- স | হ | জ | পা | ঠ
- ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২২
একটি ডোজেই কাজ, ছোট্ট ছোট্ট পায়ে হাঁটছে সেরিব্রাল পালসি আক্রান্ত অদ্রীশ

বছর চারের অদ্রীশ পাল। বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমায়। সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত তার দুই পা। দাঁড়ানো, হাঁটাচলা, দৌড়দৌড়ি কিছুই করতে পারত না। তিন বছর ন’মাস পর্যন্ত বাবা-মায়ের কোলে কোলেই বড় হয়েছে অদ্রীশ। সেই শিশুকেই সঠিকভাবে পরীক্ষা করে এক ওষুধেই নিজের পায়ে দাঁড় করাল এসএসকেএম হাসপাতালের ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগ ।
দিন কয়েক আগে অদ্রীশ বাবার সঙ্গে পিজিতে এসেছিল রুটিন চেকআপ করাতে । সেই সময় অদ্রীশের বাবা সুভাষচন্দ্র পাল বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. রাজেশ প্রামাণিককে বলেন, অদ্রীশ এখন কারও সাহায্য না নিয়েই হাঁটতে পারছে ডাক্তারবাবু । কথাটা শুনেই ডক্টর রাজেশ অদ্রীশকে কাছে ডাকেন। বাবার কাছ থেকে টলমল পায়ে হেঁটে ডাক্তারবাবুর কোলে ঝাঁপিয়ে পড়ে অদ্রীশ। বলল ডাক্তার আঙ্কেল—‘এখন আমি হাঁটতে পারি। অল্প ছোটাছুটিও করতে পারছি।’
রাজেশবাবু উচ্ছ্বসিত। এক গাল হাসি ছড়িয়ে অদ্রীশকে আদর করে জানালেন, ২০২১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর অদ্রীশকে পিএমআর বিভাগে ভরতি করা হয়েছিল। সাতদিন চিকিৎসা চলেছিল। বটুলিনাম টক্সিন নামে ৪০ হাজার টাকা দামের একটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয় তাকে। একটা ডোজেই কাজ হয়েছে। তিন মাস হল অদ্রীশ হাঁটছে।’
এমন অনেক রোগীই আমাদের পিএমআর ক্লিনিকে এসে সুস্থ হচ্ছেন। নতুন জীবন পাচ্ছেন। অঙ্কোলজি, স্ট্রোকের রোগী, সবারই পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করছি আমরা।পিজির পাশাপাশি শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালেও চালু হয়েছে পিএমআর-এর আলাদা বিভাগ। তৈরি হচ্ছে ৭৫ বেডের ওয়ার্ড। যেখানে অদ্রীশের মতো শিশুদের জন্য ১৪টি বেড নির্দিষ্ট করা থাকছে । রাজেশবাবু কথায়, ‘শুধু ওষুধ বা ইঞ্জেকশনে পুরোপুরি সুস্থতা আসে না। সঙ্গে চাই বিজ্ঞানসম্মত ব্যায়াম, ফিজিওথেরাপি, অকুপেশনাল থেরাপি, স্পিচ থেরাপি, অর্থো-স্পাইন সাপোর্ট। এই বিষয়কে একসূত্রে বেঁধেছে পিএমআর।’
❤ Support Us