- এই মুহূর্তে দে । শ
- মে ২, ২০২৪
তারকা প্রচারের তালিকা থেকেও নাম বাদ, আক্ষেপ নেই বললেন কুণাল ঘোষ

তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অপসারিত হয়ে দলের বিরুদ্ধে বোমা ফাটালেন কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগেও স্কুল নিয়োগ কেলেঙ্কারি সম্পর্কে সচেতন ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কুণাল ঘোষের এই মন্তব্য লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের ক্ষতি করবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, এসএসসি কেলেঙ্কারি এবারের লোকসভা নির্বাচনে একটা উল্লেখযোগ্য ইস্যুতে পরিণত হয়েছে।
বুধবার উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের সঙ্গে একটা রক্তদান শিবিরের মঞ্চে হাজির ছিলেন কুণাল ঘোষ। সেই মঞ্চে তাপস রায়ের প্রশংসা করার কয়েক ঘন্টা পর কুণাল ঘোষকে দলের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তৃণমূলের বিরুদ্ধো বিষোদ্গার করে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘স্কুল শিক্ষা বিভাগের চাকরিতে যে বড় আকারের দুর্নীতি এবং তোলাবাজি হয়েছে, তা দল ভালভাবে জানত। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগেও এই দুর্নীতি সম্পর্কে দল অবগত ছিল।’
#WATCH | Kolkata: TMC leader Kunal Ghosh says, “… One month ago, I had asked the party to release me from my duties. I was also on the star campaigners list, but now I am not. Party has given a chance to new faces, this is a good thing… The party had information for a long… pic.twitter.com/9sZvHNWryS
— ANI (@ANI) May 2, 2024
কুণাল ঘোষ আরও বলেন, ‘২০২১ সালে দল টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফিরে আসার পর বড় মাপের দুর্নীতির তথ্যের কারণেই পার্থ চ্যাটার্জিকে শিল্প বিভাগে স্থানান্তর করা হয়েছিল।’ তৃণমূল নেতা পার্থ চ্যাটার্জিকে স্কুল সার্ভিস কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০২২ সালের জুলাই মাসে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) গ্রেফতার করেছিল। গ্রেফতারের পর পার্থ চ্যাটার্জিকে রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়া হয়। দল থেকেও বহিস্কার করে। এছাড়া কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে বেশ কিছু তৃণমূল নেতা এবং বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য এবং জীবন কৃষ্ণ সাহাকে সিবিআই গ্রেফতার করেছিল।
এবার তৃণমূলের তারকা প্রচারকের তালিকা থেকেও বাদ পড়লেন কুণাল ঘোষ। ৪০ জন তারকা প্রচারকের তালিকায় তাঁর নাম রাখেনি তৃণমূল নেতৃত্ব। দল যে তাঁর থেকে দুরত্ব তৈরি করছে বলে কানাঘুষো শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। এই প্রসঙ্গে একটি সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, আমি তৃণমূলেই আছি এবং থাকবো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে প্রচার করে চলেছেন তাতে তৃণমূলের আসন সংখ্যা অনেক বাড়বে। অনেক বড় বড় সুবক্তা রয়েছেন সে তালিকায়। কিন্তু বিরোধী দলনেতাকে সরাসরি চোর বলার সাহস নেই তাঁদের, যা আমার ছিল। আমার নাম বাদ পড়বে তা আগেই আন্দাজ করতে পেরেছিলাম। সে নিয়ে কোন আক্ষেপ নেই।
ভোটের আগে কুণাল ঘোষকে ঘিরে এইসব বিতর্ক দলের মধ্যে বিড়ম্বনা বাড়াচ্ছে,যা প্রায় স্বীকার করেছে শীর্ষ নেতৃত্ব।
❤ Support Us