- এই মুহূর্তে দে । শ
- আগস্ট ২৭, ২০২৪
ভুয়ো ইনজুরি রিপোর্ট না লেখায় মহিলা ডাক্তারকে হেনস্থা। ঘটনায় ধৃত ১
ফের মহিলা চিকিৎসকের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে। পূর্বস্থলী ২নং ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসককে মিথ্যা রিপোর্ট লেখানোর জন্য চাপ। রাজি না হওয়ায় অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ, কাগজের দলা পাকিয়ে ছোড়া ও হুমকি। অবশ্য অভিযোগ উঠতেই তৎপর হয় পুলিশ। অভিযুক্ত পূর্বস্থলীর হৃষি গ্রামের বাসিন্দা নারায়ণ দাসকে গ্রেফতার করে। তাকে কালনা মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। এর আগে ভাতাড় হাসপাতালের এক মহিলা চিকিৎসককে হুমকির অভিযোগে পুলিশ এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করে। সেই রেশ না কাটতেই কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে এক নার্সের সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগ ওঠে এক যুবকের বিরুদ্ধে। পূর্বস্থলীর ঘটনা সম্পর্কে আইএমএ-র কালনা মহকুমা শাখার সভাপতি আবদুস সামাদের আবেদন, ‘ব্লক ও গ্রামীণ হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হোক।’ পূর্বস্থলী ২নং ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভ রায় জানান, ‘যা হল, তা কাম্য নয়। হাসপাতালে একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার থাকেন। আরও একজনকে যাতে নিয়োগ করা হয়, সেই আবেদন জানাব।’
কী হয়েছিল পূর্বস্থলী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে? স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী জুয়েল শেখের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, ধৃত নারায়ণ তার স্ত্রীকে নিয়ে আসেন। ডাক্তার ম্যাডামকে বলে, আমার স্ত্রীকে নির্যাতন করা হয়েছে, এই মর্মে একটা ইনজুরি রিপোর্ট লিখতে। মহিলার শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন না থাকায় ম্যাডাম রাজি হননি। সেই রাগে ম্যাডামকে কাগজের দলা ছুড়ে মারা, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, হুমকি দেয়। জানা গেল, কয়েকদিন আগে বাবা-মাকে পেটানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার হয় গুণধর নারায়ণ। সেই ঘটনায় জামিন পাওয়ার পর বাবার বিরুদ্ধে ‘ব্যবস্থা নিতে বাবা তার স্ত্রীকে মারধর করেছে বলে রিপোর্ট লেখাতে হাসপাতালে আসে।’ আশা পূরণ না হওয়ায় মহিলা চিকিৎসককে হুমকি, কাগজের দলা ছুঁড়ে মারার অভিযোগে ফের শ্রীঘরে ঠাঁই হল নারায়ণের।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বেশ কয়েক মাস ধরে বাড়ির সম্পত্তি জোর করে বাবাকে দিয়ে লিখিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিল নারায়ণ। অভিযোগ, না লেখায় বাবা ও মায়ের উপর অত্যাচার চালাতো নারায়ণ। কোনও উপায় না দেখে বৃদ্ধ রামসুন্দর দাস পূর্বস্থলী থানায় ছোট ছেলে নারায়ণের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায়। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারও করে। জামিন পেয়ে বাবার বিরুদ্ধে বদলা নিতে মিথ্যা রিপোর্ট লেখাতে হাসপাতালে গিয়ে হম্বিতম্বি করার খেসারত। ফের শ্রীঘরে ঠাঁই নারায়ণের।
❤ Support Us