- Uncategorized এই মুহূর্তে
- মার্চ ২৪, ২০২২
কুণালের পাশে বসে বিস্ফোরক জয়প্রকাশ: আর এক নন্দীগ্রাম করতে পারলেই কেল্লাফতে— বলেছিলেন শুভেন্দু ।

দিনকয়েক আগেই পোড় খাওয়া রাজনৈতিক জয়প্রকাশ মজুমদার রাজ্য বিজেপির প্রথম সারির নেতা ছিলেন । এক সময় কংগ্রেস করতেন । এখন তিনি প্রদেশ তৃণমূলের সহসভাপতি। যখন যে দলে থাকেন, সে দলের স্বরে কণ্ঠমিলিয়ে কথা বলতে দ্বিধা নেই তাঁর । দিনকয়েক আগেই তাঁর নেতা ছিলেন শুভেন্দ্র অধিকারী। এবার সেই নেতার বিরুদ্ধেই মারাত্মক অভিযোগ তুললেন জয়প্রকাশ । রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের পাশে বসেই দাবি করলেন, ‘বিজেপির একটি বৈঠকে শুভেন্দুবাবু বলেছিলেন, আমরা যদি একটা নন্দীগ্রাম করিয়ে দিতে পারি তাহলে কেল্লাফতে। পরশু থেকে আমার মাথায় কথাটা ঘুরছে ।’ রাজ্য সরকারের তরফে আগেই বলা হয়েছিল, বগটুই গ্রামের ঘটনায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত রয়েছে । জয়প্রকাশের বিবূতিতে বস্তুত সে ইঙ্গিত মিলে গেল।
আজ কলকাতায় বগটুই হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিজেপির মিছিল করার কথা ছিল। দলীয় সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের রামপুরহাট সফরের পরিপ্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট মিছিল স্থগিত রাখা হচ্ছে।কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীওল তাঁর অভিযোগ নিয়ে বিরামহীন । রাজ্যে ৩৫৫ ধারা কার্যকর করার আর্জি জানিয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠিও দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতর ও চুপচাপ বসে নেই । সরব স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। এরকম পরিস্থিতিতে আজ দিল্লিতে অমিত শাহের সঙ্গে তৃণমূলের প্রতিনিধিদের দেখা করার কথা ।
জয়প্রকাশ মজুমদারের মন্তব্য নিসন্দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলতে দ্বিধা করেন নি যে, রামপুরহাট নিয়ে ঘটনায় শুভেন্দুবাবু বলছেন— কেন্দ্রীয় সরকার পদক্ষেপ নেবে। প্রশ্ন উঠছে এটা কি বাংলার নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দেওয়ার বৃহত্তর ষড়যন্ত্র?
শুভেন্দু জয়প্রকাশের মন্তব্য নিয়ে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যস্ক করেন নি। কিন্তু প্রকারান্তরে বাগটুই গ্রামের ঘটনার সঙ্গে তাঁকে জড়িয়ে দিলেন জয়প্রকাশ ।
❤ Support Us