- দে । শ
- মার্চ ২৩, ২০২৩
শিক্ষক নিয়োগ বিধিতে রদবদল ! যোগ্যতা নির্ধারণে বাদ অ্যাকাডেমিক স্কোর।লিখিত পরীক্ষার সঙ্গে ইণ্টারভিউকেও স্থান দেওয়ার সুপারিশ এসএসসির
নয়া বিধিতে মূল্যায়নে স্বচ্ছতা কতটা আসবে তা নিয়ে সংশয় অব্যাহত
শিক্ষক নিয়োগের নিয়মে রদবদল। অ্যাকাডেমিক স্কোরকে তুলে দিতে চাইছে এসএসসি। কমিশন ইতিমধ্যে তাঁর সুপারিশ শিক্ষা দফতরের কাছে পাঠিয়েছে। তাঁদের অনুমোদন পাওয়ার পর তা মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে । তারপর তাঁদের বৈঠকে ছাড়পত্র পেলে গেজেট আকারে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে রাজ্য সরকার।
বুধবার কমিশনের চেয়ার ম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার নিয়ম বদলের কারণ সম্পর্কে বলেন, যিনি ১০ বছর আগে পাশ করেছেন তাঁর সঙ্গে বর্তমানে যিনি স্নাতক বা স্নাতকোত্তর স্তরের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাঁর প্রাপ্ত নম্বরের তফাত অনেকটাই হয়ে যায়। তা ছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে নম্বর দেওয়ার ‘প্রবণতায়’ তারতম্য রয়েছে। ফলে প্রতিযোগিতায় সমতা বজায় রাখার জন্য এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল কমিশন।
তিনি আরো জানিয়েছেন, নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে কমিশনের আপাতত আলোচনা হয়েছে। তাঁর আশা, অ্যাকাডেমিক স্কোর তুলে দিলে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সামঞ্জস্য আসবে। তিনি বলেন, যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য আমরা ওএমআর শিটে পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষপাতী। তাছাড়া চেয়ারম্যান জানিয়েছেন তাঁদের বৈঠকে আলোচনায় ঠিক হয়েছে ইণ্টার ভিউ ফিরিয়ে আনা হবে। এব্যাপারেও শিক্ষা দফতরেকে সুপারিশ করা হয়েছে।
বস্তুত, শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্তে ওএমআর শিটে অনিয়ম ধরা পড়েছে। তারপরেও কেন এসএসসি কর্তৃপক্ষ ওএমআর শিট চাইছেন? সিদ্ধার্থ বলেছেন— ওএমআর শিটে পরীক্ষা নিলে মামলা এবং আরটিআই (তথ্যের অধিকার আইন)-এ আবেদন কম হয়। কারণ, পরীক্ষার্থীরা প্রতিলিপি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তাঁর পরীক্ষার সম্ভাব্য ফলের মূল্যায়ন করতে পারেন।
সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগ বিধিতে পরিবর্তন আনার কথা জানিয়েছিলেন। আপাতত নবম দশমে নিয়ম পরিবর্তন করতে চাইছে কমিশন। তবে ্কাউন্সেলিং ফিরিয়ে আনা হলেও তাঁর জন্য বরাদ্দ নম্বর নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সাধারণত মৌখিক পরীক্ষায় স্বজন পোষণ বা ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায় । শিক্ষক বাছাইয়ের ক্ষেত্রে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বর যোগ করে মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে।সেক্ষেত্রে, মৌখিক পরীক্ষায় যদি কোনো অসদুপায় অবলম্বন করা হয় তাহলে লিখিত পরীক্ষায় ভালো ফল করলেও চূড়ান্ত মেধা তালিকা তৈরির সময় যোগ্য চাকরি প্রার্থী প্রতিযোগিতার দৌড়ে অনেক পিছনে চলে যাবে। তাই স্বচ্ছতা আনতে কমিশনের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে আরো গভীর ভাবনা-চিন্তার অবকাশ রয়েছে।
❤ Support Us