- এই মুহূর্তে দে । শ
- মে ২০, ২০২৪
ট্রাফিক পুলিশকে সহায়তার নিদান, লিখতে হবে রচনা। পুনে দুর্ঘটনা কান্ডে নাবালককে অভিনব শাস্তি আদালতের

১৫ঘন্টা পরে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পেল সড়ক দুর্ঘটনায় অভিযুক্ত পুনের ১৭বছরের নাবালক । গতকাল তার বিলাসবহুল ‘পোর্সে’ গাড়িটি দুই আরোহীসহ একটি বাইককে পিষে দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অনীশ আওধিয়া ও অশ্বিনী কোস্তা নামের ওই দুই আরোহীর।
তার আইনজীবী প্রশান্ত পাটিল আদালতের কাছে অপরাধীর নাবালক বয়সের জন্য জামিনের আবেদন করলে কোর্ট তাকে জামিন দেওয়ার পাশাপাশি দিয়েছে এমন কিছু কাজ যা জানলে অবাক হবে যে কেউ।
অনীশ আওধিয়া ও অশ্বিনী কোস্তা দুই ইঞ্জিনিয়ার পুনেতে থাকতেন চাকরি সূত্রে। গতকাল তাঁরা একটি অনুষ্ঠান বাড়ি থেকে ফেরার পথে পড়েন ওই নাবালকের পোর্সের সামনে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বিলাসবহুল যানটির গতিবেগ ছিল কমপক্ষে ঘন্টায় ২০০কিমি। ছিলনা কোনো নম্বর প্লেট। প্রচন্ড গতিতে আসা গাড়িটি সজোরে ধাক্কা মারে ওই বাইকটিতে। অশ্বিনী প্রায় ২০ফুট উচ্চতায় গিয়ে সজোরে আছড়ে পড়েন মাটিতে। অনীশ ছিটকে পড়েন একটি পার্ক করা গাড়ির উপর। দুজনে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান।
ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে গাড়িটিকে আটক করে সাধারণ মানুষ।ড্রাইভার ছাড়া দুইজন আরোহীর একজন পালাতে সক্ষম হলেও,বাকি দুইজন জনতার রোষের মুখে পড়ে। উন্মত্ত জনতা তাদের প্রহার করতে থাকে। ঘঁনাস্থলে পনেরো মিনিটের মধ্যেই পুলিশ পৌঁছে যায়।
ধৃত নাবালক জানিয়েছে, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করার আনন্দে তারা একটি পাবে গিয়েছিল উদযাপন করতে। সেখানে মদ্যপান করার পর গাড়ি চালাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারায় তারা। নাবালক ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে অস্বাভাবিক গতিতে গাড়ি চালানো এবং অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগ দায়ের হয়।নাবালকের বাবা এবং ওই পাবের এক কর্মীকে যে এই নাবালকদের সুরা সরবরাহ করেছিল তাকেও পুলিশ আটক করতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে।
পনেরো ঘন্টা পরে পাওয়া এই শর্তসাপেক্ষ জামিনে আদালত জানিয়েছে, ওই নাবালককে এখন ১৫দিন পুনের ইয়েরওয়াড়াতে ট্রাফিক পুলিশের সাহায্যকারী হিসেবে কাজ করতে হবে।পাশাপাশি তাকে দুর্ঘটনা নিয়ে লিখতে হবে একটি রচনাও।এছাড়া তাকে মদ্যপান পরিত্যাগ করার জন্য নিতে হবে কাউন্সেলিং। কারণ পুলিশের মতে, স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তাদের হাতে আটক হওয়া তিন ব্যক্তিই অত্যধিক মদ্যপ অবস্থায় ছিল।
সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে কর্মরত অনুরাগ কুরুক্ষেত্র নামের একজন স্বেচ্ছাসেবক জানিয়েছেন, ‘পুনেতে আইনকে কেউ পাত্তা দেয়না। সড়ক কর্তৃপক্ষ যখন হেলমেট ব্যবহার করার জন্য মানুষকে নির্দেশ দেয়,তখন সব রাজনৈতিক দলের লোকেরা তার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে পড়ে। এখানে শৃঙ্খলার কেউ ধার ধারেনা।’
❤ Support Us