- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- ডিসেম্বর ২১, ২০২৩
নতুন বছরে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা
নতুন বছর শুরুর মুখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য সরকারি কর্মচারী, স্কুল, কলেজ শিক্ষক-শিক্ষিকা, অশিক্ষক কর্মচারী, রাজ্য সরকারি পেনশন ভোগীদের জন্য ৪ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ ঘোষণা করলেন। আলেন পার্কে বড়দিনের অনুষ্ঠানের সূচনা করতে গিয়ে এই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমার রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা পরিশ্রম করে কাজ করেন। তাদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য ৪ শতাংশ ডিএ দেওয়া হবে। এর ফলে রাজ্যের ২৪০০ কোটি টাকা খরচ হবে। লাভবান হবেন রাজ্য সরকারের বেতন ও পেনশন প্রাপক মোট ১৪ লক্ষ মানুষ। তবে রাজ্য সরকার মাঝে মাঝে ডিএ দেয়। এটা বাধ্যতামূলক নয়। আমাদের পে কমিশন আছে। কেন্দ্রের নেই। কেন্দ্রের সার্ভিস রুল আর রাজ্যের সার্ভিস রুল এক নয়। রাজ্য খুশি হয়ে যখন সম্ভব ডিএ দেয়। আগামী ১ জানুয়ারী থেকে নতুন ডিএ কার্যকর হবে।”
প্রসঙ্গত রাজ্য সরকার এর আগে ৬ শতাংশ ডিএ দিত। ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির ফলে তা বেড়ে দাঁড়াল ১০ শতাংশে। এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার ৪৬ শতাংশ ডিএ দেয়। রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রের ডিএ -র ফারাক রইল ৩৬ শতাংশ।
এদিকে ডিএ আন্দোলনকারী সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতা ভাস্কর ঘোষ বলেন, “আমাদের রাজ্যের কাছে ডিএ বাকি ৪০ শতাংশ। মুখ্যমন্ত্রী দিলেন ৪ শতাংশ। ডিএ ঘোষণা করার একটা নিয়ম আছে। সরকারি ভাবে একটা নির্দেশিকা জারি করতে হয়। তিনি তা না করে অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে ডিএ ঘোষণা করছেন। এই ডিএ আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। আমাদের আন্দোলন যেমন চলছে তেমন চলবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন ডিএ দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়, ঐচ্ছিক। আদালত কিন্তু বলে দিয়েছে ডিএ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের অধিকার।”
কনফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মালয় মুখোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর এই ডিএ ঘোষণা প্রসঙ্গে বলেন, “এখন নানান চাপে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সামনে লোকসভা নির্বাচন। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ইচ্ছে মতো ডিএ দিচ্ছেন। এই ডিএ ঘোষণায় কর্মচারী সমাজ খুশি নয়। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারী ডিএ মামলার শুনানি রয়েছে শীর্ষ আদালতে। হাই কোর্টে রাজ্য সরকার ডিএ মামলায় পরাজিত হয়ে শীর্ষ আদালতে গিয়েছে। আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব ডিএ আন্দোলনে। অধিকারের দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলবে।”
❤ Support Us