- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- অক্টোবর ১৬, ২০২৩
রাজ্যপালের সম্মতি নেই, বিধানসভায় পেশ হয়েও পাশ হল না মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধির বিল, শাসক দলের বিরোধিতায় শুভেন্দু ও তাঁর দল

ফের রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের আবহ তৈরি হল। মাঝে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১০০ দিনের কাজের টাকা আদায়ের বার্তা সি ভি আনন্দ বোস অমিত শাহের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। তবে আজ, সোমবার রাজ্য বিধানসভায় রাজ্যের মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধির বিলের প্রস্তাবে রাজ্যপাল সম্মতি না দেওয়ায় সেই বিল বিধানসভায় পেশ হলেও পাশ হতে পারল না। ১৩ অক্টোবর রাজ্যপালের কাছে রাজ্য সরকারের তরফে এই বিলটি সম্মতির জন্য পাঠান হয়েছিল। এর ফলে রাজ্য বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েও তৃণমূল এই বিলটি পাশ করতে পারল না।
রবিবার রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এই বিলটির সম্পর্কে রাজ্যপাল বোসের সঙ্গে দেখা করেছেন। রাজ্যপাল ওই বিলটি সম্পর্কে কিছু প্রশ্নের কথা বললেও নির্দিষ্ট করে কোনও আলোচনা হয়নি। পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে সরাসরিই বলেছেন, ‘‘সংবিধানে রাজ্যপালের যে ভূমিকা নির্দিষ্ট আছে, তিনি তা পালন করছেন না। সরকার সংবিধান বহির্ভূত কোনও কাজ করলে তিনি তখন আপত্তি করতেই পারেন। কিন্তু এটা প্রত্যাশিত নয়।’’
রবিবার এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘সরকারের তরফে আমাকে এখনও বিল নিয়ে রাজ্যপালের আপত্তির কথা জানানো হয়নি। অধিবেশন ডাকা রয়েছে। তাই তা বসবে। তার পরে পরিস্থিতি দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ করব।’’
এদিকে সোমবার বিধানসভা অধিবেশন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। রাজ্যপালের সম্মতি না থাকায় মন্ত্রী-বিধায়কদের বিল পাশ হয়নি। আর এর ফলে শাসকদল তৃণমূলের মুখে রাজ্যপালের সমালোচনা শোনা যায়।
অন্যদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, আজ একটা বেআইনি হাউস করেছে। রাজ্যপালের সম্মতি ছাড়া হাউস বসতে পারে না। এই হাউস স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বুদ্ধিতে বসেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বুদ্ধিতে বসেছে। বিজেপি এই বেতন বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তিত নয়। অবৈধ টাকা ইডি, সিবিআই আটকে দিয়েছে তাই তৃণমূল এখন সরকারি টাকা, করে টাকা নিতে চাইছে। তৃণমূল মানে চোর। আগে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ দিক। কলকাতার ১০ জায়গায় চাকরির দাবিতে চাকরি প্রার্থীরা আন্দোলনে বসেছে। বিজেপি এই বিলের বিরোধিতা করছে।
❤ Support Us