Advertisement
  • মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
  • মার্চ ৮, ২০২৩

ভারতীয় ক্রীড়াক্ষেত্রে মহিলাদের নিঃশব্দ বিপ্লব

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
ভারতীয় ক্রীড়াক্ষেত্রে মহিলাদের নিঃশব্দ বিপ্লব

মহিলাদের সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক অর্জনকে স্মরণ করার জন্য প্রতি বছর ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হয়। এই বছরের থিম, ‘‌চ্যালেঞ্জ বেছে নিন’‌। নারী ও মেয়েদের অবদানকে স্বীকৃতি দিয়ে, এই বছর আন্তর্জাতিক নারী দিবসে জীবনের সকল ক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতা এবং নারীর ক্ষমতায়নের আহ্বান জানানো হয়েছে। নারী উদ্যোক্তারা উদ্ভাবন, প্রবৃদ্ধি এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা কেবল বাধাই ভাঙছে না, স্টিরিওটাইপকে চ্যালেঞ্জ করছে। খেলার মাঠেও তার ব্যতিক্রম নেই। ভারতীয় ক্রীড়াক্ষেত্রে নিঃশব্দ বিপ্লব ঘটিয়েছে মহিলারা।

লিঙ্গ সমতা প্রচার এবং মহিলা ও মেয়েদের ক্ষমতায়নের জন্য খেলাধুলা অন্যতম শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম। একুশ শতকের শুরু থেকেই ভারতীয় খেলাধুলায় একটি নিঃশব্দ বিপ্লব ঘটেছে, যেখানে মহিলারা তাদের খেলাধুলার অগ্রগতির বিষয়টা নিশ্চিত করেছে। যদি আমরা অলিম্পিকে মহিলাদের অংশগ্রহনের ব্যাপারটার দিকে তাকায়, তাহলে তাহলে সেই অগ্রগতি দারুণভাবে চোখে পড়বে। ২০০০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ২১ জন মহিলা অংশগ্রহন করেছিলেন। ২০০৪ সালে ২৫, ২০০৮–এ ২৫, আর ২০১২ অলিম্পিকে ২৩। ২০১৬ অলিম্পিকে সংখ্যাটা দ্বিগুন। মোট ৫৪ জন মহিলা প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। আর টোকিও অলিম্পিকে পুরুষ ও মহিলা অ্যাথলিটের মধ্যে প্রায় সমতা এসে গিয়েছিল। ১২৮ জন ক্রীড়াবিদদের মধ্যে ৫৭ জন ছিলেন মহিলা৷ টোকিও অলিম্পিকে পুরুষ অ্যাথলিটদের তুলনায় মহিলা অ্যাথলিটদের সাফল্যও বেশি।

কিন্তু, প্রশ্ন হল, ৬৬৯ মিলিয়ন মহিলা জনসংখ্যার দেশে এটি কি যথেষ্ট? যথেষ্ট নয় ঠিকই, তবে এদেশে মেয়েদের খেলাধূলার দিকে সম্প্রতি অনেক বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে। ভারতে মহিলা ক্রিকেটকে ঘিরে প্রায়শই বিতর্ক দেখা দিত। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট সংস্থা। মহিলাদের ক্রিকেটে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আগে কখনও সেভাবে উদ্যোগ নেয়নি। সম্প্রতি পুরুষ ক্রিকেটারদের মতোই মহিলা ক্রিকেটারদের চুক্তির আওতায় নিয়ে এসেছে। ম্যাচ ফি–ও অনেকটাই বাড়িয়েছে। সবথেকে পড় পদক্ষেপ মহিলাদের প্রিমিয়ার লিগ চালু। যা ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটারদের সামনে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। সম্প্রতি অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ভারতীয় মহিলা দল ভারতীয় ক্রিকেটে বিপ্লব ঘটিয়েছে।

ক্রিকেটের মতো জনপ্রিয় না হলেও ফুটবলও কিন্তু ক্রমশ এগিয়ে চলেছে। দেশে মহিলা ফুটবল লিগ যেমন চালু হয়েছে, তেমনই বিভিন্ন রাজ্য সংস্থাও মহিলা ফুটবলের দিকে নজর দিচ্ছে। বাংলাতে চালু হয়েছে কন্যাশ্রী কাপ। এই প্রতিযোগিতা থেকেই উঠে এসে ভারতের মহিলা যুব দলে সুযোগ করে নিয়েছেন মৌসুমি মুর্মু। গত বছর মহিলাদের অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ আয়োজন করেও চমক দেখিয়েছে ভারত। ক্রিকেটের মতো ফুটবলেও এগিয়ে আসছে ভারতীয় মেয়েরা।
এদেশের সামগ্রিক খেলাধূলায় নারীদের অংশগ্রহণ ১৫০ শতাংশ বেড়েছে। মহিলারা এমন অনেক খেলায় অংশ নিয়ে সাফল্য পেয়েছে, যেগুলিতে এতদিন শুধু পুরুষদেরই আধিপত্য ছিল।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!