Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • জুলাই ২৪, ২০২৪

বাজেট বিতর্কে অভিষেক নিশানায় পদ্ম শিবিরের তোষণের রাজনীতি

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
বাজেট বিতর্কে অভিষেক নিশানায় পদ্ম শিবিরের তোষণের রাজনীতি

মঙ্গলবারের সাধারণ বাজেট নিয়ে শাসক বিরোধীদের মধ্যে বক্তব্য, পাল্টা বক্তব্য চলছে। বাজেটের বিরুদ্ধে পার্লামেন্ট চত্বরে রাজ্যসভা ও লোকসভার শেষ কয়েকজন সাংসদ সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। তাঁদের দাবি, মঙ্গলবারের ঘোষিত বাজেটে বঞ্চিত হয়েছে বেশ কিছু রাজ্য। কেবল অন্ধ্রপ্রদেশ ও বিহারকে দু হাত উপুড় করে দিয়েছে সরকার। এই বাজেটকে কংগ্রেস ও তৃণমূল ‘কুর্সি বাঁচানোর বাজেট’ বলে কটাক্ষ করেছে।

বাজেট নিয়ে বাদানুবাদ আবহেই, বুধবার সকালে রাজ্যসভায় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, বাজেটে কোনো রাজ্যকেই বঞ্চিত করা হয়নি। বিরোধীরা অপপ্রচার করছেন। বাজেটে সবসময় সমস্ত রাজ্যের নাম নেওয়া সম্ভব হয় না। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেছেন,’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলার ভাধাবনে একটি সমুদ্র বন্দর তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে বাজেটে তার উল্লেখ নেই। তার মানে কি মহারাষ্ট্রকে বঞ্চনা করা ?’ বিরোধীদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে নির্মলা বলেন, কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধীরা ইচ্ছাকৃতভাবে জনগণকে ভুল বোঝাচ্ছে।’

বুধবার বাজেট অধিবেশনে লোকসভায় প্রথম বক্তৃতা দিলেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্যেও বাংলাকে বঞ্চনা এবং রেল সুরক্ষার বিষয়টি উঠে এসেছে।এদিন বাজেট নিয়ে তাঁর ভাষণের মাঝে অভিষেককে একাধিকবার আটকে দেন অধ্যক্ষ ও কোটার সাংসদ ওম বিড়লা। তিনি অভিষেককে বলেন, ‘আপনার বিষয় নিয়ে এর আগে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা আলোচনা হয়েছে। ‘ অভিষেক প্রতিবাদ করলে তিনি বলেন, লোকসভার অধ্যক্ষের কথা একজন সাংসদের কাছে আদেশের সমতুল্য।যদিও শেষ পর্যন্ত অভিষেককে রোখা যায়নি। বাজেটের ইংরেজি বানানের এক একটি শব্দকে এক একটি কটাক্ষ রূপে শাসক দলকে ফিরিয়ে দেন তিনি। তিনি বলেন,’ বি মানে হল বিট্রে। গত দশ বছরে, কেন্দ্রে বিজেপির জমানায় আলুর দাম বেড়ে হয়েছে ৪০ টাকা । গ্যাসের দাম ১০০০ টাকা। অর্থাৎ বিশ্বাসঘাতকটাই বিজেপির ‘আচ্ছে দিন’। ইউ ফর আনএমপ্লয়মেন্ট। গত ১০ বছরে বেকারত্ব অতীতের ৫০ বছরের রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে । ডি ফর ডিপ্রাইভ বা বঞ্চনা। দেশের নারী থেকে শিশু, সকলে বঞ্চিত হয়েছেন। একুশের বিধানসভা ভোটে বাংলায় হারের পর থেকে বাংলার ১০০ দিনের প্রকল্প, আবাস যোজনায় টাকাও আটকে রেখেছে কেন্দ্র। জি ফর গ্যারেন্টি। জি ফর ঘোটালা। গ্যারেন্টি মানে জিরো ওয়ারেন্টি। ই ফর এক্সটেনট্রিক অর্থাৎ উন্মাদ। টি ফর ট্র্যাজেডি। এই সরকারের সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি হল কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে অপব্যবহার করা। বিরোধী দলের লোক হলেই মুখ বন্ধ করতে এজেন্সি ব্যবহার করা। বক্তব্যের শেষদিকে অভিষেক বলেন,’মঙ্গলবারের পরে একটা বিষয় পরিষ্কার৷ জোট মানেই তোষণের রাজনীতি। ‘

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, তাঁদের দলীয় বৈঠকে বক্তৃতাকালীন, মোদির ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ স্লোগানের পরিবর্তন করে বলেছিলেন ‘জো হামারে সাথ, হাম উসকে সাথ’৷ এদিন সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে, অভিষেক বন্দোপাধ্যায় কটাক্ষ করে বলেন, আসলে বিজেপির দলের নেতারাই বৈষম্যের নীতি মেনে চলেন৷

বাংলার আর্থিক বঞ্চনা প্রসঙ্গে এদিন সংসদে তৃণমূল সাংসদ বলেন, বিগত কয়েক বছরে বিজেপি বাংলাকে শুধু বঞ্চনাই করেনি, বাংলার বদনামও করেছে৷ অর্থমন্ত্রীকে শ্বেতপত্র প্রকাশ করে বলতে বলুন, বাংলায় ২০২১ সালে হারের পর কত টাকা দেওয়া হয়েছে। কাগজ দেখতে চাইছি, অথচ তা দেখানো হচ্ছে না। আর এরাই গোটা দেশের থেকে সিএএর নামে কাগজ দেখতে চেয়েছিল। এরই নাম বিজেপি৷’ অভিষেকের মন্তব্য, ‘এই বাজেটে একটা জিনিসই মূল্যবৃদ্ধির থেকে বাড়ছে, সেটা হল বিজেপির ব্রোকেন প্রমিসেস৷’


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!