- এই মুহূর্তে মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- নভেম্বর ১, ২০২৩
দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান, ওয়াংখেড়েতে উন্মোচিত শচীনের মূর্তি
মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম শচীন তেন্ডুলকারের গর্ভগৃহ। এই মাঠেই তাঁর বেড়ে ওঠা। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামই শচীনের যৌবনের তপোবন, বার্ধক্যের বারাণসী। জীবনের শেষ স্বপ্নও পূরণ হয়েছে এই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামেই। ক্রিকেটের কিংবদন্তীকে সম্মান জানাতে আগেই স্টেডিয়ামের একটা স্ট্যান্ডের নামকরণ করা হয়েছিল। এবার শচীনের মূর্তি বসানো হল ওয়াংখেড়েতে। বৃহস্পতিবার ভারত–শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আগের দিন এই মূর্তি উন্মোচিত হল। ভারতে প্রথম কোনও স্টেডিয়ামে বসল কোনও ক্রিকেটারের মূর্তি বসল।
এপ্রিল মাসে ৫০ বছর পূর্ণ করেছেন শচীন তেন্ডুলকার। সেদিনই ঘোষণা করা হয়েছিল, ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শচীনের মূর্তি বসানো হবে। ৫০ তম জন্মদিনের সেরা উপহারটা ১ নভেম্বর পেলেন শচীন। এদিন মূর্তি উন্মোচন অনুষ্ঠানে শচীন ছাড়াও হাজির ছিলেন তাঁর স্ত্রী অঞ্জলি ও মেয়ে সারা তেন্ডুলকার। এছাড়াও ছিল চাঁদের হাট। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে, উপ–মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব জয় শাহ, সহ–সভাপতি রাজীব শুল্কা এবং মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার শীর্ষকর্তারা।
বাজি ফাটিয়ে এবং রঙীন কাগজ উড়িয়ে শচীনের মূর্তি উন্মোচন করা হয়। মূর্তিটি তৈরি করেছেন মুম্বইয়ের বিখ্যাত শিল্পী প্রমোদ কাম্বলি। শচীনের ব্যাট করার ভঙ্গী মূর্তিতে তুলে ধরা হয়েছে। প্রথমে ঠিক হয়েছিল বৃহস্পতিবার ভারত–শ্রীলঙ্কা ম্যাচ শুরুর আগেই শচীনের মূর্তি উন্মোচন করা হবে। কিন্তু পরে সেটা একদিন এগিয়ে আনা হয়। মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দিন পরিবর্তনের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়। এই অনুষ্ঠানে ভারতীয় দলের ক্রিকেটারদের উপস্থিত করার পরিকল্পনা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি।
২০০৯ সালে প্রথম ভারতীয় ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব হিসেবে লন্ডনের বিখ্যাত মাদাম তুসোর মিউজিয়ামে শচীনের মূর্তি স্থাপন করা হয়েছিল। এবার নিজের আঁতুর ঘরের স্থান পেল শচীনের মূর্তি। ওয়াংখেড়েতেই মাঠে খেলেই বড় হয়ে উঠেছেন শচীন। সেই মাঠেই চিরস্থায়ী হয়ে গেলেন। ২০১৩ সালে এই মাঠেই জীবনের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন শচীন। ২০১৪ সালে ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত হন। ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়াতে কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের মূর্তি বিভিন্ন স্টেডিয়ামে আছে।
মূর্তি উন্মোচনের পর কথা বলতে গিয়ে আবেগে রুদ্ধ হয়ে আসছিল শচীনের গলা। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নিজের বেড়ে ওঠার নানা সময়ের গল্প বলেন। বিনা টিকিটে খেলা দেখতে আসা থেকে শুরু করে, ১৯৮৭ বিশ্বকাপে বল বয় হওয়ার কাহিনী। শেষে কৃতজ্ঞতা জানাতে ভোলেননি বিভিন্ন সময়ের সতীর্থদের।
❤ Support Us