Advertisement
  • দে । শ
  • ডিসেম্বর ৭, ২০২৩

গীতাপাঠের দিনই টেট পরীক্ষা । সরকারি ষড়যন্ত্র, অভিযোগ বিরোধী দলনেতার

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
গীতাপাঠের দিনই টেট পরীক্ষা । সরকারি ষড়যন্ত্র, অভিযোগ বিরোধী দলনেতার

লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের দিন রাজ্য সরকার “টেট” পরীক্ষার দিন ধার্য করেছে। এই ঘটনাকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী “হিন্দু বিরোধী সরকারের ষড়যন্ত্র” বলে সমালোচনা করেছেন।

প্রাথমিক “টেট” পরীক্ষা ৮ ডিসেম্বর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই তারিখ বদলে আগামী ২৪ ডিসেম্বর “টেট” পরীক্ষার দিন ধার্য করেছে রাজ্য সরকার। ওই দিনই লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ আসর বসছে কলকাতার ব্রিগেডে, গীতাপাঠের আসর ওই দিন আগে থেকেই ঘোষিত ছিল। শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, ইচ্ছে করে ওই দিন চাকরির পরীক্ষা রাখা হয়েছে। আর এই ভাবে হঠাৎ “টেট” পরীক্ষার দিন পরিবর্তন নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য সরকারকে রীতিমতো আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন, “এই সরকার সম্পূর্ণ হিন্দুবিরোধী। ইচ্ছা করে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির দিন পরীক্ষা ফেলা হয়েছে। এই গীতা পাঠের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসার কথা আছে।” যদিও শুভেন্দুর এই অভিযোগ অমূলক বলে উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল।

আগামী ২৪ ডিসেম্বর গীতা জয়ন্তী উপলক্ষে ব্রিগেডে তিন ঘণ্টা লক্ষ কণ্ঠে গীতার প্রধান ৫টি অধ্যায় পাঠ করা হবে। আয়োজকদের তরফে বলা হয়েছে, ১ লক্ষ সমবেত কণ্ঠে হবে এই গীতাপাঠ। ব্রিগেডে এই ধর্মীয় সমাবেশের আয়োজক গেরুয়া পন্থী সংগঠন অখিল ভারতীয় সনাতন সংস্কৃতি পরিষদ। তবে এই অনুষ্ঠানে পিছন থেকে পুরোপুরি সহযোগিতা করছে বিজেপি ও রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ। আয়োজক সংগঠনের দাবি, মোট ৩৬০০ হিন্দুত্ববাদী সংগঠন এই কর্মসূচিতে যোগ দেবে। ওইদিন ব্রিগেডে পুরীর শংকরাচার্য নিশ্চলানন্দ সরস্বতী ও দ্বারকার শংকরাচার্য সদানন্দ সরস্বতীর উপস্থিত থাকার কথা। এদিকে ৮ ডিসেম্বর প্রাইমারি টেট হওয়ার কথা ছিল। কয়েক দিন আগে বিজ্ঞপ্তি জারি করে পর্ষদ জানায়, পরীক্ষার দিন বদল করে ২৪ ডিসেম্বর করা হয়েছে।

এই ভাবে হঠাৎ “টেট” পরীক্ষার তারিখ বদলের জন্য আপত্তি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু বলেন, “পূর্বঘোষিত কর্মসূচির দিন ইচ্ছা করে পরীক্ষা রাখা হয়েছে। যাতে গীতা পড়তে লোক না যায়, গাড়ি ঘোড়া না পায়, সেই জন্য এটা করেছে। এই সরকার সম্পূর্ণ হিন্দুবিরোধী। তোষণের রাজনীতি করে ভোটব্যাঙ্কের জন্য। সংখ্যালঘুদের উপকার চায় না। তাদের এগুলো দেখিয়ে দরদী সাজার চেষ্টা করে। ভোট পাওয়ার জন্য এসব করে। এটাই আসল কারণ। রাজ্যের সরকারটি হিন্দু বিরোধী সরকার।” প্রসঙ্গত ব্রিগেড এই লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের আসরে মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যের মন্ত্রী, কলকাতার মেয়রকেও আমন্ত্রণ জানান হবে বলে আয়োজক সংগঠনের তরফে এই অনুষ্ঠান ঘোষণার দিন জানান হয়েছিল।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!