- প্রচ্ছদ রচনা
- মে ১৮, ২০২২
৩১ বছর পর জেলমুক্ত রাজীব গান্ধী হত্যা মামলার দোষীসাব্যস্ত পেরারিভালন
শীর্ষ আদালতের এই রায়ই রাজীব হত্যা মাললার আরও ছয় অপরাধীর মুক্তির পথ প্রশস্ত করে দিল।

৩১ বছর জেলবন্দি থাকার পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অবশেষে মুক্তি পাচ্ছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীর হত্যাকারী পেরারিভালন। তামিলনাড়ু সরকার তাঁর মুক্তির জন্য আগেই আবেদন জানিয়েছিল। বিশেষ অধিকার প্রয়োগ করে সেই আবেদনই মঞ্জুর করল দেশের শীর্ষ আদালত ।পেরারিভালন বর্তমানে জামিনে মুক্ত আছেন। তিনি স্থায়ী জেলমুক্তি পেতে নিজে আবেদনে লিখেছিলেন, ‘আমি ৩১ বছর ধরে জেলে বন্দি অবস্থায় রয়েছি। তাই আমায় এ বার রেহাই দেওয়া হোক।’ ২০০৮ সালে তামিলনাড়ু মন্ত্রিসভা তাঁর মুক্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল। রাজ্যপাল মন্ত্রিসভার সেই সিদ্ধান্তকে রাষ্ট্রপতির কাছে বিবেচনার জন্য পাঠান। তখন থেকেই পেরারিভালনের মুক্তি-মামলা থমকে আছে। সুপ্রিম কোর্ট গত ১০ মে এই মামলার শুনানি শেষ করে রায় স্থগিত রাখে ।
বুধবার সুপ্রিম কোর্ট রাজীব হত্যাকারীর মুক্তির নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি এ-ও জানিয়ে দেয়, রাজ্য মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য সেই রাজ্যের রাজ্যপাল।
বুধবার শীর্ষ আদালতে জানানো হয়েছে, এই মামলায় অনুচ্ছেদ ১৪২ প্রয়োগ করে দোষীকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে ।রাজীব গান্ধী হত্যার সময় ১৯ বছর বয়স ছিল পেরারিভালনের। জঙ্গি সংগঠন লিবারেশন টাইগারস অফ তামিল ইলামের সদস্য তথা রাজীব হত্যার অন্যতম চক্রী শ্রীবাসনের জন্য দু’টি ৯ ভোল্টের ব্যাটারি কেনার অভিযোগ উঠেছিল পেরারিভালনের বিরুদ্ধে। সেই ব্যাটারিই বিস্ফোরণ ঘটানোর কাজে ব্যবহৃত হয়েছিল। পেরারিভালনের গ্রেপ্তারির পর ১৯৯৮ সালে সন্ত্রাস দমন আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি দিয়েছিল । ১৯৯৯ সালে সেই সাজাই বহাল রাখে শীর্ষ আদালত । তবে ২০১৪ সালে তা বদলে যাবজ্জীবন করা হয়। চলতি বছর মার্চে এই দোষীর জামিন মঞ্জুর করা হয়। এরপরই নির্ধারিত সময়ের আগে মুক্তির আবেদন জানায় পেরারিভালন । যে আবেদনের বিরোধিতা করে কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল, বিষয়টি রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের উপর ছাড়েন তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল। কিন্তু এ ব্যাপারে অনেকটা সময় কেটে গেলেও কোনও সিদ্ধান্ত নেননি রাষ্ট্রপতি। এ নিয়ে প্রশ্ন তোলে শীর্ষ আদালত। জানানো হয়, তামিলনাড়ু সরকার চায় রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় দোষীসাব্যস্ত সাত জনকেই ১৬১ ধারায় ক্ষমা করা হোক। তাই রাজ্যপাল রাজ্যের মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত মেনে নিতে বাধ্য। ফলে রাষ্ট্রপতির মতামতের জন্য অপেক্ষা করা অপ্রয়োজনীয়। এরপরই এদিন পেরারিভালনকে জেলমুক্তির নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
শীর্ষ আদালতের এই রায়ই রাজীব হত্যা মাললার আরও ছয় অপরাধীর মুক্তির পথ প্রশস্ত করে দিল। যাদের মধ্যে রয়েছে নলিনী শ্রীধরন এবং তার স্বামী মুরুগনও।
❤ Support Us