Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • এপ্রিল ২৮, ২০২৩

পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু কীভাবে ? গ্যাংস্টার হত্যায় প্রশ্ন শীর্ষ আদালতের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু কীভাবে ? গ্যাংস্টার  হত্যায় প্রশ্ন শীর্ষ আদালতের

পুলিশ হেফাজতে আতিক আহমেদ ও তাঁর ভাই আশরাফকে হত্যার ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নে মুখে যোগী প্রশাসন। সংবাদ মাধ্যমের উপস্থিতিতে, কীভাবে ১২ টা বুলেটে ঝাঁঝরা হয়ে গেল মাফিয়া-রাজনীতিবিদ ও তার ভাই তা জানতে চাইলেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতিরা। মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়ার সময় আম্বুলেন্সের সাহায্য না নিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হল সে ব্যাপারেও রিপোর্ট তলব করল শীর্ষ আদালত।

শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে পুলিশের এনকাউন্টারে হত্যা নিয়ে জনস্বার্থ মামলার শুনানি ছিল । বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট ও দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ তাঁদের পর্যবেক্ষণে জানতে চান রাজ্যে গত কয়েকবছরে পুলিশের গুলিতে এত অপরাধীর হত্যার কারণ সম্পর্কে জানতে চান। সে প্রসঙ্গে রাজ্যে সাম্প্রতিক কালে ঘটে যাওয়া আতিক আহমেদ হত্যার প্রসঙ্গ উঠে আসে । যাকে সংবাদ মাধ্যমের উপস্থিতিতে সাংবাদিক সেজে হত্যা করে একদল দুর্বৃত্ত। এমন ঘটনা কী করে সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বেঞ্চ। এপ্রসঙ্গে বলা প্রয়োজন, দু দিন আগে  আগে গ্যাংস্টারপপুত্র আসাদ সরাসরি সংঘর্ষে নিহত হয়েছিল সে নিয়েও পুলিশের জবাব চেয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

পুলিশের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, আদালতের নির্দেশ অনুসারে আতিক ও তার ভাইয়ের দুই দিন পরপর শারীরিক পরীক্ষা করতে হত। আর তা জানতেন সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা। সেকারণেই তারা উপস্থিত ছিলেন। এ ঘটনায় বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের পদস্থ এক আধিকারিক।

২০১৭ সালে যোগী আদিত্যনাথ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর মোট ১৮৩ এনকাউন্টের ঘটনা ঘটে বলে হলফনামায় দাবি  করা হয়েছে।   পুলিশের সংঘর্ষে   কেন এত  রক্তপাত ঘটছে  উত্তরপ্রদেশে  তা নিয়ে  বিরোধিরা ইতিমধ্যেই সোচ্চার।  পুলিশের  নিরাপত্তার ঘেরাটোপে একজন অপরাধী যদি  খুন হয়ে যান তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন  ওঠে। আঙ্গুল ওঠে আইনের শাসনের মহৎ ভাবনার দিকে।  এ  অভিযোগ থেকে নিজেকে মুক্ত করার দায় পুলিশেরই থাকে । তবে, দল ও প্রশাসন যখন  মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়  তখন আশা-আকাঙ্খার ভাঁড়ারটিও ক্রমশ শুন্যের কোঠায় নেমে আসতে থ থাকে।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!