Advertisement
  • মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
  • মে ৩, ২০২৩

ঔদ্ধত্য আর কতদিন?‌ বিরাট আচরণে রুষ্ট সুনীল।কী বললেন অনুতপ্ত হরভজন ?

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
ঔদ্ধত্য আর কতদিন?‌ বিরাট আচরণে রুষ্ট সুনীল।কী বললেন অনুতপ্ত হরভজন ?

সোমবার লখনউ সুপার জায়ান্টস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ম্যাচে গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে ছিলেন বিরাট কোহলি। বিপক্ষ ক্রিকেটারের সঙ্গে কিংবা বিপক্ষ শিবিরের সাপোর্ট স্টাফের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়াটা বিরাট কোহলির কাছে নতুন নয়। এর আগেও তাঁর আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঔদ্ধত্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। এবার গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ায় কোহলির নির্বাসনের দাবি তুলেছেন সুনীল গাভাসকার, হরভজন সিংয়ের মতো ক্রিকেটাররা।

ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ায় বিরাট কোহলি ও গৌতম গম্ভীরের ম্যাচ ফি–র ১০০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। ম্যাচ চলাকালীন যার সঙ্গে প্রথম ঝামেলা শুরু হয়েছিল, সেই নবীন–উল –হকের জরিমানা হয়েছে ম্যাচ ফি–র ৫০ শতাংশ। বিরাট কোহলির আচরণে হতবাক ক্রিকেটমহল। প্রাক্তন ক্রিকেটারদের মুখে সমালোচনার বন্য।

গাভাসকার তো সরাসরি নির্বাসনের দাবি তুলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘শুধু জরিমানায় কাজ হবে না। কোহলিকে কঠিন শাস্তি দিতে হবে। এই ব্যাপারে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের আরও কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। না হলে এই ধরণের ঘটনা চলতেই থাকবে। ১০০ শতাংশ ম্যাচ ফি কেটে কী আর হবে? কোহলি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে ১৬টি ম্যাচ খেলে ১৭ কোটি টাকা পাবে। এরমধ্যে সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল ম্যাচও রয়েছে। ফলে ওখান থেকে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিলে খুব বড় একটা পার্থক্য হবে না। আমার মতে, কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে। দু’‌জনকেই কয়েকটা ম্যাচ নির্বাসিত করতে হবে। যাতে আগামী দিনে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে।’‌

হরভজন সিংও বিরাট কোহলির নির্বাসন চান। তিনি বলেন, ‘‌১৫ বছর আগে আমি যখন শ্রীশান্তকে চড় মেরেছিলাম, সেদিন মনে হয়েছিল ঠিক করেছিলাম। আজ মনে হয়, সেদিন আমি ভুলই করেছিলাম। সেই ঘটনার কথা মনে পড়লে খুবই কষ্ট হয়। কোহলিকে মনে রাখতে হবে, ও একজন কিংবদন্তি। সকলের আদর্শ। কোহলিকে প্রায়ই মাঠে উদ্ধত আচরণ করে থাকে। শুধু জরিমানা দিয়ে কাজ হবে না। নির্বাসনে পাঠালে ভুল বুঝতে পারবে।’‌

ম্যাচ চলাকালীন নবীন–উল–হকের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন কোহলি। পরে ম্যাচ শেষে মাঠ ছাড়ার সময় দুই দলের ক্রিকেটাররা যখন করমর্দন করছিলেন, সেই সময় বিরাট কোহলিকে হাত মেলাতে যান কাইল মেয়ার্স। বিরাট কোহলিকে তিন জিজ্ঞাসা করেন, মাঠের মধ্যে ওই ধরনের আচরণ কেন করেছিলেন। এরপরই কোহলি নাকি আবার মেয়ার্সকে ও লখনউ সুপার জায়ান্টস দলকে গালাগালি করেন। তখন আবার মেয়ার্সের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শুরু হয়। তখন ঘটনাস্থলে চলে আসেন গৌতম গম্ভীর। তিনি মেয়ার্সকে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করেন।
এরপরই গম্ভীর মেয়ার্সকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর আবার ঘটনাস্থলে ফিরে আসেন। এবং কোহলির দিকে তেড়ে যান। কোহলিও সেই সময় গম্ভীরের দিকে তেড়ে যান। দুজনেই প্রায় হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন। এরপর দুই দলের ক্রিকেটাররা এসে কোহলি ও গম্ভীরকে সরিয়ে নিয়ে যান। লখনউ সুপার জায়ান্টস অধিনায়ক লোকেশ রাহুল ছুটে এসে কোহলিকে শান্ত করার চেষ্টা করেন এবং তাঁকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে যান।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!