- Uncategorized প্রচ্ছদ রচনা
- মার্চ ১৫, ২০২২
রুশ-ইউক্রেন চতুর্থ দফা বৈঠকে রফাসূত্র এখনও অধরা।
পুতিন বাহিনীর পুনঃপুনঃ হামলায় মারিউপোল শহর কার্যত মৃত্যুপুরী। বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় শহরের বেশ কয়েক জায়গায় গণকবর খুঁড়তে হয়েছে।

ইউক্রেনে রুশ হামলার উনিশতম দিনে কিছু বেসামরিক নাগরিক মারিউপোল শহর ছাড়তে সক্ষম হয়েছে । শহরটিতে খাদ্য, জল ও ওষুধের হাহাকার দেখা দিয়েছে । বহির্বিশ্ব থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার কারণে ইউক্রেনের দক্ষিণ পূর্ব দিকের এই গুরুত্বপূর্ণ বন্দর নগরীটিতে চরম মানবিক সঙ্কট চলছে। এর আগে কয়েক দফায় বেসামরিক নাগরিকদের শহর ছাড়ার সুযোগ দেয়ার সমঝোতা হলেও প্রত্যেকবারেই তা ভেঙ্গে গেছে।
সোমবার মারিউপোল সিটি কাউন্সিল জানিয়েছে ১৬০টি ব্যক্তিগত যানবাহন শহর ছাড়তে পেরেছে এবং দেশটির উত্তর পশ্চিম দিকের তুলনামূলক নিরাপদ শহর জাপারোঝিয়া শহরের দিকে এগোচ্ছে।
ড্রোন থেকে নেয়া ফুটেজে মারিউপোল শহরের যে ধ্বংসচিত্র দেখা যাচ্ছে তাতে এটি পরিষ্কার যে অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকগুলোতে বোমা হামলা হয়েছে এবং ধ্বংসস্তূপ থেকে ধোঁয়া উঠছে । আক্রমণের ঝাঁজ যে বাড়িয়েছে রাশিয়া তা এই চিত্রে স্পষ্ট ধরা পড়ছে ।ইউক্রেনের যত্রতত্র আছড়ে পড়ছে রুশ গোলা। প্রাণ নিয়ে কোনওমতে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা। এর মাঝেই শান্তির খোঁজে রাশিয়ার সঙ্গে আবার আলোচনায় বসেছে ইউক্রেন। এবার দু’ক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী ইজরায়েল। রাত অবধি আলোচনার পরও রফাসূত্র অধরা। আলোচনার মাঝে সাময়িক বিরতি নিয়েছেন দু’পক্ষ। মঙ্গলবার ফের আলোচনার টেবিলে ফিরবেন তাঁরা।
এবার বৈঠক হচ্ছে ভারচুয়ালি। ইউক্রেনের প্রতিনিধি মিখাইলো পোডোলায়েক সোমবার রাতে টুইটারে লেখেন, আলোচনার মাঝে বিরতি নেওয়া হয়েছে। শান্তি আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আগে নেতৃত্বকে দেশের বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে কথা বলতে হবে। সেই কাজটাই চলছে।’ পোডোলায়েক জানিয়েছেন, ‘কথা বলা জরুরি ছিল। আলোচনা চলছে। তবে বিষয়টা এত সহজ নয়।’
আলোচনার টেবিলে বসলেও ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে লাগাতার হামলা চালাচ্ছে পুতিন বাহিনী। ইউক্রেনের দাবি, শুধুমাত্র মারিউপোলে ইতিমধ্যে প্রায় ৩ হাজার নিরীহ নাগরিকের মৃত্যুও হয়েছে। এদিনও কিভের জনবসতিপূর্ণ এলাকার এক়টি বাড়িতে রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের হামলার ফলে কমপক্ষে দু’জন নিহত হন। এবং তিনজনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে ১৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ৬০ জনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে ইউক্রেন কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
যদিও এদিন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দেশের সেনাবাহিনীর মনোবল অটুট রাখতে অভিনব পদক্ষেপ নেন। যুদ্ধ আহত সৈনিকদের সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালে ছুটে যান তিনি। কথা বলেছেন আহত যোদ্ধাদের সঙ্গে।
❤ Support Us