Advertisement
  • দে । শ
  • জানুয়ারি ১, ২০২৪

রাজ্য সরকারি অনুষ্ঠানের শুরুতে করতে হবে “রাজ্য সংগীত”, অপরিবর্তিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের বাণী

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
রাজ্য সরকারি অনুষ্ঠানের শুরুতে করতে হবে “রাজ্য সংগীত”, অপরিবর্তিত  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের বাণী

রাজ্য সরকারের সমস্ত অনুষ্ঠানের শুরুতে গাইতে হবে রাজ্য সংগীত, তারপর অনুষ্ঠানের শেষে জাতীয় সংগীত। এই মর্মে একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। এটাই সম্ভবত দ্বিবেদীর মুখ্যসচিব থাকাকালীন শেষ নির্দেশ। ওই নির্দেশিকাতে তিনি লিখেছেন, “রাজ্যের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, গরিমার জন্য রাজ্য দিবস এবং রাজ্য সংগীতের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার পর ১ বৈশাখ দিনটিকে ‘রাজ্য দিবস’ বা ‘বাংলা দিবস’ হিসেবে উদযাপন করা হবে। পাশাপাশি রবিগুরুর লেখা ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ গানটিকে ‘রাজ্য সংগীত’ হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছে।”

রাজ্য সংগীত হিসেবে ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গানটি বেছে নেওয়ার পরেই চলতি বছর আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে গানটি গাওয়া হয়। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলকে উঠে দাঁড়াতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে রাজ্য সংগীত হিসেবে এই গান গাওয়ার সময় ‘বাঙালির পণ বাঙালির আশা’ বদল করে করা হয়েছিল ‘বাংলার পণ, বাংলার আশা’ গাওয়া হয়েছিল। তারপর এই নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাজ্যের বিশিষ্টদের একটি বড় অংশ। বিভিন্ন শিল্পীরাও এই বাণী বিকৃতি নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন। অধিকাংশেরই মন্তব্য ছিল যে রবীন্দ্র সংগীতের ভাষা বদল না করাই বাঞ্ছনীয়।

সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তিতে অবিকৃতভাবেই গানটি উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে ‘বাঙালির পণ বাঙালির আশা’ -ই রাখা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সেপ্টেবর মাসে বিধানসভায় রাজ্য সংগীত এবং রাজ্য দিবস নিয়ে প্রস্তাব নিয়ে আসে তৃণমূল সরকার, প্রস্তাবক ছিলেন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু, ফিরহাদ হাকিম, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সহ আরও অনেক শাসকদলের বিধায়ক-মন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসেবে কোন দিনটিকে নির্ধারিত করা হবে তা নিয়ে আগে থেকেই বিতর্ক তৈরি হয়। কারণ ২০ জুন পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিজেপি। রাজভবনে রাজ্য সরকারের নিষেধ অমান্য করে পশ্চিমবঙ্গ দিবস উদযাপিত হয়।মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কারণ এই দিনেই বাংলা ভাগের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। সেই সময় বাংলা দুই ভাগে ভাগ হয়ে তৈরি হয়েছিল পূর্ব পাকিস্তান এবং পশ্চিমবঙ্গ। মুখ্যমন্ত্রী তখন বলেন, একটা বিচ্ছেদের দিন, ক্ষতর দিন কখনই পশ্চিমবঙ্গ দিবস হতে পারে না। তারপরই পয়লা বৈশাখ পশ্চিমবঙ্গ দিবস ও বাংলার মাটি, বাংলার জল গানটি রাজ্য সংগীত হিসাবে ঠিক হয়। এবার সরকারি নির্দেশিকা জারি হল এই বিষয়ে।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!