Advertisement
  • এই মুহূর্তে ন | ন্দ | ন | চ | ত্ব | র
  • জুন ৫, ২০২৫

পলিটিক্যাল থ্রিলারে রূপালি পর্দায় অভিষেক কুণাল ঘোষের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
পলিটিক্যাল থ্রিলারে রূপালি পর্দায় অভিষেক কুণাল ঘোষের

রাজনীতি আর অভিনয় — একে অপরের অঙ্গাঙ্গী, কান পাতলে শ্লেষমাখা এ কথা প্রায়শই শোনা যায় আমাদের চারপাশে। ভারতের রাজনীতিতে বিনোদন জগৎ থেকে উঠে এসে নেতানেত্রী হয়ে ওঠা নতুন কিছু নয়, তা হোক জয়ললিতা, এন. টি. রামা রাও, রজনীকান্ত, কমল হাসান, স্মৃতি ইরানি, শত্রুঘ্ন সিনহা, হেমা মালিনী কিংবা বঙ্গরাজনীতির তাপস পাল, শতাব্দী রায়, দেব, মদন মিত্র পার্থ ভৌমিক, কিংবা ব্রাত্য বসু। নিন্দুকেরা বলেন, এ দেশে রাজনীতি করতে হলে তো অভিনয়ে পারদর্শী হতেই হয়, তাহলে রাজনীতি থেকে রূপালি জগতেই বা আসা যাবে না কেন ! সে কথারই বাস্তব উদারহণ তৈরি করে রাজনীতির মঞ্চ থেকে সরাসরি রূপালি পর্দায় অভিষেক হতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষের। তিনি এবার অভিনয় করবেন বড় পর্দায়। পরিচালক অরিন্দম শীলের আগামী ছবি ‘কর্পূর’-এ এক দাপুটে রাজনৈতিক নেতার চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। ছবির পটভূমি নয়ের দশকের এক চাঞ্চল্যকর বাস্তব ঘটনা—কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সহকারী নিয়ামকের রহস্যময় অন্তর্ধান রহস্য। সাহিত্যিক দীপান্বিতা রায়ের উপন্যাস ‘অন্তর্ধানের নেপথ্যে’-কে অবলম্বন করেই তৈরি হচ্ছে এই রাজনৈতিক থ্রিলার।

ছবিতে মৌসুমী সেন নামে ওই নিখোঁজ আধিকারিকের চরিত্রে রয়েছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। তাঁর স্বামীর চরিত্রে দেখা যাবে পরিচালক অরিন্দম শীলকেই। ব্রাত্য বসু থাকছেন লালবাজারের হোমিসাইড বিভাগের এক তদন্তকারী অফিসারের চরিত্রে। সংবাদমাধ্যমের সম্পাদক হিসেবে থাকছেন তৃণমূল কাউন্সিলর অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও অভিনয় করছেন সাহেব চট্টোপাধ্যায়, রুমকি চট্টোপাধ্যায়, অর্পণ ঘোষাল, লহমা ভট্টাচার্য-সহ মোট ১৭ জন বিশিষ্ট শিল্পী। প্রথমবার অভিনয়ে নামলেও আত্মবিশ্বাসে ভরপুর কুণাল। তিনি বললেন, ‘রাজনীতিতে এসে যদি অনেকে সফল হন, তবে রাজনীতির জগত থেকে সিনেমায় পা রেখেও তো সফল হওয়া যায়!’ জানা যাচ্ছে, তাঁর চরিত্রটি বাম আমলের প্রয়াত এক দাপুটে নেতার ছায়ায় তৈরি। ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, সেই নেতা আসলে অনিল বিশ্বাস। যদিও পরিচালক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ‘সব চরিত্র কাল্পনিক। বাস্তব রাজনীতির সঙ্গে মিল খোঁজা ভুল হবে।’ অভিনয়ে কুণালের সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কুণাল জানান, ‘আমি ব্রাত্যকে অনুরোধ করেছি, অভিনয় শেখাতে। ওর মতো একজন নাট্যকার, অভিনেতা ও পরিচালক আমার পাশে থাকলে আমি আত্মবিশ্বাসী।’

গল্পের পটভূমি ১৯৯৭ সাল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি কন্ট্রোলার মৌসুমী সেন নিখোঁজ হয়ে যান। দু-বছর পরে পাওয়া যায় দিস্তার পর দিস্তা ব্ল্যাঙ্ক মার্কশিট। সেই ঘটনার রহস্য উন্মোচনে নামে এক সংবাদমাধ্যমের দুই সাংবাদিক। ২০১৯ সালে তাদের অনুসন্ধান ঘিরেই খুলতে শুরু করে অতীতের পরত। অরিন্দমের কথায়, ‘এই গল্পে রাজনীতি আছে, থ্রিলার আছে, সময়ের পরিবর্তনও আছে। ১৯৯৭ আর ২০১৯—দুটি টাইমলাইনের মিশেলে ছবিটি এক অন্য মাত্রা পাবে।’ জানা যাচ্ছে, জুলাই মাস থেকে শুরু হচ্ছে শুটিং। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ‘কর্পূর’ মুক্তি পাবে ২০২৫-এর ডিসেম্বরে। সে সময় বাংলার বিধানসভা ভোটের তোড়জোড় শুরু হবে। ফলে রাজনীতির পটভূমিতে তৈরি এই ছবি ঘিরে উত্তেজনার পারদ থাকবে চরমে—সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। ছবির সঙ্গীত পরিচালনায় রয়েছেন রথীজিত্‍ ভট্টাচার্য। প্রযোজনায় রয়েছে ফিরদৌসল হাসানের ‘ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশন’ এবং আদিপ্ত মজুমদারের ‘কাহাক স্টুডিয়োজ’। গত কয়েক মাসে নানা বিতর্কের মাঝে ছিলেন পরিচালক অরিন্দম শীল। আবার কাজে ফিরেই এই সাহসী থ্রিলার। প্রশ্ন উঠেছে, এটি কি তাঁর তরফে গভীর কোনো বার্তা ? পরিচালক হেসে বললেন, ‘সে উত্তর পরে দেব। আপাতত ছবি নিয়েই ভাবছি।’


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!