Advertisement
  • দে । শ
  • এপ্রিল ১৩, ২০২৪

শান্তিতে হোক নির্বাচন, বাউল গানে বার্তা স্বপনের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
শান্তিতে হোক নির্বাচন, বাউল গানে বার্তা স্বপনের

এই বঙ্গে ভোটের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে হিংসা, হানাহানি, রক্তপাত, সরব ও নীরব সন্ত্রাস। ভোট এলেই বহু ভোটার ভয়ে কুঁকড়ে থাকেন। তাঁদের আশ্বস্ত করতে মাঠে নেমেছেন স্বপন বাউল। হাতে একতারা। কোমরে বাঁধা ডুগি তবলা। পায়ে ঘুঙুর। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটের আবেদন নিয়ে রাজ্য জুড়ে চরকি পাক দিচ্ছেন। গানে গানে আবেদন করছেন, ভোট হোক রক্তপাতহীন এইতো আবেদন / আর হোক শান্তিপূর্ণ লোকসভা নির্বাচন।

শুধু এবারের ভোটেই নয়, যেকোনও সামাজিক সমস্যা হলেই নিজের গ্যাঁটের কড়ি খরচ করে একতারায় সুর তুলে গোটা রাজ্য চষে বেড়ান বর্ধমানের বাসিন্দা স্বপন বাউল। ২০১৬ সাল থেকে এভাবে গান গেয়ে সামাজিক দায়িত্ব পালন করছেন স্বপন। এবার এ পর্যন্ত ১২টি জেলা ঘোরা হয়ে গিয়েছে। গিয়েছেন উত্তপ্ত সন্দেশখালিতেও।

গত নির্বাচনগুলিতে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে অশান্তি, বোমাবাজি ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। গণতন্ত্রে যা মোটেও কাম্য নয়। কালনা শহরে সচেতনতা প্রচারে বাউলশিল্পী স্বপন দত্ত শোনাচ্ছিলেন, ‘বোমাবাজি প্রাণহানির ভোট যেন না হয় / বাউল স্বপনের এই মিনতি শুনুন মহাশয়।’ কালনা স্টেশন এলাকা, চকবাজার, মহকুমাশাসকের দপ্তর-সহ বিভিন্ন জনাকীর্ণ এলাকায় শান্তিপূর্ণ ভোটদানের পক্ষে প্রচার করেন। নিজের গানে ও সুরে একতারা হাতে তিনি গেয়ে ওঠেন, ‘শান্তিপূর্ণ ভোট দাও / শান্তিভঙ্গ কোরোনা / নিজের ভোট নিজে দাও / ভোট নষ্ট কোরো না। গণতন্ত্রের ঐতিহ্য বা গণতন্ত্রের প্রতি আস্থা রাখা, ভোটার কার্ড ও একটি ভোট দেশের সরকার গঠনে কতখানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, সেইসব বিষয়টিকে তিনি এদিন গানের মাধ্যমে তুলে ধরেন।

বাউল গানে ভোট প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ-প্রশাসনের দায়িত্বকে মনে করিয়ে দিতেও ভোলেননি স্বপন বাউল। লোকজন দেখলেই ভোট নিয়ে তাঁর সুরেলা বার্তা শোনানো শুরু করে দেন তিনি। পথচলতি মানুষজন কিছুক্ষণের জন্য হলেও দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন। অনেককে  বাউলশিল্পীর সঙ্গে সেলফি তুলতেও দেখা যায়।অনেকেই আবার গান ও শিল্পীকে ক্যামেরাবন্দি করেন।

শুধু কালনাতেই নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কয়েকদিন ধরে প্রচন্ড গরম উপেক্ষা স্বপন বাউল বিনা পারিশ্রমিকে প্রচার চালাচ্ছেন। স্বপন বাউল জানান, ‘আমার একটাই প্রার্থনা ভোট যেন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয়। সেটাই সকলকে সচেতন করছি বাউলগানের মাধ্যমে।’ আরও জানান, ‘আমার কাজে খুশি হয়ে নির্বাচন কমিশন আমাকে সম্মানিত করেছে। তাই ভোটপর্বে আমার নিজেরও একটা সামাজিক দায়িত্ব রয়েছে বলে মনে করি। সেই দায়িত্ব পালনেই রাজ্যজুড়ে ছুটে বেড়াচ্ছি।’ নির্বাচন সন্ত্রাসমুক্ত হলেই স্বপনবাবুর শ্রম সার্থক হবে বলে মনে করেন তাঁর পরিবার, বন্ধু, সুহৃদরা।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!