Advertisement
  • দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
  • সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩

“ইডির ভূমিকা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত”, জেরা শেষে বললেন অভিষেক

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
“ইডির ভূমিকা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত”, জেরা শেষে বললেন অভিষেক

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার ইডির জেরা শেষে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে স্বীকার করলেন, তিনিই এখনও লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সিইও। ইডির এই অভিযান রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যেহেতু ধূপগুড়িতে হেরেছে তাই ডেকেছে। ইডি তাদের রাজনৈতিক প্রভূদের সন্তুষ্ট করতে এসব করছে। তাঁর তদন্তকারী সংস্থার ওপর কোনও অসন্তোষ নেই। এটা শুধুই সময় নষ্ট।
ইডির জেরা শেষে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে বুধবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, “আমি বার বার বলেছি সময় নষ্ট। যাঁরা ইডি তে কাজ করেন,তাঁরা তাঁদের দায়িত্ব পালন করছেন, তাঁদের রাজনৈতিক প্রভূদের সন্তুষ্ট করতে। এই ৯/সাড়ে ৯ ঘণ্টার ফল শূন্য। যাঁরা রাজনৈতিক ভাবে পারে না, পরাজিত হয়, তাঁরা তদন্তকারী সংস্থাকে কাজে লাগায়, এটা সব অবিজেপি শাসিত রাজ্যে হচ্ছে। এই ধূপগুড়িতে পরাজিত হল, গতবার ধূপগুড়িতে বিজেপি সাড়ে ৪ হাজার ভোটে জিতেছিল, এবার তৃণমূল জিতেছে ৪ হাজার ৪০০ ভোটে। এটা যত করবে ততোই তৃণমূল শক্তিশালী হবে। আসলে ভোটের আগে, ভোটের পরে এইভাবে তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে বিরোধীদের হয়রান করা একটা প্রচলিত রীতিতে পরিণত হয়েছে। সারদা,নারদা তদন্তে কী লাভ হল? সুদীপ্ত সেন এতোদিন জেলে সারদার কেউ টাকা পেয়েছে? শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ১৪ মাস জেলে, কেউ উপকৃত হয়েছে? তদন্তকারী সংস্থার সাফল্যের হার ০.৪৮%। আমি তৃণমূল করি তাই আজ ইন্ডিয়া জোটের সমন্বয় বৈঠক থাকার পরও আমায় ডেকেছে। আসলে বিজেপি ভয় পায় তৃণমূলকে, তাই তৃণমূলকে আটকাতে চাইছে তাই ইন্ডিয়া না ভারত, সীমান্ত সমস্যা সামনে এনে বেকারি, মূল্যবৃদ্ধির ইস্যু থেকে মানুষের নজর ঘোরাতে চাইছে। এসব যত করবে ততো তৃণমূল শক্তিশালী হবে।”
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “আমি এখনও লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সিইও আছি। আমায় এই বিষয়ে যা প্রশ্ন তদন্তকারী সংস্থা করেছে, আমি আমার যতটা জানা সব উত্তর দিয়েছি।”এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কেসি বেনুগোপাল, শরদ পাওয়ারকে প্রশংসা করে বলেন, “আগামী দিনে এনডিএ নয়, ইন্ডিয়া-র সরকার আসবে। তাই বলছি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওপর ভরসা রাখুন। আমি আদালতে যাই এটা আমার অধিকার,আমি ভয় পাই না। আমি বাংলার কংগ্রেস,সিপিএম,বিজেপিকে বলছি, এক সঙ্গে বৈঠক করে বলুন, অভিষেক কী করলে আপনারা খুশি। আমি বলছি আমায় গ্রেফতার করুক। তাহলে আমার তদন্তকারী সংস্থাকে দেওয়া বিবৃতি আদালতে পেশ হবে। মানুষ জানবে আমি কী বলেছি, কেন আমায় গ্রেফতার করা হয়েছে।”

অভিষেক এদিন বলেন, “যাদের ক্যামেরার সামনে নারদাকাণ্ডে হাত পেতে টাকা নিতে দেখা গেছে তাদের গ্রেফতার করুক, আর এই গ্রেফতার শুরু হোক শুভেন্দু অধিকারীর গ্রেফতারি দিয়ে,তারপর তৃণমূলের যারা অভিযুক্ত তাঁদেরও গ্রেফতার করুক, দেখি পারে কি না। একজনকে ক্যামেরায় হাত পেতে টাকা নিতে দেখা গেল, কই আদালততো তাঁকে গ্রেফতার করার কথা বলছে না! সবাইকে গ্রেফতার করা হোক, গ্রেফতারি শুরু হোক শুভেন্দুকে দিয়ে।”অভিষেককে নিয়ে কেসি বেনুগোপালের অভিষেককে সমর্থন এবং অধীর চৌধুরীর অভিষেককে সমালোচনা প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে অভিষেক বলেন, “ওটা কংগ্রেস দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়, তৃণমূলের নয়, তাই এই প্রশ্নের উত্তর কেমন করে দেব?”

অভিষেক এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “আমায় যে ভাবে কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়দের নিয়ে প্রশ্ন করছেন সেই দৃঢ়তা নিয়ে অমিত শাহকে প্রশ্ন করতে পারবেন?”

এদিন সাংবাদিকরা অভিষেককে প্রশ্ন করেন, কালীঘাটের কাকু বলেছিলেন, আমার সাহেবকে ছুঁতে পারবে না, আপনি কী বলবেন? উত্তরে অভিষেক বলেন, “যে বলেছেন তাঁকে জিজ্ঞাসা করুণ, তবে আমি তো এই গেছিলাম, আমায় ধরে রূখতে পারল?”

অভিষেক এদিন বলেন, “জটায়ুর মতো তদন্ত করছে ইডি।”
এদিনও অভিষেক বলেন, “আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হলে আমি ফাঁসিতে ঝুলব।”

  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!