- এই মুহূর্তে দে । শ
- নভেম্বর ১১, ২০২৪
রাজ্যে সুষ্ঠ উপ নির্বাচনের আবেদনে নির্বাচন কমিশনারকে তৃণমূলের চিঠি, উসকানি মূলক বক্তব্যের অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে

রাজ্যের ছয় কেন্দ্রে উপনির্বাচনের ঠিক দুদিন আগে নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিল তৃণমূল কংগ্রেস । ঘাসফুল শিবিরের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েন সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আবেদন জানিয়ে চিঠি লেখেছেন । মূলত কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরপেক্ষতা এবং একটি রাজনৈতিক দলের সদস্যদের উসকানি মূলক মন্তব্যের সমালোচনা করে, যাথযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আবেদন করা হয়েছে চিঠিতে ।
Our Leader of the Parliamentary Party in Rajya Sabha, Shri @derekobrienmp, has called out @ECISVEEP's SHOCKING INACTION.
Despite being informed on November 9th about CAPF personnel intimidating voters and @DrSukantaBJP insulting the State Emblem & Police, the ECI has delayed… pic.twitter.com/frxelN6wi8
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) November 11, 2024
১৩ নভেন্বর রাজ্যের ছয়টি কেন্দ্রে উপনির্বাচন । তার আগে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ নির্বাচনের আবেদন জানিয়ে গত শুক্রবার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের সঙ্গে বৈঠক করার আবেদন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস । এজন্য পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিও দলও নয়া দিল্লির মুখ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে গিয়েছিলেন । কিন্তু সেদিন নির্বাচন কমিশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ছুটি থাকায় নির্বাচন আধিকারীকরা বৈঠক করতে পারবেন না । পরিবর্তে, সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটের সময় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসার প্রস্তাব দেওয়া হয় । সোমবার বিকেল পাঁচটায় উপনির্বাচনের প্রচার শেষ হচ্ছে রাজ্যে, তার ঘন্টা দেড়েক আগে নির্বাচন কমিশনের বৈঠক প্রস্তাব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা । সোমবার এপ্রসঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাংসদ সুদীপ বন্দোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যে সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ উপনির্বাচন করার লক্ষ্যে বহু আগেই সময় চেয়েছিল রাজ্যের শাসকদল, সেখানে প্রচার শেষের মাত্র দেড়-দু ঘন্টা আগে মুখ্য নির্বাচন কমিশনের বৈঠক প্রস্তাব কী বিজেপিকে বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার লক্ষ্যেই ? তিনি আরও বলেন, রাজ্যের উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে । তাদের বিভিন্ন বুথে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব, রুটমার্চে সহায়তার দায়িত্ব রাজ্য পুলিশের । কিন্তু কার্যত বিজেপির নেতাদের কথা মতোই কেন্দ্রীয় বাহিনী বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি ।
কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপির নেতাদের কথা মতো, সাধারণ ভোটারদের প্রভাবিত করারও চেষ্টা করছে বলে এদিন অভিযোগ করা হয় তৃণমূলের তরফে । পাশাপাশি সাংসদ সুদীপ বন্দোপাধ্যায় এদিন রাজ্য বিজেপির সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্যকে ঘিরেও প্রশ্ন তোলেন । তাঁর অভিযোগ পুলিশের নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়ে বলতে গিয়ে, বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার সরাকারি উর্দিকেই অপমান করেছেন । তিনি জাতীয় প্রতীক অশোক স্তম্ভের অবমাননাও করেছেন । এপ্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ দাবি করা হয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে । উসকানি মূলক মন্তব্যের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করেন তাঁরা । একই সঙ্গে আজ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরেও সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আবেদনে আধিকারীকদের সঙ্গে দেখা করবেন তৃণমূল নেতৃত্ব ।
❤ Support Us