- এই মুহূর্তে দে । শ
- জুন ১৫, ২০২৩
দেড় মাসের টানা ছুটির ইতি ! অতিরিক্তি ক্লাস নিয়ে, পঠন পাঠনের খামতি পূরণের পরিকল্পনা

দীর্ঘ বিরতি শেষে পড়ুয়াদের জন্য আবার খুলে গেল স্কুলের দরজা। প্রবল তাপপ্রবাহ ও চড়া তাপমাত্রার কারণে সরকারি ও সরকার পোষিত বিদ্যালয় গুলোতে ২ মে থেকে ছুটি ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। প্রথমে ঠিক হয়েছিল ৫ জুন স্কুল খোলা হবে। পরে গরম না কমায় গ্রীষ্মাবকাশের মেয়াদ বাড়ানো হয়। অস্বস্তিকর পরিস্থিতি অবশ্য এখনও বিরাজ করছে। অবশ্য চিকিৎসকদের মত, অবিলম্বে স্কুলের স্বাভাবিক পঠন-পাঠন চালু করা দরকার। তাই সবার পরামর্শ নিয়ে আবার শিক্ষাঙ্গন শিক্ষার্থীদের জন্য খোলার পথে হাঁটল রাজ্য সরকার।
দীর্ঘ সময় পরে স্কুল খোলায় সিলেবাস কীভাবে শেষ হবে তা নিয়ে শিক্ষক থেকে পড়ুয়া ও অভিভাবকদের মধ্যে প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা কয়েকটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা জানিয়েছেন, গরমের ছুটিতে অনলাইনে ক্লাস নেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিক পঠন পাঠন চালু হওয়ার পর আরো অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তাঁরা। তাই পাঠ্যসূচি শেষ হওয়া নিয়ে তাঁরা ততটা ভাবিত হন। তবে, সরকারি নিয়মে যেখানে ছুটি হয় ৪ টে ৪০ মিনিটে। সেখানে অতিরিক্ত ক্লাস কখন নেওয়া হবে সে প্রশ্ন করা হলে প্রধান শিক্ষকরা বলেছেন, সেক্ষেত্রে শনিবার নির্ধারিত সময়ের থেকে আরো বেশিক্ষণ পড়াবেন শিক্ষকরা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে টিফিনের সময় কিছুটা কমিয়ে দেওয়ায়া গতে পারে। কয়েকটি স্কুলে ইতিমধ্যে অলিখিত নির্দেশিকা জারি হয়েছে। বলা হয়েছে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া মাষ্টারমশাইরা যেন অতিরিক্ত ছুটি না নেন। সিলেবাস শেষ করতে উদ্যোগের অভাব নেই। কিন্তু এতে পড়াশোনার যে আনন্দদায়ক পরিবেশের কথা বলা হয় তা কতটা বজায় থাকবে সে নিয়ে সংশয় রয়েছে।
চিকিৎসকরা স্কুলে যাওয়ার পরামর্শ দিলেও সাবধানতা অবলম্বনের ব্যাপারে পড়ুয়া ও অভিভাবকদের সতর্ক থাকতে বলেছেন। তাঁর জানিয়েছেন, যেহেতু গরমের হাসফাঁস অবস্থা এখনো জারি রয়েছে। তাই মাঠে রোদের মধ্যে খেলাধুলা থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রয়োজন হলে দিনে দুই থেকে তিন বার স্নান করা যেতে পারে। গরমের মধ্যে বাড়িতে এসেই ঠাণ্ডা জল খাওয়া বা বাতানুকূল ঘরে বসে বিশ্রাম নেওয়া এসব বন্ধ করতে হবে। খাওইয়া-দাওয়া হাল্কা রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। এরকম কয়েকটি সাধারণ নিয়ম মেনে চললে প্রবল দাবদাহের মধ্যে বিদ্যালয়ে গিয়ে পড়াশোনা করতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
অধ্যয়ন একটি দৈনন্দিন অনুশীলন। তাঁর সঙ্গে যদি দীর্ঘ বিচ্ছেদ ঘটে তাহলে পড়াশোনাতেও তাঁর ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ে । করোনাকালে দীর্ঘ সময় স্কুল বন্ধ থাকার পরিণোতি দেখা গিয়েছিল। শুধু পড়াশোনার ক্ষেত্রে নয় শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এব্যাপারে ইতিপূর্বে নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন শিশু মনস্তত্ববিদরা। এছাড়াও রয়েছে আর্থিক দিক থেকে পশ্চাৎপদ অংশের ছেলেমেয়েদের শিক্ষাদানের প্রসঙ্গ। যাদের বিদ্যালয়ের পঠন-পাঠনের ওপর নির্ভর করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই । শিক্ষকরা এসত্যকে অস্বীকার করছেন না। গরমের ছুটি এত দীর্ঘ হবে কেন তা নিয়ে চিকিৎসকরাই প্রশ্ন তুলছেন। শহরের এক নামকরা শিশু চিকিৎসক বলেছেন, স্কুল খুলুক এ গরমেই । তা সহ্য করেই ক্লাস করতে হবে। কোন পড়ুয়াকে ভবিষ্যতে কোন পেশায় কাকে আসতে হবে, কেউ জানে না। এমন কাজ তাকে করতে হতে পারে যেখানে বাইরে ঘুরে বেড়ানোটাই রীতি। তাই এখন থেকেই দরকার মানসিকভাবে প্রস্তুত হওয়া।
❤ Support Us