শিবভোলার দেশ শিবখোলা
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
এর আগে নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরাজয়ের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রামের নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছিল তৃণমূলের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার একটা বড়ো অংশ। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে সেই শেখ সুফিয়ানের বিরুদ্ধে বিজেপির সঙ্গে গোপন বৈঠকের অভিযোগে সরব হলেন পূর্ব মেদিনীপুর তথা নন্দীগ্রামের তৃণমূলের একাংশ। এমনও শোনা যাচ্ছে নন্দীগ্রামে তৃণমূলের জেতা-হারার ভাগ্য নির্ধারণ করতে চলেছেন শেখ সুফিয়ান।
নান্দীগ্রামের জমি আন্দোলনের পরিচিত মুখ, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের বিদায়ী সহ-সভাধিপতি শেখ সুফিয়ানকে আর এ বার পঞ্চায়েতে তৃণমূলের টিকিট দেওয়া হয়নি। তা নিয়ে ক্ষোভ আর অভিমান রয়েছে নন্দীগ্রামের সুফিয়ান গোষ্ঠীর। এবার শোনা যাচ্ছে, রাজ্য বিজেপির এক শীর্ষ নেতার সঙ্গে সম্প্রতি বৈঠক করেছেন শেখ সুফিয়ান। এমনও শোনা যাচ্ছে বিজেপির সঙ্গে শেখ সুফিয়ানের বোঝাপড়াও হয়ে গিয়েছে। আর এই বোঝাপড়ার ভিত্তিতেই নন্দীগ্রামের ভোট-ভাগ্য নাকি নির্ধারিত হতে চলেছে।
এদিকে শেখ সুফিয়ানের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি মানতে চাইছে না বিজেপি। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক মেঘনাদ পাল এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “আমরা অনেক জায়গায় প্রার্থী দিতে পারিনি ঠিকই। সেই সব জায়গায় মানুষের জোট’কে সমর্থন করেছি। তবে সুফিয়ানের সঙ্গে বিজেপির বোঝাপড়ার প্রশ্নই ওঠে না।’’ বিজেপি নেতা সৌমেন্দু অধিকারীও একই সুরে বলেছেন, ‘‘নিচুতলায় মানুষের জোট হয়েছে।” তবে বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে সুফিয়ানের বৈঠক হয়েছে কি না, জানতে চাইলে সৌমেন্দু অধিকারী বলেছেন, “এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।”
রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক এবং শাসক দলের তরফে পূর্ব মেদিনীপুরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কুণাল ঘোষ এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‘সুফিয়ানদা’র সঙ্গে আমার কথা হয়নি। তবে এমন হতেই পারে যে, বিজেপির কেউ তৃণমূলে আসতে চেয়ে ওঁর সঙ্গে কথা বলে থাকতে পারেন! এই রকম আরও কিছু ঘটনা জেলার অন্যত্রও ঘটেছে।’’
এদিকে শেখ সুফিয়ানের বক্তব্য, ‘‘আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক, দলের অনুগত কর্মী। টিকিট পাই, না পাই, দলকে জেতানোর জন্য কাজ করে যাব,আগেও করছিও।’’ যদিও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এ দিনই নদিয়ার এক সভায় দাবি করেছেন, “এই সরকারের আশি শতাংশ লোক আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।”
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, সুফিয়ান নিজেকে “মমতার অনুগত সৈনিক” বলার পাশাপাশি বলছেন, ‘‘পরিস্থিতি যা, তাতে আমি প্রচারে নামার পরেও যদি দল খারাপ ফল করে, তখন ওরাই আবার বলবে, আমি ভোট কাটতে সাহায্য করেছি।” তার পরেই তাঁর দাবি, “ব্লক নেতৃত্বই পরিকল্পনা করে শুভেন্দুর সঙ্গে বোঝাপড়া করে তৃণমূলকে ধ্বংস করার চক্রান্ত করছেন। উল্টে আমার সঙ্গে শুভেন্দুর গট আপের গল্প ছড়াচ্ছেন!”
