Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • ডিসেম্বর ৩০, ২০২৩

বসিরহাটের সভা থেকে সমর্থকদের তৃণমূলের বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ হওয়ার আহ্বান শুভেন্দুর

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
বসিরহাটের সভা থেকে সমর্থকদের তৃণমূলের বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ হওয়ার আহ্বান শুভেন্দুর

“বসিরহাট এলাকায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড আরও বাড়াতে হবে। এর পর হিঙ্গলগঞ্জে আমাদের কোনও সমর্থকের জমিতে এনওসি নিয়ে সভা করব। আমায় সভা করতে এখানে বাধা দেওয়া হয়। লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হলে আপনাদের এখানে কেন্দ্রীয় নেতারা আসবেন। আমরা বসিরহাটকে সন্ত্রাসমুক্ত, চোরমুক্ত রাখব। আপনারা নিশ্চিত থাকুন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে জিতে নরেন্দ্র মোদি তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হয়ে আসছেন”, শনিবার বসিরহাটের সভা থেকে এই ভাবেই দলীয় কর্মী, জেলা নেতৃত্বকে উদ্বুদ্ধ করার ভাষণ দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল শাসনকালে পঞ্চায়েত, লোকসভা,বিধানসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, “বসিরহাটে ব্যপক সন্ত্রাস হয়। আমাদের সঙ্গে সংখ্যালঘুদের সম্পর্ক খারাপ নয়। প্রধানমন্ত্রী যখন কোনও প্রকল্প করেন সবার জন্য করেন, দল দেখে, গোষ্ঠী দেখে করেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু তা করেন না। তাই ২০২১ এর ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিএএ, এনআরসির নামে সংখ্যালঘুদের খেপিয়েছেন সিএএ, এনআরসি নিয়ে। সিএএ মানে কাউকে দেশ থেকে খেদিয়ে দেওয়া নয়। রোহিঙ্গা, অন্যদেশ থেকে বিতারিতদের যাতে নাগরিকত্ব না দেওয়া হয় তাই এনআরসি, সিএএ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৩০/৩৫ % সংখ্যালঘু ভোটকে সম্বল করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।”

এদিন শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের দুর্নীতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, “আরাবুল ইসলাম, সওকত মোল্লারা এই সংখ্যালঘুদের উপর দিয়ে নিজেরা টাকা কামাচ্ছে। বাকিবুর কে? বালু মল্লিক তাঁকে সৃষ্টি করেছে। খাদ্যসামগ্রী লুঠ করে মানুষকে পথে বসিয়ে নিজেরা ধনী হয়েছেন তৃণমূলের বালু, আরাবুলের মতো নেতারা। ২০১১ র আগে তৃণমূলের কেউ বিদেশে যেত না। এখন ভাইপো সপরিবারে বিদেশে ঘুরতে যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেলিকপ্টারে ছাড়া যাতায়াত করেন না।”

কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা বাংলার সরকার লুঠ করছে বলে অভিযোগ করে শুভেন্দু বলেন, “৭২ লক্ষ ইজ্জত ঘর দিয়েছে কেন্দ্র, আপনারা কেন পাননি? মোদিজি আবাস যোজনায় টাকা দিচ্ছেন আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সেই টাকা লুঠ করেছে, নলবাহিত জলের টাকা, পিএম কিষাণ নীধির টাকা সব লুঠ করেছে এই তোলামূল। আমি আপনাদের বলছি, এই চোর তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। পঞ্চায়েত, বিধানসভা, লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল ভোটলুঠ করেছে। পঞ্চায়েতে ব্যালট পেপার খেয়ে, ব্যালট বাক্স জলে ফেলে শান্তিপূর্ণ ভোট করেছে এই তৃণমূল। সারাদেশে এতো নির্বাচন হয় কোথায় পচিমবঙ্গের মতো ভোট পরবর্তী হিংসা হয়েছে? অথচ মগাটাহাটের প্রার্থীকে তৃণমূল খুন করেছে, ৩০০ মহিলার ইজ্জত লুঠ হয়েছে, পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের মানুষদের ভিন রাজ্যে কাজে যেতে হয়েছে এই তৃণমূলের সব খেয়ে ফোলার জন্য।”

কেন তিনি তৃণমূল ছেড়েছেন তার ব্যাখ্যা দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমি যখন তৃণমূলে ছিলাম,  আমার কাছে ৫/৬টা দফতর ছিল। আমি দুর্নীতি মুক্ত রাজ্য গড়তে তৃণৃূমূল ছেড়েছি, বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। ২০১৯, ২০২১ সালের ভোটে কোন কোন এলাকায় ভোট লুঠ, গ্রামে অত্যাচার হয়েছে, ২০২৩ এর ভোটে কোন কোন বুথে কাউন্টিং এজেন্ট ঢুকতে পারেননি সেই তালিকা আমায় দেবেন। পাশাপাশি সংশোধিত ভোটার তালিকা প্রকাশের পর তা খতিয়ে দেখুন কোন কোন মানুষের নাম বাদ গেছে, কোন কোন মৃত ব্যক্তিদের নাম ভোটার তালিকায় থেকে গেছে। মনে রাখবেন, ২০২৪-র লোকসভা নির্বাচনে গত ২০১৯ এর চাইতেও বেশি আসন পেতে হবে। অমিত শাহজি ৩৫টি আসন আগামী লোকসভা নির্বাচনে পাওয়ার লক্ষ্য রাজ্য বিজেপিকে বেধে দিয়ে গিয়েছেন। মনে রাখবেন, ২০২৪ -এর লোকসভা নির্বাচনে জিতে নরেন্দ্র মোদিই আবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন, সেই কাজে এই জেলার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।”


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!