- এই মুহূর্তে দে । শ
- মে ১৯, ২০২৩
কুলতলিতে, তৃণমূল ছেড়ে সিপিএমে আড়াই হাজার ‘লাল’ । নেতৃত্বে কান্তি

রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন আসন্ন। তার আগে দক্ষিণ ২৪ পরগণার কুলতলিতে শাসক দল থেকে বেশ কয়েকজন নেতা কর্মী ও আড়াই হাজার পরিবার সিপিএমে যোগদান করলেন। কয়েকমাস আগেও এমন ঘটনা দেখা দিয়েছিল। বিধানসভা আসনের নিরিখে যে দল শূন্য। গত দশ বছরে রাজ্যের বহু জায়গায় যাদের সাংগঠনিক ভিত্তি ক্রমশ দুর্বল হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ঘাস-ফুল ছেড়ে লাল পতাকার নীচে আশ্রয় গ্রহণ ভিন্ন রাজনৈতিক সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
পরিবর্তনের পর ধীরে ধীরে ফিকে হয়েছে লাল। কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ-ক্রমশ বেড়েছে ঘাসফুলের দাপট। কুলতলিতে একসময় ছিল এসইউসির দাপট। পরিবর্তনের জমানায় ধীরে ধীরে সেখানেও ফুটেছে ঘাসফুল। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি–সহ আড়াই হাজার পরিবার যোগ দিলেন সিপিএমে, প্রাক্তন মন্ত্রী ও সমাজ কর্মী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে। বাম জমানার পর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে দক্ষিণ কলকাতা ঘাসফুলের কবলে চলে আসে। হঠাৎ তৃণমূল কর্মীদের বামমুখী দলবদল কীসের লক্ষণ ?
পূর্বাভাস নিয়ে প্রশ্ন তোলা উচিত নয়। কী ঘটছে, কোথায় ঘটছে এটাই পর্যবেক্ষণের বিষয় । ক্ষমতা হারানোর পরেও কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় চুপ করে বসে থাকেননি। যে কোনো দুর্যোগে কুলতলিতে মানুষের পাশে তাঁকে দেখা গেছে। কুলতলি তাঁর আরেক বাসস্থান হয়ে ওঠে। গণ রায়ে ক্ষমতা হারিয়ে কখনো তাঁকে হতাশ হতে দেখা যায়নি। মনো নির্বাচিত জননেতার আসন তাঁকে সবসময় ছুঁয়ে থাকে। মানুষ ভোট দিয়েছে ঘাসফুলকে, হৃদয় দিয়েছে ময়দানের কান্তিকে । এরই সর্বশেষ দৃষ্টান্ত কি স্থাপন করল আড়াই হাজার মানুষের ঐক্যবদ্ধ দলবদল ?
❤ Support Us