- Uncategorized এই মুহূর্তে দে । শ
- জুন ২০, ২০২৩
জেলা প্রতি ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইল কমিশন, প্রতিবাদ বিরোধীদের

জেলা পিছু ১ কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে রিকুইজিশন পাঠাল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীতে ৯০ থেকে ১০০ জন সেনা থাকে। তার মধ্যে আনুষঙ্গিক কাজের জন্য বাদ দিলে সক্রিয় ভাবে ৭০ থেকে ৭৫ জনকে কাজে লাগানো যায়। এখন প্রশ্ন যেখানে ৬১ হাজার ৬৩৬টি বুথ, সেখানে জেলা প্রতি ১ কোম্পানি বাহিনী করবে টা কী? এতে কী শান্তিতে নির্বাচন হতে পারবে? কমিশনের এই সিদ্ধান্ত যেন আদালতকে নামকাওয়াস্তে মান্যতা দেওয়া। ঠিক যেন সাপও মরল লাঠিও ভাঙল না গোছের একটা সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খাওয়ার পর অবশেষে প্রতি জেলা পিছু ১ কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী কমিশন কেন কাজে লাগাবে? প্রশ্ন সেটাই।
গত মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছিল কমিশনের চিহ্নিতকরা ৭টি জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করার ব্যবস্থা নিক কমিশন। তবে সেই নির্দেশের পর দুদিন তালবাহানা করে কমিশন হাইকোর্টের কাছে কেন্দ্রীয় বাহিনী ৭জেলায় মোতায়েনের নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করতে আবেদন জানায়। এই আবেদন রাজ্য নির্বাচন কলকাতা হাইকোর্টে করে গত বৃহস্পতিবার, অর্থাৎ কলকাতা হাইকোর্টের ৭টি স্পর্শকাতর জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর নির্দেশের দুদিন পর। বৃহস্পতিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন আদালতে বলে, স্পর্শকাতর জেলা নির্বাচনে কোনও ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা ঘটেছে। এর পর কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম নির্দেশ দেন, রাজ্যের সর্বত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন করাতে হবে। ৪৮ ঘণটার মধ্যে কমিশনকে কেন্দ্রের কাছে বাহিনী চেয়ে আবেদন করতে হবে। বৃহস্পতিবার রাজীব সিনহা বলেন, “কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে কমিশন মান্যতা দেবে। কিন্তু শুক্রবার কাকদ্বীপে নব জোয়ারের সভামঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরোধীতা করে বক্তব্য রাখার পরের দিনই কমিশন ও রাজ্য একত্রে পঞ্চায়েতে নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এসএলপি খারিজ করে দিলে শেষ পর্যন্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশন এক প্রকার নিরুপায় হয়েই এখন জেলা প্রতি ১ কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে রিকুইজিশন দিয়ে কী কমিশন নিয়ম রক্ষা করল?
কমিশনের এই সিদ্ধান্ত শুনে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেছেন, ” এটা দিদিমনির নির্দেশে ছ্যাবলামো করছে কমিশন।”
❤ Support Us