Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • ডিসেম্বর ২০, ২০২৩

পুজোয় ছুটি কমছে প্রাথমিক স্কুলে, আর টানা একমাস পুজোর ছুটি নয়

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
পুজোয় ছুটি কমছে প্রাথমিক স্কুলে, আর টানা একমাস পুজোর ছুটি নয়

রাজ্যের স্কুলগুলিতে দুর্গাপুজোথেকে শুরু করে একেবার ভাইফোঁটা পর্যন্ত, টানা প্রায় একমাস পুজোর ছুটি বহুদিন ধরে চালু আছে। এই নিয়মে এবার বদল অন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এর ফলে প্রাথমিক স্কুলগুলিতে পুজোয় আর টানা একমাস ছুটি থাকছে না। সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ প্রকাশিত ২০২৪-‘২৫ শিক্ষি বর্ষের বিস্তারিত ছুটির তালিকা প্রকাশ হয়েছে। তাতে দুর্গাপুজো থেকে শুরু হয়ে লক্ষ্মীপুজোর পরবর্তী দু’দিন পর্যন্ত  ছুটি থাকবে রাজ্যের প্রাথমিক স্কুল। আবার কালীপুজো থেকে শুরু হয়ে ভাইফোঁটার পরবর্তী একদিন পর্যন্ত ছুটি থাকবে রাজ্যের প্রাথমিক স্কুল। মাঝের দিনগুলিতে স্কুল খোলা থাকবে, ক্লাস চলবে।

এই প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল বলেছেন, “আমাদের গরমের ছুটি বেশি থাকে। ছোট ছোট বাচ্চাদের গরমের ছুটি কমালে অসুবিধা হয়ে যাবে। আর মোট ছুটি ৬৫ দিন রাখতে হবে। পুজোয় টানা ছুটি দিলে সেটা করা সম্ভব হবে না। পাশাপাশি, স্কুলে মিড-ডে মিলের মতো বিষয় রয়েছে। তাই এই দিনগুলোতে স্কুল খোলা রাখলে, ক্লাস করালে, তাদের সুবিধাই হবে। এই সব কারণেই পুজোর ছুটি কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ছুটির তালিকা অনুযায়ী আগামী ২০২৪ সালে দুর্গাপুজোর ছুটি শুরু হবে ৭ অক্টোবর থেকে। চলবে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত। কালীপুজোর ছুটি শুরু হবে ৩১ অক্টোবর থেকে। ছুটি থাকবে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ছুটির তালিকাতেও পুজোয় টানা ছুটি ছিল না। সেই তালিকাতেও দুর্গাপুজো থেকে লক্ষ্মীপুজোর পরবর্তী দু’দিন পর্যন্ত ছুটি ছিল। আবার কালীপুজো থেকে ভাতৃদ্বিতীয়া তথা ভাইফোঁটা পর্যন্ত ছুটি ছিল। সব মিলিয়ে রবিবার বাদ দিয়ে ছুটির সংখ্যা ছিল ১৩ দিন। যা ২০২৪ সালে দু’দিন বেড়ে হয়েছে ১৫দিন।

যদিও, শিক্ষক মহলের একটি অংশ ছুটির তালিকা প্রকাশ্যে আসতেই হাইস্কুল ও প্রাথমিক স্কুলের ছুটির তালিকায় সামঞ্জস্য আনার দাবি তুলেছে। শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, “প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলগুলির পুজোর ছুটি একইভাবে রাখা হোক। ছোটদের স্কুল চলবে, আর বড়দের স্কুল বন্ধ থাকবে, সেটা বড্ড বেমানান দেখায়।” বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হান্ডা বলেন, “স্কুল খোলা রাখলেও ছাত্রসংখ্যা অনেক কম হয় ওই দিনগুলোতে। আমরা চাই হাই, প্রাথমিক, মাদ্রাসা-সবের ছুটির তালিকা একইরকম হোক।”


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!