- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- জানুয়ারি ১৫, ২০২৫
শিক্ষক নিয়োগে বেনিয়মে, ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি পেছল ফের। শুনানি নিয়ে কী বক্তব্য সুপ্রিমকোর্টের

আজ সুপ্রিমকোর্টে বিচারপতি সঞ্জীব খন্না, বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি হবার কথা ছিল। শুনানির বিচারপতির নির্দেশে সেই মামলার তারিখ পিছিয়ে গেল। বুধবার এই মামলার শুনানি শেষ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার। পরবর্তী শুনানির তারিখ ২৪ শে মার্চ জানানো হবে। সুপ্রিমকোর্টের এই নির্দেশে কার্যত অনিশ্চয়তার মুখে ২৬ হাজার চাকরীপ্রার্থিদের ভবিষ্যৎ।
গত ৭ জানুয়ারি এই মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টে গত ১৯ ডিসেম্বর চাকরি বাতিল মামলার শুনানি হয়েছিল। ১৫ জানুয়ারির মধ্যে মামলার যুক্ত সব পক্ষকে হলফনামা জমা দিতে বলেছিল আদালত। কলকাতা হাইকোর্ট ২০১৬ সালের এসএসসির পুরো প্যানেল বাতিল রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিমকোর্টের দায়স্থ হয়েছিলেন চাকরীপ্রার্থীরা। শীর্ষ আদালত মূলত যোগ্য এবং অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের বাছাই করার উপরে জোর দিয়েছিল। প্রধান বিচারপতি অবশ্য স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, কলকাতা হাই কোর্টের রায় বহাল রেখে ২০১৬ সালের পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াই বাতিল করা হবে, না কি যোগ্য এবং অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের আলাদা করা হবে তা বিবেচনা করবে আদালত। তিনি আরো বলেছিলেন, ‘যোগ্য-অযোগ্য বাছাই করা না-গেলে পুরো প্যানেল বাতিল করতে হবে।’
গত শুনানিতে শীর্ষ আদালতের বিচারপতিদের এই মামলা দ্রুত শেষ করবার কথা শোনা গেছিল। বিচারপতিরা জানিয়েছিলেন, ”আমরা আবেদনকারীদের বক্তব্য শুনেছি। এবার অন্য পক্ষদের বলতে দিতে হবে।’ সেই মোতাবেক আজ দুপুরে প্রধানবিচারপতির এজলাসে মামলা উঠেছিল। কিন্তু আবার শুনানির তারিখ পিছিয়ে যেতে চাকরিপ্রার্থীদের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙছে। এই মামলায় বিস্তারিত তদন্ত দরকার বলেও মনে করছে সর্বোচ্চ আদালত ।
❤ Support Us