Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩

শো-কজের উত্তর সন্তোষজনক না হলে শাস্তি হতে পারে দুই কাউন্সিলরের, জানালেন মালা রায়

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
শো-কজের উত্তর সন্তোষজনক না হলে শাস্তি হতে পারে দুই কাউন্সিলরের, জানালেন মালা রায়

সম্প্রতি কলকাতা পুরসভার অধিবেশন চলাকালীন তৃণমূল কাউন্সিলর অসীম বসু ও বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের সঙ্গে মারামারি হয়। সজলের অভিযোগ, তাঁকে অসীম আক্রমণ করেছেন। এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে এই দুই কাউন্সিলরকে শো-কজ করেন কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন মালা রায়। শো-কজের জবাব সন্তোষজনক না হলে এই দুই কাউন্সিলর শাস্তির সম্মুখীন হতে পারেন। এমনই ইঙ্গিত দিলেন কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন মালা রায়। শনিবার এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। শুক্রবার কলকাতা পুরসভায় এসে শো-কজের জবাব দিয়ে যান ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ এবং ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অসীম বসু। দুই কাউন্সিলর জবাব দিলেও, এখনও তা দেখার সুযোগ হয়নি চেয়ারপার্সন মালা রায়ের। শুক্রবার রাতেই দিল্লি থেকে সংসদের অধিবেশনে যোগ দিয়ে কলকাতায় ফিরেছেন দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল সাংসদ। তবে নিজের অফিস মারফত তিনি জেনেছেন দুই কাউন্সিলরই শো-কজের জবাব জমা দিয়েছেন তাঁর দফতরে।

এই প্রসঙ্গে মালা রায় বলেছেন, “সব কিছুই করা হবে কলকাতা পুরসভার আইন মেনে। আগে ওই দুই কাউন্সিলর কী জবাব দিয়েছেন তা খতিয়ে দেখতে হবে। তাঁদের জবাব যদি সন্তোষজনক না হয়, সে ক্ষেত্রে আলোচনা সাপেক্ষে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে।” তবে নিজেদের কাজের জন্য যদি তাঁরা অনুতাপ প্রকাশ করে চেয়ারপার্সনের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন, তা হলে তাঁদের শাস্তির মুখে না-ও পড়তে হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন মালা রায়। তবে পুরসভার একটি সূত্র জানাচ্ছে, দুঃখপ্রকাশ করে ক্ষমা না চাইলে এ ক্ষেত্রে শাস্তির মুখে পড়তে পারেন সজল ঘোষ এবং অসীম বসু। কারণ, যে ঘটনার জন্যে তাঁদের শো-কজ করা হয়েছে তা কলকাতা পুরসভার ইতিহাসে নজিরবিহীন। তাই এখন কাউন্সিলরদের ভাগ্য নির্ভর করছে তাঁদের উত্তর উপর।

গত শনিবার পুর অধিবেশন চলাকালীন মারামারির হয় বিজেপি এবং তৃণমূল কাউন্সিলরদের মধ্যে। বিজেপি কাউন্সিলর সজল অভিযোগ করেন, তাঁকে শারীরিক ভাবে হেনস্থা করেছেন তৃণমূল কাউন্সিলর অসীম বসু। সঙ্গে তাঁর বাবা প্রবীণ রাজনীতিক প্রদীপ ঘোষকে গালিগালাজ করা হয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। পাল্টা তৃণমূল কাউন্সিলর অসীম বসুর অভিযোগ, বিজেপি কাউন্সিলর সজল তাঁদের দলকে চোর বলে সম্বোধন করেছেন। যা অত্যন্ত আপত্তিজনক এবং অসম্মানজনক। মারামারির ঘটনার জেরে শনিবারেই দুই কাউন্সিলরকে শো-কজ করেন চেয়ারপার্সন মালা রায়। তিনি জানিয়ে দেন সাত দিনের মধ্যে শো-কজ-এর জবাব দিতে হবে। শুক্রবার সেই সময়সীমার শেষ দিন ছিল, আর সে দিনই দুই কাউন্সিলর কলকাতা পুরসভায় এসে চেয়ারপার্সনের দফতরে নিজেদের জবাব জমা দিয়েছেন।

শো-কজ-এর উত্তর দেওয়ার পর তৃণমূল কাউন্সিলর অসীম বলেছেন, “আমি সজলকে মারিনি, আমি ওকে শুধুমাত্র সরিয়ে দিয়েছিলাম। উত্তেজনার বসে ওই ঘটনা ঘটেছিল।” আর বিজেপি কাউন্সিলর সজলের বক্তব্য, “আমি কোনও অন্যায় করিনি, আমার বাবাকে গালি দেওয়ার পরেই চোর বলেছিলাম, যেটা অসংসদীয় শব্দ হতে পারে, আমার অজান্তে এই ঘটনা পুরসভার মর্যাদাহানি করে থাকলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।” পুর অধিবেশনে বিজেপি কাউন্সিলরের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় শুক্রবার চেয়ারপার্সনের দফতরে ডেপুটেশন জমা দিয়েছেন বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের কাউন্সিলরেরা। এদিকে ঘটনার দিন সজল ও অসীমকে মালা রায় ভর্ৎসনা করে বলেন, “এটা মারামারি করার জায়গা নয়, মারামারি করতে হলে নেবুতলা পার্ক এবং নর্দার্ন পার্কে যান।” মালা রায় সেদিন তাঁর চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে এই মন্তব্য করেছিলেন ক্ষোভের সঙ্গে।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!