- এই মুহূর্তে দে । শ
- জুন ৭, ২০২৪
গান্ধিমূর্তির জায়গায় এবার এবার কি গডসে? সংসদ ভবনের রদবদল নিয়ে বিদ্রুপ বিরোধী শিবিরের

পুরনো সংসদ ভবনের প্রবেশদ্বার আলোকিত করে ছিল জাতির জনক মহাত্মা গান্ধির ধ্যানরত ব্রোঞ্জের মূর্তি। তিন দশক আগে ভাস্কর রাম ভি সুতারের তৈরি এই ভাবগম্ভীর শিল্পকীর্তিটির সামনের জায়গা এতদিন সাংসদদের দাবিদাওয়া, প্রতিবাদের স্থায়ী জায়গা রূপে চিহ্নিত ছিল। নতুন সংসদ ভবন তৈরির পর গান্ধি মূর্তির স্থান হয় নতুন ও পুরনো সংসদ ভবনের ঠিক মাঝখানে। তবে আজ আর তা রইল না। তাকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল পুরনো সংসদ ভবনের ঠিক পিছনে এমন একটি প্রান্তে , যেখানে সহজে কারোর চোখেই পড়বেনা সেই অপরূপ ভাস্কর্য। শুধু মহাত্মা নন, সংবিধান প্রণেতা ড. বি আর আম্বেদকর, ছত্রপতি শিবাজি, জ্যোতিবা রাও ফুলে ,মহারাণা প্রতাপ, বীরসা মুন্ডার মূর্তিও সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। গান্ধিমূর্তি সহ সমস্ত মহাপুরুষদের একই স্থানে রাখা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
कल दोपहर 2:30 पर मैंने इस बात को हाइलाइट कि कैसे मोदी शासन छत्रपति महाराज, महात्मा गांधी और डॉ. अंबेडकर की मूर्तियों को संसद भवन के सामने स्थित विशिष्ट स्थानों से दूसरी जगह स्थानांतरित कर रहा है।
मूर्तियों को हटाए जाने की तस्वीरें सामने आने के बाद, घबराहट में कल देर रात 8 बजे के… https://t.co/lSYxbLHKOP
— Jairam Ramesh (@Jairam_Ramesh) June 7, 2024
অম্বেদকরের মূর্তি সংসদ ভবনের দিকে মুখ করে স্থাপন করা হয়েছিল, প্রতি বছর আম্বেদকর জন্মজয়ন্তীতে সেখানেই শ্রদ্ধা জানানো হত দেশের সংবিধানের জনককে। অবশ্য সংসদের সচিবালয় তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, সবকটি মূর্তিই শ্রদ্ধার সঙ্গে ‘প্রেরণাস্থল’ নামক স্থানে রাখা হবে, যেন দর্শকরা সব কটি ভাস্কর্য একই সঙ্গে দেখতে পান। সচিবালয় দাবি করেছে, আগে ভাস্কর্যগুলি সংসদ ভবনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা ছিল। ফলে সব মূর্তি একসাথে দেখা যেত না। ভবিষ্যতে বিশেষ প্রযুক্তির সহায়তায় যেন দর্শকরা মহাপুরুষদের সংগ্রামী জীবন সম্পর্কে জানতে পারেন এবং তাঁদের শ্রদ্ধাপূর্বক স্মরণ করতে পারেন, তার জন্যই এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে। সংসদ ভবন লোকসভার অধ্যক্ষ বা স্পিকারের আওতাধীন। তাঁর অনুমতি নিয়েই এই কাজ করা হয়েছে।
তবে এ ঘটনায় বিরোধীরা সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে। কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়রাম রমেশ তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে এই ঘটনাকে ‘ভয়াবহ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। কংগ্রেস নেতা পবন খেরা বলেছেন, গুজরাটে বিজেপি সমস্ত আসন দখল করতে পারেনি বলেই গান্ধির মূর্তি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। পাশাপাশি মহারাষ্ট্রেও তাদের ফল আশানুরূপ নয় বলে তারা শিবাজির মূর্তিও সরিয়ে ফেলেছে।’ ৪০০ আসনে জিতলে বিজেপি কি সংবিধানকেই ছাড় দিত !’ প্রশ্ন তুলেছেন খেরা। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকারের প্রশ্ন, সংসদ চত্বরের চিরকালীন প্রতিবাদের জায়গা থেকে গান্ধি ও অম্বেদকরের মূর্তি সরিয়ে কি নরেন্দ্র মোদি ও নাথুরাম গডসের মূর্তি বসানো হবে? অমেঠির নতুন সাংসদ কিশোরী লাল শর্মা এই কাজকে ‘সস্তা রাজনীতি’ বলে উল্লেখ করেছেন। বিরোধীদের প্রশ্ন তাঁদের কণ্ঠরোধ করার জন্যই কি মোদি সরকার এমন পন্থা অবলম্বন করল ? শুরু হয়েছে সমালোচনা।
❤ Support Us