- মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- নভেম্বর ২, ২০২২
দুর্দান্ত লড়াই করেও ভারতের কাছে হার বেঙ্গল টাইগারদের

টি২০ বিশ্বকাপে প্রায় প্রতিটা ম্যাচই পৌঁছে যাচ্ছে দারুণ রোমাঞ্চকর জায়গায়। বিশেষ করে ২ নম্বর গ্রুপে। ভারত–পাকিস্তান ম্যাচে শেষ ওভারে নিস্পত্তি। পাকিস্তান–জিম্বাবোয়ে, বাংলাদেশ–জিম্বাবোয়ে ম্যাচেও তাই। বুধবার ভারত–বাংলাদেশ ম্যাচই শেষ হল চূড়ান্ত নাটকীয়তায়। তীব্র উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে বাংলাদেশকে ডাকওয়ার্থ লুইট নিয়মে ৫ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালে যাওয়া কার্যত নিশ্চিত করল ভারত। কাজে এল না বেঙ্গল টাইগারদের দুরন্ত লড়াই।
নাটক জমে ওঠে শেষ ওভারে। জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ছিল ২০। অর্শদীপের প্রথম বলে ১ রান। পরের বলে ৬ মেরে ভারতের ওপর চাপ বাড়িয়ে দেন নুরুল হাসান। তৃতীয় বলে কোনও রান হয়নি। চতুর্থ বলে ২ রান। পঞ্চম বলে বাউন্ডারি। শেষ বলে জয়ের দরকার ছিল ৭ রান। ১ রান নিতে সক্ষম হন নুরুল হাসান (১৪ বলে অপরাজিত ২৫)। ৭ বলে ১২ রান করে অপরাজিত থাকেন তাসকিন আমেদ। শেষ পর্যন্ত ১৬ ওভারে বাংলাদেশ তোলে ১৪৫/৬।
টস জিতে এদিন ভারতকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব। এদিনও ওপেনিং জুটিতে বড় রান উঠেনি। ১১ রানের মাথায় প্রথম উইকেট পড়ে ভারতের। রোহিতকে (২) তুলে নেন হাসান মাহমুদ। চতুর্থ ওভারে রোহিত ফিরে যাওয়ার পর ভারতকে টেনে নিয়ে যান সেই বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুল। দশম ওভারে জুটি ভাঙেন সাকিব। তাঁর বলে মুস্তাফিজুরের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন রাহুল (৩২ বলে ৫০)। ৩১ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পরেই সাজঘরে ফেরেন তিনি।
রাহুল আউট হওয়ার পর ক্রিজে এসেই ঝড় তোলেন সূর্যকুমার যাদব। ১৬ বলে ৩০ রান করে তিনি সাকিবের বলে বোল্ড হন। সূর্যকুমার আউট হওয়ার পরপরই ফিরে যান হার্দিক পান্ডিয়া (৫)। ৩৭ বলে ৫০ রান পূর্ণ করেন কোহলি। দীনেশ কার্তিক (৭) এদিনও রান পাননি। শেষ দিকে ঝড় তুলে ভারতকে ১৮৪/৬ রানে পৌঁছে দেন কোহলি (৪৪ বলে অপরাজিত ৬৪) ও অশ্বিন (৬ বলে অপরাজিত ১৩)। বাংলাদেশের হয়ে হাসান মাহমুদ ৩টি ও সাকিব ২টি উইকেট নেন।
সামনে বড় রানের টার্গেট থাকলেও কুঁকড়ে যায়নি বেঙ্গল টাইগাররা। শুরু থেকেই ঝড় তোলেন লিটন দাস। তাঁর ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের সুবাদে পাওয়ার প্লে–র ৬ ওভারে ৬০ রানে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। চলতি টি২০ বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে পাওয়ার প্লে–তে এই প্রথম এত রান তুলল কোনও দল। আর টি২০ ক্রিকেট ইতিহাসে ভারতের বিরুদ্ধে পাওয়ার প্লে–তে এটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান। ২১ বলে ৫০ রান পূর্ণ করেন লিটন দাস। এই বিশ্বকাপে দ্বিতীয় দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি। দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির কৃতিত্ব রয়েছে মার্কাস স্টয়নিসের। ১৭ বলে তিনি ৫০ পূর্ণ করেছিলেন।
বাংলাদেশের ইনিংসে ৭ ওভার খেলা হওয়ার পর বৃষ্টি নামে। তখন বাংলাদেশের রান ৬৬। সেই সময় খেলা ভেস্তে গেলে জিতে যেত বাংলাদেশ। ডাকওয়ার্থ–লুইস নিয়মে বাংলাদেশের জয়ের জন্য এই সময় দরকার ছিল ৪৯। ১৭ রানে এগিয়েছিল বাংলাদেশ। বৃষ্টির পর যখন খেলা শুরু হয়, ডাকওয়ার্থ–লুইস নিয়মে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬ ওভারে ১৫১।
খেলা শুরু হতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। ঝুঁকি নিতে গিয়ে রান আউট হন লিটন দাস। ২৭ বলে তিনি করেন ৬০। এক ওভার পরেই আইট হন শান্ত (২৫ বলে ২১)। দ্বাদশ ওভারে দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে এসে আফিফ হোসেন (৩) ও সাকিবকে (১৩) ৫ বলের ব্যবধানে তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে চাপে ফেলে দেন অর্শদীপ (২/৩৮)। পরের ওভারে ইয়াসির আলি (১) ও মোসাদ্দেক হোসেনকে (৬) ফিরিয়ে বাংলাদেশকে চাপে ফেলে দেন হার্দিক পান্ডিয়া (২/২৮)। শেষদিকে বাংলাদেশকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়েছিলেন নুরুল হাসান ও তাস্কিন আমেদ। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।
❤ Support Us