Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • এপ্রিল ৯, ২০২৪

সন্দেশখালিতে ক্যাম্পের মধ্যে দুস্কৃতী হামলায় আক্রান্ত পুলিশ

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
সন্দেশখালিতে ক্যাম্পের মধ্যে দুস্কৃতী হামলায়  আক্রান্ত পুলিশ

রেশন দূর্নীতির তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিল ইডি। সেই সন্দেশখালিতে এবার আক্রান্ত রাজ্যের পুলিশ। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে। একটু শান্ত হতেই আবার সন্দেশখালিতে দুস্কৃতী হামলায় পুলিশ আক্রান্ত কেন?‌ তার আবার পুলিশ ক্যাম্পের মধ্যে ঢুকে। অভিযোগের তির সেই রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে। সোমবার, রাতের অন্ধকারে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পে দুস্কৃতী তান্ডবে ফের শিরোনামে উঠে এল সন্দেশখালি। দুস্কৃতীদের রডের আঘাতে জখম সন্দীপ সাহা নামে এক পুলিশ কনস্টেবল। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাত দেড়টা নাগাদ সন্দেশখালির শিতলিয়া গ্রামে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পে। সেখানে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। তাতে পুলিশ কনস্টেবল সন্দীপ মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় খুলনা হাসপাতাল থেকে তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এখন তিনি কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জখম পুলিশ কনস্টেবলের কলকাতায় একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে চিকৎসা চলছে। মাথায় সিটি স্ক্যান হয়েছে। অস্ত্রোপচারও হয়েছে। এখন অবস্থা স্থিতিশীল। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। ঘটনা চক্রে তাঁরা তৃণমূল সমর্থক হওয়ায় এনিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে উচ্চগ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খুলনা পঞ্চায়েতের শিতলিয়া গ্রামে একটি বহুমূখী সাইক্লোন সেন্টারে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প চলছে দু’‌–‌আড়াই মাস। চালু হয়েছে সম্প্রতি সন্দেশখালিতে উত্তেজনা তৈরি হওয়ার পরে পুলিশ চৌকি করা হয়। সেখানেই সোমবার গভীর রাতে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন ক্যাম্পের ৩ পুলিশ কর্মী। সন্দীপ সাহা নামে ওই কনস্টেবল বাথরুমে গিয়েছিলেন। সেখানে আচমকাই সেখানে দুস্কৃতীরা ঢুকে অতর্কিতে সন্দীপ সাহার ওপর আক্রমন করে। মাথায় লোহার রড বা ভারি কিছু দিয়ে আঘাত করে। সন্দীপবাবুর চিৎকারে পাশের ঘর থেকে সহকর্মী ছুটে এসে দেখেন সন্দীপের মাথায় ক্ষত। রক্তে ভেসে যাচ্ছে। সেই সময় আশপাশের লোকজন ছুটে এসে জখম পুলিশ কর্মীকে খুলনা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। আঘাত গুরুতর হওয়ায় অচৈতন্য অবস্থায় সেখান থেকে তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। আজ সকালের এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। পুলিশ তদন্তে নেমে ৩ জনকে আটক করেছে। যাদের আটক করা হয়েছে ঘটনাচক্রে তারা তৃণমূলের স্থানীয বুথ স্তরের কর্মী। ১২৮ নম্বর বুথ সভাপতি সিদ্ধার্থ মন্ডল, অঞ্চল যুব তৃণমূলের সভাপতি দিব্যেন্দু দাস, সক্রীয় তৃণমূল কর্মী সিন্টু মন্ডল। এরা সকলেই খুলনা পঞ্চায়েতের প্রধান সত্যজ্যোতি সান্যালের ঘনিষ্ট বলে পরিচিত। পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে এলাকায় একটি জায়গায় রাতে মদ জুয়ার আসর বসত। তা নিয়ে এলাকার মানুষ ক্যাম্পের পুলিশকে অভিযোগ জানায়। ক্যাম্পের পুলিশ কর্মীরা তাদের সতর্ক করে। এনিয়ে সন্দীপ সাহার সঙ্গে বচসা হয়। হামলা তারই জের বলে অনুমান। একদল দুষ্কৃতী ঘরে ঢুকে তার মাথায় রিভালবার দিয়ে মাথায় আঘাত করে। আচমকা এই ঘটনায় ওই পুলিশকর্মীর মাথা ফেটে যায়। তার চিৎকারে ওই চৌকিতে থাকা অন্য পুলিশ কর্মীরা ছুটে আসলে দুষ্কৃতীরা রাতে অন্ধকারে ঘা ঢাকা দেয়। আহত ওই পুলিশকর্মীকে রাতেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে খুলনা পরে সেখান থেকে কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কি কারনে ওই দুষ্কৃতী তার উপর হামলা চালালো তার নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনার জেরে এলাকায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। সন্দেশখালির খুলনার বাসিন্দা , বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএমের প্রার্থী নিরাপদ সরদার বলেন, ‘‌তৃণমূল ভোটের আগে এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ ফেরাতে চাইছে। তারা পুলিশকেও রেহাই দিচ্ছে না। এই ঘটনা সেটাই প্রমান করে।’‌ বিজেপি বসিরহাট লোকসভার আহ্বায়ক বিকাশ সিংয়ের অভিযোগ, ‘‌পুলিশ দুস্কৃতীদের হাতে মার খেল এর থেকে বোঝা যাচ্ছে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা কোথা নেমে গেছে। এর পেছনে কাজের মদত রয়েছে তার তদন্ত হোক। তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতো বলেন, ‘‌এই ঘটনার পেছনে কোন রাজনৈতিক কারণ নেই। যাদের পুলিশ আটক করেছে কাকতালীয় ভাবে তারা তৃণমূল সমর্থক। আশাকরি তদন্তে সঠিক ঘটনা উঠে আসবে।’‌


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!