Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • জুন ১, ২০২৪

ভোট মিটতেই ‘ভোটপাখিরা’ উধাও, অভিনন্দন কর্মসূচিতে বিরোধীদের নিশানা মন্ত্রী স্বপনের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
ভোট মিটতেই ‘ভোটপাখিরা’ উধাও, অভিনন্দন কর্মসূচিতে বিরোধীদের নিশানা মন্ত্রী স্বপনের

ভোটপর্ব চুকেছে আগেই। ‘ভোটপাখিরা’ উধাও। কিন্তু তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের চোখে ঘুম নেই। মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি রাখতে ফের নেমে পড়েছেন মাঠে। নিজের বিধানসভা এলাকার প্রতিটি পঞ্চায়েতে আয়োজন করছেন ‘অভিনন্দন সভা’র। সভার মাধ্যমে মন্ত্রী একদিকে নিরুপদ্রবে ভোটপর্ব মেটায় এলাকার বাসিন্দাদের অভিনন্দন জানালেন, অন্যদিকে ‘মমতা ব্যানার্জির সরকার এলাকায় কী কী উন্নয়ন করেছেন, আগামীদিনে উন্নয়নের কী কী পরিকল্পনা’ রয়েছে, সেইসব তথ্য-পরিসংখ্যান মেলে ধরলেন। বললেন, ‘আমি আমার বিধানসভার পাহারাদার। আমি জাগলে তবেই না এলাকার মানুষ নিশ্চিন্তে ঘুমোবেন।’ যোগ করেন, ‘আমাদের ২৪ ঘন্টার ডিউটি। ভোট মিটতেই বিরোধীরা ভোকাট্টা হয়েছেন। আমার দায়িত্ব শুধু ভোটের আগেই নয়, বছরভর বিধানসভার সমস্ত মানুষকে শান্তিতে রাখা ও ভাল রাখা।’

স্বপনবাবু ঠিক করেছেন, ভোটের ফল বেরনোর আগে তাঁর বিধানসভার প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকায় একটি করে অভিনন্দন সভা করবেন। নিমতলা বাজার থেকে তার সূচনা হয়েছে। স্বপনবাবুর সাফ কথা, ‘ভোট কে কাকে দিয়েছে, সে ব্যাপারে মাথাব্যথা নেই। যদিও ভাল ফলের ব্যাপারে আমি যথেষ্ট আশাবাদী। কিন্তু মানুষের কাছে দায়বদ্ধ থাকার যে অঙ্গীকার নিয়ে রাজনীতি করি, সেটা ভুলতে চাই না বলেই ভোট মিটতেই ফের মানুষের মাঝে এসে দাঁড়িয়েছি।’   স্বপনবাবু বরাবরই চেষ্টা করেন ‘আমি তোমাদেরই লোক’ ভাবমূর্তি তুলে ধরার। সেই ধারার অঙ্গ হিসেবে কখনও পৌঁছে যান আদিবাসী পাড়ায়। কখনও এলাকার প্রবীণ নাগরিকদের চিঠি দিয়ে নেমন্তন্ন করে ডেকে বরণ করে পুরনো আর বর্তমান সময়ের ভোটের তুলনামূলক আলোচনায় মাতেন। কখনও এলাকার মহিলাদের ডেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, স্বয়ংভর গোষ্ঠীর ‘ফিড ব্যাক’ নেওয়ার ফাঁকে ফাঁকে ভোট প্রচারের কাজ সারেন। এলাকার সাধারণ মানুষও সাফ জানিয়ে দেন, ‘স্বপনদা আমাদের লোকাল গার্জেন। যেকোনও সমস্যা মন দিয়ে শোনেন। সমাধান করারও চেষ্টা করেন আপ্রাণ।’

সভায় এসে স্বপনবাবু খোঁজ নেন, সামাজিক সুরক্ষা, স্বাস্থ্যসাথী, বিনা পয়সার রেশন-সহ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ মিলছে কিনা বা পরিবারের মহিলারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাচ্ছেন কিনা! জানিয়ে দেন, ‘অসংগঠিত শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন মমতা ব্যানার্জি। তাঁদের জন্য তৈরি প্রকল্পে শ্রমিকদের মাসে ২৫ টাকা ব্যাঙ্কে জমা দিতে হত। ২০১৭ সালে এই টাকাটা মকুব করে দিয়েছেন। শুধু তাই? এই টাকাটা বাড়িয়ে এখন কার্ডধারী অসংগঠিত শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে মাসে ৫২ টাকা দিচ্ছেন। কোনও শ্রমিকের মৃত্যু হলে রাজ্য সরকার এককালীন ২ লক্ষ টাকা করে দেয়। কর্মরত অবস্থায় অসুস্থ বা আহত হলে অর্থসাহায্য করে রাজ্য সরকার।’ সব মিলিয়ে ভোট মিটলেও মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছেন পোড় খাওয়া নেতা স্বপনবাবু।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!