Advertisement
  • দে । শ
  • এপ্রিল ২৩, ২০২৪

নাদনঘাটের ৩ জলাশয়কে হেরিটেজ করার প্রস্তাব মন্ত্রী স্বপনের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
নাদনঘাটের ৩ জলাশয়কে হেরিটেজ করার প্রস্তাব  মন্ত্রী স্বপনের

নাদনঘাটে রয়েছে তিনটি বিশাল জলাশয়। এই জলাশয়গুলিকে হেরিটেজ ঘোষণার প্রস্তাব মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের। প্রস্তাব নিয়ে পরিবেশ মন্ত্রী গোলাম রব্বানির সঙ্গে দেখাও করেছেন সংশ্লিষ্ট পূর্বস্থলী দক্ষিণের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপনবাবু। ওই তিনটি জলাশয় জীববৈচিত্র্যে ভরপুর। স্বপনবাবু জানান, ‘এই জলাশয়গুলির ধারে যেমন রং-বেরংয়ের প্রজাপতি রয়েছে, তেমনি রয়েছে ঝিঁঝি পোকা, কেঁচো আর জলাশয়ের মধ্যে শামুক, গেঁড়ি, গুগুলি ও নানান ধরনের চুনোচানা মাছে ভরপুর। বছর তিনেক ধরে ফি-শীতে প্রচুর পরিযায়ী পাখিও আসছে। রাজ্যে এমন জলাশয়ের সংখ্যা খুবই কম।’ এইজন্যই তিনি মুড়িগঙ্গা, চাঁদের বিল ও বাঁশদহ বিলকে হেরিটেজ বা স্টেট ওয়েটল্যান্ড ঘোষণার দাবি নিয়ে পরিবেশ দপ্তরের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন বলে জানালেন স্বপনবাবু। পরিবেশমন্ত্রীর কাছ থেকে ‘ইতিবাচক’ আশ্বাস মিলেছে বলেও জানান মন্ত্রী।

প্রায় ৭ কিমি দীর্ঘ মুড়িগঙ্গা আর ৪ কিমি লম্বা চাঁদের বিল। বাঁশদহ বিলটি রয়েছে প্রায় ৭২ একর জমিজুড়ে। জলাশয়গুলি পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখা আর জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। মন্ত্রী স্বপন দাবি পূরণে এর আগে ইনস্টিটিউট অফ এনভায়রনমেন্টাল স্টাডিজ এন্ড ওয়েটল্যান্ড ম্যানেজমেন্টের ডিরেক্টর ও রাজ্য সরকারের পরিবেশ দপ্তরের প্রধান সচিবকে চিঠিও পাঠিয়েছেন। চিঠিতে স্বপনবাবু উল্লেখ করেছেন, জলাশয়গুলি এলাকার বাসিন্দারা চোখের মণির মত আগলে রেখেছেন। পূর্বস্থলী ১নং পঞ্চায়েত সমিতি ও এলাকার পরিবেশপ্রেমীরা এই জলাশয়গুলিকে ঘিরে থাকা সবুজ সুরক্ষায় জানকবুল। এই সবুজ এলাকার পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ করে। তাছাড়া জলাশয়গুলি হল জীববৈচিত্রের অফুরান খনি। যা এলাকার পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। এর আগে জীববৈচিত্র পর্ষদের চেয়ারম্যান হিমাদ্রিশেখর দেবনাথের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল এখানকার জলাশয়গুলি সরেজমিনে দেখে গিয়েছেন। স্বপনবাবু বললেন, ‘নানারকম সামাজিক চাহিদা মেটাতে রোজই বনভূমি আর জলাভূমিতে থাবা বসানো হচ্ছে। ফলে দূষণ বাড়ছে। পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে জলাভূমি আর বনভূমি সংরক্ষণকে অগ্রাধিকার ও গুরুত্ব দিতেই হবে।’ স্বপনবাবুর বক্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিলীপ মল্লিক, কর্মাধ্যক্ষ রাজকুমার পাণ্ডেদের বক্তব্য, ‘এই জলাশয় দুটি এলাকার মানুষের গর্ব। পরিবেশ সুরক্ষায় জলাশয় দুটির অবদান অনস্বীকার্য। জলাশয় দুটি ‘স্টেট ওয়েট ল্যান্ডে’র ন্যায্য দাবিদার বলেই মনে করছি। ঘোষিত হলে পরিবেশ ও জীবজগৎ আরও সুরক্ষিত হবে।’ এছাড়াও জলাশয় লাগোয়া এলাকাটি চৈতন্যদেবের স্পর্শধন্য। ফলে জলাশয়গুলি ‘হেরিটেজ’ তকমা পেলে গোটা এলাকাটি যেমন পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াবে, তেমনি এলাকার মানুষজনের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রও তৈরি হবে।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!