- দে । শ
- ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৩
কুণালের ‘রণনীতি’-র বিস্তার অপ্রতিহত।সাংগঠনিক কৌশলে উজ্জীবিত তরুণ তুর্কিরা।শুভেন্দুর খাসগড়ে ভূকম্পন।হলদিয়ায় নিঃশব্দ উচ্ছ্বাস।

যুব তৃণমূলের নতুন জেলা সভাপতি, আজগর আলি পল্টু, জেলা আইএনটিইউসির জেলা সভাপতি চন্দন দে, তৃণমূলের হলদিয়া-নগর সভাপতি মিলন মণ্ডলের সঙ্গে ঘরোয়া বৈঠকে দলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। শুক্রবার, হলদিয়ায়। চিত্র: ফেসবুক
আমাদের ধারণা, পূর্ব মেদিনীপুরে, জেলা তৃণমূলের সাংগঠনিক আয়তনকে আরো জোরদার করে তুলবার অঙ্গীকার ঘোষণা করেছেন কুণাল ঘোষ; তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক আর বহুমাত্রিক সাংবাদিক। শুক্রবার হলদিয়ায়, দলের বিভিন্ন শাখা সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে একান্ত বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, হলদিয়া আর তমলুকের বিভিন্ন জেলা সংগঠনগুলিকে অধিকতর ইতিবাচক, ঐক্যবদ্ধ ও গতিশীলতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
দিন কয়েক আগে, তমলুকের একাধিক শাখা সংগঠনের নতুন পদাধিকারীদের নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল। হলদিয়ার নগর সভাপতির পদে নিয়ে আসা হয়েছে মিলন মণ্ডলকে। তারুণ্যে ভরপুর, পরিশ্রমী আর আদর্শনিষ্ঠ যুব নেতা। জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি মনোনীত হয়েছেন আজগর আলি পল্টু–সানন্দ খেলার প্রতিভা, কার র্যালির সর্বভারতীয় চ্যাম্পিয়ন। এক্ষেত্রে তাঁর উচ্চতা বহুবার প্রতিষ্ঠিত। সমাজসেবা আর রাজনীতি তাঁর রক্তে। হলদিয়া পুরসভার ‘কাজ পাগল’ কাউন্সিলর হিসেবে প্রমাণিত তাঁর সত্যনিষ্ঠা। জেলা আইইউএনটিসির সভাপতি করা হয়েছে চন্দন দে-কে– শ্রমিক আন্দোলনের কর্ম আর মর্মের সঙ্গে সুপরিচিত নেতা। জেলা যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন দুজন। শিবনাথ সরকার ও স্বপন নস্কর। দুজনেই তরুণ তুর্কি। তৃণস্তর থেকে ছাত্র রাজনীতি পর্যন্ত তাঁদের সাংগঠনিক নিষ্ঠা আর ঐক্যবোধ প্রশ্নাতীত।
দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জির পরামর্শে জেলার বিভিন্ন সংগঠনকে নতুন করে ঢেলে সাজাচ্ছে তৃণমূল। পূর্ব মেদিনীপুরে কৌশলপ্রিয় কুণালের প্রবেশে বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীর দুর্গ আর সুরক্ষিত নয়। যেভাবে তৃণমূল তরুণ তুর্কিদের জেলা সংগঠনের প্রথম সারিতে নিয়ে আসছে, তাতে মনে হওয়া স্বাভাবিক, সুপরিকল্পিত অঙ্ক নিয়ে এগোচ্ছেন কুণাল ঘোষ। জন্মাঞ্চলের খাসগড়েই শুভেন্দুকে ছিন্নমূল করে দেওয়া তাঁর অন্যতম লক্ষ্য।
দিনকয়েকের মধ্যেই হলদিয়ায় তৃণমূলের বুথ-কর্মী সম্মেলন হবে। জোর কদমে প্রস্তুতি চলছে। শুক্রবার যুব নেতৃত্বের নতুন পদাধিকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কুণাল। উপস্থিত ছিলেন মিলন মণ্ডল, আজগর আলি পল্টু। চন্দন দে প্রমুখ। বৈঠকে কুণাল বলেছেন,
১.দলের উচ্চতর নেতৃত্বের সঙ্গে শাখা সংগঠনগুলোকে সমন্বয় বজায় রেখে কাজ করতে হবে।
২. নেতাকর্মীদের দলীয় আনুগত্য মেনে চলতে হবে।
৩. অভিষেক ব্যানার্জির নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে।
তৃণমূলের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই কুণাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবাদর্শে অনুপ্রাণিত। অনেক ঝড় ঝাপটা তাঁকে সহ্য করতে হয়েছে। বাইরের কুৎসা আর আক্রমণ যত বেড়েছে,ততই তাঁর জেদ আপোষহীন অঙ্গীকারের চেহারা নিয়েছে । প্রতিবাদ আর প্রতিরোধের বিস্তারে বরাবর অভ্যস্ত কুণাল সহযোদ্ধা হিসেবে পূর্ব মেদিনীপুরে, অন্যান্য জেলায়ও যাঁদের বেছে নিয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকেই অভিজ্ঞ। তারুণ্যবোধে দীক্ষিত।
❤ Support Us