এর আগেই শেখ সুফিয়ানের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাতে’র অভিযোগ উঠেছিল গত বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরাজিত হওয়ার পর। সেই ভোটে নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজেন্ট ছিলেন শেখ সুফিয়ান। তার পরেই নন্দীগ্রামের তৃণমূল সংগঠন থেকে শেখ সুফিয়ানের অনুগামীদের সরানো হয়। নন্দীগ্রামে পঞ্চায়েত ভোট পরিচালনার দলীয় কমিটিতেও রাখা হয়নি সুফিয়ানকে। তার পরেই সুফিয়ান-অনুগামীরা তৃণমূলের টিকিট না পাওয়ার ভয়ে নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা দিতে শুরু করে। সুফিয়ানকে জেলা পরিষদে প্রার্থী করেও শেষ লগ্নে জানানো হয়, তিনি টিকিট পাচ্ছেন না। তার পর শেখ সুফিয়ান বলেছিলেন, “মাতাল, মদখোরদের কথাই দল শুনছে, আমায় তাই সরিয়ে দেওয়া হল প্রার্থী করে।এবার ওরাই দল চালাক।
তবে শেখ সুফিয়ান আর বিজেপির এই আঁতাতের বিষয়টি শুধু যে মুখে মুখে ঘুরছে সেটাই নয়। নন্দীগ্রামের ভোটার অংকেও সেই বোঝাপড়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে নন্দীগ্রামে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থীদের নজিরবিহীন লড়াই হচ্ছে। এই নির্দলের একটা বড় অংশ নিজেদের শেখ সুফিয়ানের অনুগামী বলে প্রচার চালাচ্ছেন। তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে দাউদপুর, সামসাবাদ, কেন্দেমারি ও নন্দীগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতে আগেই মনোনয়ন দেন শেখ সুফিয়ান পন্থীরা। এই চার গ্রাম পঞ্চায়েতেই বেশ কিছু আসনে প্রতীকে প্রার্থী দেয়নি বিজেপি। ফলে, সেখানে তৃণমূলের সঙ্গে সরাসরি লড়াইয়ে নির্দল বা বাম-কংগ্রেসের প্রার্থী। সুফিয়ান বলছেন, ‘‘সিপিএম, কংগ্রেস থেকে এমন অনেকে প্রার্থী হয়েছেন, যাঁরা বেশির ভাগ তৃণমূলেরই লোক।’’ তাঁর ক্ষোভ, ‘‘এঁদের অনেকের দলের টিকিট পাওয়ার যোগ্যতা আছে। অথচ ব্লক নেতৃত্ব আলোচনাই করলেন না! দলের জেলা তৃণমূলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ব্লক অফিস বসেই প্রার্থী তালিকা ঠিক করে ফেলল!’’
এই পরিস্থিতিতে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দুর ঘোষণা, ওই পঞ্চায়েতগুলিতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়বে ‘মানুষের জোট’।
রাখঢাক না রেখে সুফিয়ান বলছেন, ‘‘আমি দাঁড়ালে চারটি গ্রাম পঞ্চায়েত জিতত। আমি না দাঁড়ানোয় চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতই শেষ হয়ে যেতে পরে।’’ নন্দীগ্রামে সুফিয়ান-বিরোধী বলে পরিচিত, এ বার সুফিয়ানের বদলে জেলা পরিষদে তৃণমূলের প্রার্থী শেখ শামসুল ইসলাম জানাচ্ছেন, ‘‘সুফিয়ান প্রকাশ্যে দলের বিরোধিতা করছেন না ঠিকই। কিন্তু ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের দলের প্রচারে নেই তিনি।’’
সুফিয়ানপন্থী হিসাবে পরিচিত, দাউদপুরের পঞ্চায়েতে ‘নির্দল’ হিসেবে দাঁড়ানো আব্বাস বেগ বলছেন, ‘‘তৃণমূলটা চোর-ডাকাতের দল হয়ে গিয়েছে। ‘মানুষের জোট’ চাইছে এই দলটাকে উৎখাত করতে। তার জন্য যা করার, সেটাই করা হবে।’’ আব্বাস বেগের এই কথার সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর তৃণমূল বিরোধিতা করে পেশ করা ভাষণের হুবহু মিল পাওয়া যাচ্ছে।
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
সৌরেনির উঁচু শিখর থেকে এক দিকে কার্শিয়াং আর উত্তরবঙ্গের সমতল দেখা যায়। অন্য প্রান্তে মাথা তুলে থাকে নেপালের শৈলমালা, বিশেষ করে অন্তুদারার পরিচিত চূড়া দেখা যায়।
মিরিক নামটি এসেছে লেপচা ভাষার “মির-ইওক” শব্দ থেকে, যার অর্থ আগুনে পুড়ে যাওয়া জায়গা।
15:34