Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • অক্টোবর ৬, ২০২৩

জাতিগত জনগণনায় নীতীশকে স্বস্তি সুপ্রিম কোর্টের, রাজ্যের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ নয়

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
জাতিগত জনগণনায় নীতীশকে স্বস্তি সুপ্রিম কোর্টের, রাজ্যের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ নয়

বিহার সরকার জাতিগত জনগণনা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পেল। দেশের  শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, রাজ্য সরকারের কাজে তারা কোনও হস্তক্ষেপ করতে পারে না। তাই বিহার সরকার চাইলে জাতিগত জনগণনার রিপোর্ট প্রকাশ করতেই পারে। তবে এই বিষয়টি নিয়ে বিহার সরকারকে নোটিসও দিয়েছে শীর্ষ আদালত। বিহারের জাতিগত জনগণনা নিয়ে আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে ফের শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে। প্রসঙ্গত, বিহারের এই জাতিগত জনগণনাকে দেশ ভাগের চেষ্টা বলে সমালোচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

পাটনা হাই কোর্ট বিহারের জাতিগত জনগণনার রিপোর্ট প্রকাশে অনুমতি দিয়েছিল। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। শুক্রবার সেই মামলার শুনানি চলাকালীন শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, আপাতত বিহারের জাতিগত জনগণনার রিপোর্ট প্রকাশে স্থগিতাদেশ দেওয়া যাবে না। কারণ রাজ্য সরকারের কার্যকলাপে হস্তক্ষেপ করতে পারে না আদালত। রাজ্য সরকার কোনও সিদ্ধান্ত নিলে সেখানেও বাধা দেওয়া যায় না। শীর্ষ আদালত আরও জানিয়েছে, এই গণনার তথ্য সম্পর্কে কোনও আবেদন জমা পড়লে তা বিচার করে দেখা যেতে পারে। বিহার সরকারকে চার সপ্তাহের মধ্যে এই গণনা সংক্রান্ত তথ্যের রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আগামী বছর জানুয়ারি মাসে পুনরায় এই মামলার শুনানি হবে। অর্থাৎ লোকসভা নির্বাচনের আগেই ফের আইনি আলোচনা শুরু হবে বিহারের জাতিগত জনগণনা নিয়ে।

বিহারের জাতিগত জনগণনার রিপোর্ট সদ্য প্রকাশ হয়েছে। এই রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, বিহারের জনসংখ্যার ৬৩ শতাংশ অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত  সম্প্রদায়ের মানুষ। তার মধ্যে ৩৬ শতাংশই অত্যধিক অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত মানুষ। জেনারেল কাস্টের অন্তর্গত রয়েছেন ১৫ শতাংশ মানুষ। এছাড়াও তফসিলি জাতির অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন ১৯ শতাংশ। এই গণনাকে স্বাগত জানিয়েছে দেশের অধিকাংশ বিরোধী দল। তবে বিজেপির তরফে বারবার এই গণনার বিরোধিতা করা হয়েছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও এই জাতিগত জনগণনায় সরব হয়েছেন।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!