার সন্ধ্যায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে পর্যদ। বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হবে টেটের রেজিস্ট্রেশন। পর্ষদ সভাপতি জানান, ২০২৩ সালের টেট পরীক্ষায় ওএমআর শিটের আসল কপি পর্ষদ নিয়ে নেবে। আর পরীক্ষার্থী কপি তাঁরা বাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন।
২০২৩ সালের টেট পরীক্ষা কারা দিতে পারবেন, কারা দিতে পারবেন না—সবটাই জানিয়ে দিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি। ২০২২ সালে টেট পরীক্ষা হয়েছিল ১১ ডিসেম্বর। পাঁচ বছর পর পরীক্ষা হয়েছিল। তখন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি জানিয়েছিলেন, প্রত্যেক বছর নিয়ম করে টেট পরীক্ষা হবে। এই বছরও ডিসেম্বর মাসে টেটের আয়োজন করছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এদিন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেন, “বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে আবেদন করার সময় শুরু হবে। তিন সপ্তাহ সময় থাকবে প্রার্থীদের কাছে। কারও পেমেন্টের ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা থাকলে বাড়তি একদিন বর্ধিত করা হবে সময়। তবে কখনই ধরে নেওয়া যায় না, কেউ টেট পাশ করলেই সঙ্গে সঙ্গে নিয়োগ হবে। কারণ নিয়োগের একটা প্রক্রিয়া আছে।”
অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, বিএড যাঁরা করেছেন, তাঁরা এই বছর টেটে বসতে পারবেন না। কিন্তু ডিএলএড–সহ প্রাথমিক শিক্ষকের অন্য প্রশিক্ষণ যাঁরা নিয়েছেন, তাঁরা টেট পরীক্ষা দিতে পারবেন। এমনকী গত বছরের টেট পরীক্ষায় যাঁরা অকৃতকার্য হয়েছিলেন, তাঁরাও নতুন করে এই বছর ফর্ম পূরণ করতে পারবেন। সুতরাং কারা পারবেন না সেটা পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে। গৌতম পাল বলেন, “শিক্ষামন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন যাতে দ্রুত নিয়োগ হয়। ইতিমধ্যেই আমরা ইন্টারভিউ নেওয়ার প্রক্রিয়াও শেষ করেছি। প্রার্থীদের কিছু সমস্যায় নিয়োগ আটকে আছে। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ থেকে আমরা ছাড়পত্র পেয়েছি। আশা করি সুপ্রিম কোর্ট থেকেও দ্রুত ছাড়পত্র পাব। তখনই আমরা নিয়োগ করতে পারব।”
২০২১–২৩ সালের ডিএলএড পরীক্ষার প্রথম পর্ব সম্পন্ন হয়েছে। ১৫০টি কেন্দ্রে প্রায় ৩৭ হাজার পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেন। এই পরীক্ষার যাবতীয় প্রক্রিয়া নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানান পর্ষদ সভাপতি। গৌতম পাল বলেন, “রাজ্য সরকার চাইছে আরও বেশি শূন্যপদে নিয়োগ হোক। এই পর্বের নিয়োগ শেষ হলেই পরের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিতে পারব। এমনকী প্রত্যেক বছর দু’‌বার নিয়োগ চাইছে রাজ্য সরকার। তাহলে আর কোনও  সমস্যা থাকবে না।”

  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!