- এই মুহূর্তে দে । শ
- ডিসেম্বর ২৭, ২০২৩
শিশির অধিকারীকে “গুরুদেব” সম্বোধন করে কাঁথি পুরসভার প্রধানের পদ খোয়ালেন সুবলকুমার মান্না
শিশির অধিকারীকে “গুরুদেব” সম্বোধন করে কাঁথি পুরসভার প্রধান পদ খোয়ালেন তৃণমূল নেতা সুবলকুমার মান্না। তবে সুবল জানিয়েছেন, “আমি লিখিত কোনও নির্দেশ পাইনি।” এদিকে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, “শিশির অধিকারীকে প্রকাশ্যে যে গুরু বলতে পারেন তাঁকে তৃণমূল জায়গা দেয় না। সুবলকুমার মান্নাকে কাঁথি পুরসভার প্রধান পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। শিশির অধিকারী ও তাঁর পরিবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে সারাক্ষণ কুৎসা করছেন। সেই শিশির অধিকারীকে প্রকাশ্যে কেউ গুরু ডাকলে দল তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেই।”
সুবলকুমার মান্নাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার এই পদক্ষেপকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। এই প্রসঙ্গে সজল বলেন, “রাজনৈতিক শিষ্টাচার বলে কোনও কথা তৃণমূলের অভিধানে নেই। আমার রাজনৈতিক শিক্ষাগুরু ছিলেন সোমেন মিত্র। আমি সেটা প্রকাশ্যে স্বীকার করি। তবে আমি পরে সোমেন মিত্রর সমালোচনাও করেছি, বিরোধিতা করেছি। সেই কারণে আমার দল আমায় সরিয়ে দেয়নি। আমি কি এখন কোনও বিরোধী দলের নেতাকে দেখলে মুখ ঘুরিয়ে চলে যাবো? এটা শিষ্টাচার নয়। আর তৃণমূলের মুখপাত্র, যিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরদার মূল সুবিধাভোগী বলেছিলেন, তিনি এখন সুবল মান্নার বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করছেন। আমার প্রশ্ন কুণাল ঘোষ যে মমতার সমালোচনা করেছিলেন , তার বহিস্কার কবে হবে? এখন কি কুণাল ঘোষ তৃণমূল দলটা চালাচ্ছেন , মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গুরুত্ব না দিয়ে?”
সম্প্রতি কাঁথির একটি স্কুলের অনুষ্ঠানে কাঁথি পুরসভার প্রধান সুবলকুমার মান্না উপস্থিত ছিলেন। সেই অনুষ্ঠানে তৃণমূল সাংসদ, বর্তমানে বিজেপি ঘনিষ্ট এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ও প্রাক্তন তৃণমূল নেতা-মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারীও ছিলেন। শিশিরবাবুকে মঞ্চে দেখে পায়ে হাত দিয়ে প্রনাম করেন সুমলকুমার মান্না। তারপর অনুষ্ঠান মঞ্চে বলতে উঠে তিনি শিশিরবাবুকে তাঁর রাজনৈতিক গুরু বলে সম্বোধন করেন। তার পর সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব সুবলের বিরুদ্ধে নানান মন্তব্য করতে শুরু করেন। জেলা পার্টির তরফে বলা হয়, সুবল মান্নাকে সাসপেন্ড করা হবে। সুবল তখন বলেন, এই ফতোয়া তিনি মানেন না। দলের জেলা নেতৃত্ব তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে না। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে অপসারিত করলে তিনি মানবেন। শেষ পর্যন্ত দলের তরফে বুধবার ফোন করে সুবলকুমার মান্নাকে কাঁথি পুরসভার প্রধান পদ থেকে সরে যেতে নির্দেশ দেওয়া হল।
প্রসঙ্গত শিশির অধিকারী যে খানে থাকেন সেই ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রতিনিধি সুবলকুমার মান্না। শিশির অধিকারীর কাছেই তাঁর রাজনৈতিক পথ নেওয়া। সুবলকুমার মান্নার বক্তব্য সেই কারণেই তিনি শিড়শিরবাবুকে মঞ্চে দেখে গুরুজন হিসেবে সম্বোধন করেছেন, পায়ে হাত দিয়ে প্রনাম করেছেন। অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে সেই সময় তাঁর নেমে যাওয়া সম্ভব ছিল না।
❤ Support Us