- এই মুহূর্তে দে । শ
- মে ১৯, ২০২৩
“ক্ষমতা থাকলে সিবিআই আমায় গ্রেফতার করে দেখাক”, সোনামুখীর সভা থেকে সিবিআইকে অভিষেকের চ্যালেঞ্জ

বাঁকুড়ার সোনামুখীর জনসভা থেকে সিবিআই কে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বললেন, “আমি চ্যালেঞ্জ নিচ্ছি পারলে সিবিআই আমাকে গ্রেফতার করে দেখাক। যাদের প্রকাশ্যে টাকা নিতে দেখা গেছে তাদের ডাকতে পারেনা ইডি,সিবিআই। একদিন সময় না দিয়ে আমায় ডেকে পাঠাচ্ছে সিবিআই।” অভিষেক এদিন সভা শেষে বলেন, “মায়েদের কাছে আশীর্বাদ চাইছি। আমায় আশীর্বাদ করুন যেন আগামী ২২ তারিখ আজকের চাইতে আরও ১০ গুণ শক্তি নিয়ে সোনামুখী থেকে যাত্রা শুরু করতে পারি।” অভিষেক এদিন বলেন, “দুপুরে আমার বাড়িতে সিবিআই নোটিশ পাঠায়। আমি আমার বইনজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলি। তাঁরা আমায় বলেন, আপনি মানুষের জন্য রাস্তায় আছেন। সিবিআইর ডাকে আসতে হবে না। আমি বলি না, আমি যাব। না হলে ওরা আমার কর্মসূচি বানচাল করার চেষ্টা করবে। দেখছেন না আমি যখন বাঁকুড়ায় তখন আমায় একদিন সময় না দিয়ে ডেকে পাঠাচ্ছে!”
এদিন সোনামুখীর সভা থেকে অভিষেক বলেন, “এক বছর পর বিজেপি থাকবে না। ঔডি, সিবিআই, সংবিধান, গণতন্ত্র থাকবে।” এরপর তিনি বলেন, “আমি বলছি প্রকাশ্যে আমায় জেরা করুক। দুটো মঞ্চ বানাক। একটা ফাঁসির মঞ্চ একটা জেরার মঞ্চ। যদি আমাকে দোষী প্রমাণ করতে পারে তাহলে আমি নিজেই ফাঁসির মঞ্চে গিয়ে ফাঁসির দড়ি গলায় পড়ে নেব। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মাথা নিচু করে চলার ছেলে নয়। আমি ক্ষুদিরামের আদর্শে, রামমোহনের আদর্শে, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর আদর্শে চলি। আমি সহজে মাথা নিচু করি না। দিল্লির কাছে আমি মাথা নিচু করব না। এর আগেও কয়লা, গরু এই নিয়ে আমায় জেরা করা হয়েছে। কিছু করতে পারেনি। তাই এখন এসএসসি নিয়ে আমায় জেরার জন্য সিবিআই ডেকে পাঠিয়েছে। রবীন্দ্রনাথের নোবেল, সারদাকাণ্ড এইসবের তো সিবিআই তদন্ত করছিল। সেই তদন্তের ফল কি? এই প্রশ্নও এদিনের সভা থেকে করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।”
এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, তাঁর এই কর্মসূচি বানচাল করার জন্য সময় না দিয়ে সিবিআই তাঁকে ডেকে পাঠালো। ফলে পাত্রসায়রে সভাটা তিনি করতে পারলাম না।” এর পর অভিষেক বলেন, “ভালোই হলো এই বিষয়টা আমি দলনেত্রীকে বলেছিলাম। তিনি আমায় বলেছেন কোন চিন্তা করিস না। পাত্রসায়রের সভায় ভার্চুয়ালি আমায় কানেক্ট করিস। খুব ভালোই হলো আমার পরিবর্তে আমাদের দলনেত্রী আপনাদের কাছে বক্তব্য রাখবেন।”
তৃণমূল যে বৈষম্যের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না, সেটা স্পষ্ট করতে অভিষেক বলেন, “বাঁকুড়ায় ১২টি বিধানসভা। ৮টি বিধানসভায় আমরা হেরেছি। তার পরেও বিজেপি, সিপিএমের কেউ বলতে পারবেন তারা স্বাস্থসাথী, কন্যাশ্রী পাননি? আমরা যারা ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসি আমরা তখন মানুষের প্রতিনিধি হই।”
❤ Support Us