Advertisement
  • প্রচ্ছদ রচনা
  • জুন ২৯, ২০২২

মহারাষ্ট্রের অস্থিরতার পেছনে তিন ‘G’। গুয়াহাটি ছেড়ে গোয়ায় বিদ্রোহী বিধায়করা। উদ্ধবের উদ্বেগ বাড়ছে। আগামীকাল অগ্নিপরীক্ষা।

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
মহারাষ্ট্রের অস্থিরতার পেছনে তিন ‘G’। গুয়াহাটি ছেড়ে গোয়ায় বিদ্রোহী বিধায়করা। উদ্ধবের উদ্বেগ বাড়ছে। আগামীকাল অগ্নিপরীক্ষা।

আজ সকালে অসমের কামাখ্যা মন্দিরে পুজো দেন শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়ক ও মন্ত্রী একনাথ সিন্ডে ও তাঁর সহযোগী বিধায়করা । সঙ্গে ছিলেন অসমের বিধান সভার সদস্য সুশান্ত বরগোঁহাই। এরপরই অসম ছেড়ে গোয়ার উদ্দেশ্যে উড়ে গেলেন তাঁরা । মন্দিরে পুজা নিবেদনের পর একনাথ সাংবাদিকদের বলেছেন, ৫০ বিধায়ক তাঁকে সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছেন । এঁদের ৪০ জন শিবসেনার। মুম্বাই না গিয়ে গোয়ায় কেন? এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনুমান, মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক অস্থিরতার পেছনে তিন ‘G’ কাজ করছে। এক. গুজরাট। দুই. গুয়াহাটি। তিন. গোয়া। তিন রাজ্যেই শাসকের আসনে বিজেপি । রহস্য ক্রমশ পরিস্কার হয়ে উঠছে যে, মহাবিকাশ অঘোড়ি সরকারকে ক্ষমতাচ্যূত করতে কেন্দ্রীয় শাসকরা যথাসম্ভব সক্রিয়। তাঁদের নির্দেশেই সম্ভবত একনাথের পাশে দাঁড়িয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাসহ বিজেপি শাসিত অন্য দুই রাজ্যের শীর্ষ নেতারা।

বিদ্রোহী বিধায়কদের ছোটাছুটিতেই নেপথ্যের গেরুয়া কারসাজি ক্রমশ সামনে আসছে । বিদ্রোহীরা শিবসেনা থেকে দূরত্ব বাড়াতে প্রথমে গুজরাটের সুরাট, ওখান থেকে অসমের গুয়াহাটি, গুয়াহাটি থেকে গোয়াকে বেছে নিয়েছেন, কুল্লে একদিনের জন্য । মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি আজ সকালেই বিধানসভার সচিব রাজেন্দ্র ভগবতকে নির্দেশ দিয়েছেন, আগামিকাল ১১ টায় বিশেষ অধিবেশন ডাকতে হবে। চলবে ৫ টা পর্যন্ত । বিষয় কী, আস্থাভোট?

রাজ্যপালের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে আবেদন পেশ করেছেন শিবসেনার মুখ্য সচেতক সুনীল প্রভু। তাঁর দাবি, সিন্ডে-সহ ১৬ জন বিধায়কের পদ খারিজের মামলা শীর্ষ আদালতে বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে । এরই মাঝে রাজ্যেপাল মুখ্যমন্ত্রীকে শক্তি পরীক্ষার যে নির্দেশ জারি করেছেন আইনসঙ্গত নয়। ১৬ বিধায়কের ভবিষ্যত নিয়ে সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত শক্তিপরীক্ষা স্থগিত রাখতে হবে। আজ বিকেল ৫টায় সুনীলের আবেদন নিয়ে শুনানি শুরু হওয়ার কথা।

বিজেপির পরিষদীয় নেতা দেবেন্দ্র ফডনবীস রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার পর বৃহস্পতিবার বিশেষ অধিবেশন ডাকার নির্দেশ দেন রাজ্যপাল। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকেও আস্থাভোটের সম্মুখীন হওয়ার নির্দেশ জারি করেন । জটিল পরিস্থিতি । সুপ্রিম কোর্টের শুনানির উপর দোদুল্যমান রাজনীতির ভবিষ্যত দাঁড়িয়ে আছে। দ্বিতীয়ত শুনানির রায় যাই হোক না কেন, উদ্ভুত সমস্যা থেকে উদ্ধবের রেহাই নেই । কংগ্রেস, এনসিপি, শিবসেনার গুটি কয়েক সদস্য এবং আর অন্যান্যরা তাঁর মুখ্যমন্ত্রিত্বকে বাঁচিয়ে দেবেন, এরকম আশাবাদী ভাবনার অবকাশ নেই। নানা মহলের অভিযোগ, টাকার খেলা চলছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল অভিযোগ করেছেন, হর্স ট্রেডিং চলছে ।

প্রসঙ্গত বলা জরুরি, বিদ্রোহী বিধায়কদের উদ্ধব শিবিরে ফিরে আসার সম্ভাবনা ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর। সিন্ডেকে উপ-মুখ্যমন্ত্রীর টোপ দিচ্ছে আড়ালের শক্তিমান। সিন্ডে টোপ গিললেই বিজেপির কেল্লা ফতে—মুখ্যমন্ত্রী ফড়নবিশ আবার মুখ্যমন্ত্রী, আর কংগ্রেস এনসিপি ও শিবসেনার একাংশ বিরোধী বেঞ্চে ক্ষমতাহীন শোভাবর্ধক মাত্র। এটাই মহারাষ্ট্রীয় রাজনীতির ভবিতব্য সংকেত।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!