Advertisement
  • দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
  • আগস্ট ১০, ২০২৪

যৌন নির্যাতনকারীদের দ্রুত শাস্তি বিধানে আইন সংশোধনের দাবি তুললেন অভিষেক

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
যৌন নির্যাতনকারীদের দ্রুত শাস্তি বিধানে আইন সংশোধনের দাবি তুললেন অভিষেক

হত্যা এবং যৌন নির্যাতনকারীদের শাস্তিবিধানে এবার আইন সংশোধনের দাবি তুললেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায় । শনিবার ডায়মন্ডহারবারে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে তিনি বলেন আরজি করে কর্তব্যরত চিকৎসক ছাত্রীর হত্যার ঘটনা মর্মান্তিক । অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ । তবে ভবিষ্যতে দেশের কোথাও যাতে এমন মর্মান্তিক ঘটনা না ঘটে, তার জন্য দোষীদের শাস্তি বিধানে কঠোর আইন আনা উচিত ।

প্রশাসনিক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বলেন, ‘কোনো কন্যার মৃত্যু রাজনীতির বিষয় হতে পারে না । কেন্দ্রে এখন বিজেপির সরকার । রাজ্য বিজেপির উচিত ফ্ল্যাগ হাতে ধর্ণায় না বসে, কেন্দ্র সরকারকে চিঠি লেখা । যাতে এধরণের ঘটনায় দোষীদের এমন কঠিন শাস্তি হয় এবং ন্যায় বিচারের প্রক্রিয়া যেন দীর্ঘকালীন না হয়, তার সমাধান করতে হবে দ্রুত । দেশের আইনি শিথীলতার সুযোগ নিয়েই এধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে । নির্ভয়া হয়েছে, উন্নাও হয়েছে, হাথরাস হয়েছে, তবু এধরনের নক্কারজনক ঘটনাকে রোধ করা যায়নি । বিলকিস বানু মামলায় প্রথমে তো দোষীরাই ছাড়া পেয়ে গিয়েছিল, পরে শীর্ষ আদালতের হস্তক্ষেপে ওর এখন জেলে । সমাজে এইধরনের ঘৃণ্য আচরণকারীদের বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই । আমরা যদি সত্যি এই ধরনের সমস্যার সমাধান চাই তবে আইনসভায় আইন বদলের দাবি পেশ করতে হবে । কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দল কী অর্ডিন্যান্স করে নতুন অধ্যাদেশ আনতে পারে না, যাতে সাতদিনের মধ্যে এধরনের অপরাধিদের শাস্তি হয় । এরকম প্রস্তাব এলে সংসদে তৃণমূল সমর্থন করবে, অন্যান দলেরও উচিত ঘৃণ্য অপরাধীদের দ্রুত শাস্তির দাবিতে সংসদে প্রস্তাব এলে তাতে সমর্থন করা । দেশের যেকোনো জায়গায়তেই এধরনের ঘটনা ঘটা লজ্জার । ‘ সমষ্টিগত ভাবে এই ধরণের অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হতে হবে । তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক এবং ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ আরো বলেন, আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি, এধরনের অন্যায় যাঁরা করেন তাদের এনকাউন্টার করে মেরে দেওয়া উচিত । সমাজে তাদের বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই । পাশাপাশি তিনি বলেন, হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাক্তারদের সুরক্ষায় যাঁরা নিয়োজিত তাদেরও আরো সজাগ থাকা প্রয়োজন, যাতে রাতে অবাধে যে কেউ হাসপাতাল চত্ত্বরে প্রবেশ করতে না পারে । আর ঘৃণ্য অপরাধীদের কোনো পেশাগত বা জাতিগত পরিচয় হতে পারে না । সর্বঅর্থেই সমাজে তারা ঘৃণিত, নিন্দীত ।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!